যাদের বয়স হয়ে গেছে তাদের অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড করিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রতি বছরে একটি প্রোগ্রাম পরিচালিত হয় যেই প্রোগ্রামে সাধারণত প্রতিবছরই যারা এখন পর্যন্ত ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেনি তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়। যদি আপনার বয়স হয়ে যায় তাহলে আপনি অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করবেন এবং আবেদন করার জন্য সেই ক্ষেত্রে কোন কোন দলিল উপস্থাপন করতে হবে সেটা জানাটা অত্যন্ত জরুরী।
ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদনের জন্য যে দলিলগুলো প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এখান থেকে সম্পূর্ণ তালিকাটি এক নজর দেখে নিন যাতে আপনি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারেন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য কোন কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে।
যারা নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই তথ্যটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আগে পুরো দেশের একই সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যেত কিন্তু এখন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার সংখ্যা অনেক কমে গেছে যার কারণে প্রত্যেকটা জায়গাতে আলাদা আলাদা ভাবে তারিখ নির্ধারণ করা থাকে। নতুন ভোটার হতে চাচ্ছেন তারা নির্ধারিত সময়ে কাগজগুলো নিয়ে সরাসরি উপস্থিত হবেন এবং সেখানে আবেদন করবেন নতুন ভোটার হওয়ার জন্য।
নতুন ভোটার হতে কোন কোন কাগজ লাগে
সাধারণত বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার খাওয়ার জন্য বা ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি কাগজের প্রয়োজন পড়ে উদাহরণস্বরূপ বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা অনলাইন জন্ম সনদ আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে। অবশ্যই আবেদনকারীর পিতা ও মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি সংগ্রহ করতে হবে এবং ঠিকানা প্রমাণপত্র সেখানে উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিল অথবা গ্যাস বিল এর করপরিষদ করার রশিদ সেখানে যুক্ত করতে হবে।
অবশ্যই ব্লাড গ্রুপের প্রমাণপত্র অথবা রক্তের গ্রুপ টেস্ট করার যে রিপোর্ট পত্র আছে সেটা সেখানে উপস্থাপন করতে হবে। নিচে একটি তালিকার মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে এ বিষয়ে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
নাগরিক সনদ
প্রত্যয়ন পত্র
পিতা মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি
ইউটিলিটি বিলের কপি
ট্যাক্স কর পরিষদ রশিদ
রক্তের গ্রুপের রিপোর্ট
যদি কারো পাসপোর্ট নাম্বার বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নাম্বার থাকে সেটা যদি তারা এনআইডি কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চায় তাহলে সেটা করার জন্য এই লাইসেন্স গুলোর ফটোকপি কাগজ এখানে উপস্থাপন করতে পারে। অবশ্যই সরাসরি উপস্থিত হয়ে এখানে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সাধারণত এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে দীর্ঘদিন সময় লাগতে পারে একজন মানুষকে ভোটার আইডি কার্ড তার হাতে পেতে। তার কারণ হচ্ছে পুরো দেশের কাজ একই সঙ্গে পরিচালিত হয় এক্ষেত্রে সময়সূচির প্রয়োজন পড়ে তবে একটি সুবিধার কথা না বললেই নয়। ভোটার আইডি কার্ড পেতে দেরি হল আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড খুব দ্রুত সংগ্রহ করতে পারলে এবং অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড খুব দ্রুত কিভাবে আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন সেটা জানাবো।
অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে যে স্লিপ দেওয়া হয়েছে সেই স্লিপের নাম্বারটি ব্যবহার করে আপনি জেনে নিতে পারেন আপনার ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা। এবং আপনি চাইলে তৈরি হওয়া সেই ভোটার আইডি কার্ড সম্পূর্ণ ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে ভোটার আইডি কার্ডের মতন ব্যবহার করতে পারেন এটা অনেক বড় একটি সুযোগ। তাদের ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে তারা অবশ্যই এই পদ্ধতিতে ভোটাধিকার ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন।