আপনারা যারা ক্যাশ অন ডেলিভারি শব্দটির সঙ্গে পরিচিত তারা হয়তো এটা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। সাধারণত অনলাইনে পণ্যের ক্ষেত্রে অনেকেই কমেন্ট বক্সে গিয়ে বলে ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা রয়েছে কিনা। এক্ষেত্রে ক্যাশ অন ডেলিভারি বলতে গেলে কী বোঝানো হচ্ছে সেটা প্রসঙ্গে যদি আপনার না বুঝতে পারেন তাহলে হয়তো কমেন্টে রিপ্লাই এর মাধ্যমে অনেকে আপনাকে জানিয়ে দিতে পারে। আর যদি লজ্জার কারণে সেখানে জিজ্ঞাসা না করতে পারেন তাহলে গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে জেনে নেওয়ার অপশন তো থাকছেই।
আমরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম অথবা ফেসবুকে যদি ভিজিট করি তাহলে দেখব যে সেখানে বিভিন্ন অনলাইনে পেজ রয়েছে। সেখান থেকে আপনারা চাইলে বই অথবা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে পারেন। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে সাধারণ মানুষ সাধারণত যে জায়গায় বসবাস করছি অথবা যে সকল জায়গায় বেশিরভাগ উঠা-বসা করছে অথবা বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করছে সে সকল জায়গাগুলোতেই মার্কেটিং সিস্টেম চালু হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ আপনি যদি টেলিভিশন দেখেন তাহলে সেখানে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের তথ্য জানতে পারবেন অথবা সেই পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবেন।
ঠিক একইভাবে টেলিভিশনের পরিবর্তে বর্তমান সময়ের মানুষ ফেসবুকে বেশি সময় কাটিয়ে থাকে বলে বিভিন্ন পণ্যের প্রচারণা অথবা বিভিন্ন জিনিসের উপস্থাপন ফেসবুকেই করা হয়ে থাকে। তাই ফেসবুকের কোন পেজ অথবা বিশ্বস্ত কোন ওয়েবসাইট থেকে যখন আপনি কোন জিনিস কিনতে চাইবেন তখন হয়তো ওয়েবসাইট থেকে এডভান্স পেমেন্ট দিয়ে কিনলেও বিভিন্ন পেজ থেকে এডভান্স পেমেন্ট দিয়ে কিনতে অনেকেই অপারগতা প্রকাশ করেন। কারণ অনলাইনে বর্তমান সময় জালিয়াতির সুযোগ রয়েছে এবং কোন মানুষ যে কেমন সেটা আমরা আসলেই বুঝতে পারি না।
তাই আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে কোন পণ্য কেনার চেষ্টা করবেন এবং সেই পণ্য কেনার ক্ষেত্রে যদি টাকার বিষয়টি আপনি না ঠকতে চান তাহলে ক্যাশ অন ডেলিভারি করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যে পণ্যটি কিনতে চাইছেন সেই পেইজের সঙ্গে অথবা সেই মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা যদি ক্যাশ অন ডেলিভারি দিতে রাজি হয় তাহলে আপনারা পণ্যটি হাতে পাওয়ার পর টাকা দিতে পারবেন। যদি আপনাদের এলাকায় হোম ডেলিভারির সুযোগ থাকে তাহলে আপনাকে সেটা সরাসরি হাতে প্রদান করে টাকা গ্রহণ করবে এবং সিগনেচার নিবে।
আর যদি হোম ডেলিভারির অপশন না থাকে তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট কুরিয়ার অফিস থেকে ফোন করা হবে অথবা এসএমএস দেওয়া হবে। তখন আপনারা কুরিয়ার অফিসে গিয়ে পণ্যটির যত টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তত টাকা প্রদান করে এবং সিগনেচার করে পণ্যটি উত্তোলন করতে পারবেন। যদি এডভান্স পেমেন্ট করে থাকেন তাহলে অনেক সময় সেই টাকা মেরে দেওয়া সম্ভাবনা থাকে অথবা সেই আইডি থেকে আপনাকে ব্লক দিয়ে টাকাটি পুরোপুরি আত্মসাৎ করা সম্ভব না থাকে।
সিওডি(COD) মানে কি
তাই সেই সকল দিক থেকে বিবেচনা করে এবং আপনার টাকা যদি নষ্ট না করতে চান তাহলে ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা রয়েছে কিনা তা জেনে নিবেন। তাছাড়া ক্যাশ অন ডেলিভারি যদি আপনারা করে থাকেন তাহলে সেটা সেই অনলাইন সেলারের এক ধরনের গুরুত্ব কাজ করে। কারণ তারা পণ্য যতক্ষণ পাঠাচ্ছে না ততক্ষণ টাকা হাতে পাচ্ছে না এবং এই ক্ষেত্রে তারা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করবে। তবে অনেক কুরিয়ার সার্ভিসে ক্যাশ অন ডেলিভারির সুযোগ সুবিধা থাকে না বলে অনেক সময় আপনারা তা পাঠাতে পারেন না।
তবে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুযোগ-সুবিধা যদি থাকে তাহলে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারেন অথবা কেউ যদি এডভান্স পেমেন্ট এর মাধ্যমে ক্যাশব্যাক এর অফার গ্রহণ করতে চান তাহলে সেগুলো করতে পারেন। আর উপরের উল্লেখিত সিওডি এর পরিপূর্ণরূপ হল ক্যাশ অন ডেলিভারি। অর্থাৎ এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আমরা এটাই বুঝতে পারলাম যে যখন কোন পণ্য আমরা কিনব তখন সেটা কুরিয়ারের মাধ্যমে অথবা ডেলিভারি ম্যান এর মাধ্যমে যখন আমাদের হাতে পৌঁছাবে তখন টাকা দিতে হবে। ধন্যবাদ।