কি খেলে পাইলস ভালো হয়

মানুষের রোগের অন্ত নেই। তাই সব সময় শরীরকে সুস্থভাবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি নজর দিতে হবে। খাদ্য অভ্যাস যদি ঠিক থাকে তাহলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে। আমরা মনে করি শুধুমাত্র মাছ মাংস ডিম এগুলো ভালো ভালো খাবার। দামি খাবারগুলোই যে ভালো খাবার এটি কখনো ঠিক নয়। তাই অনেক সময় দেখা যায় যে এই খাবারগুলি অথবা মুখরোচক খাবারগুলি যদি আপনি খান তাহলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় ভুগতে পারেন। অর্থাৎ শারীরিকভাবে যদি সুস্থ থাকতে হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই খাদ্যভাসের প্রতি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া উচিত। নরমাল অর্থাৎ আমাদের প্রাকৃতিক উচ্ছেদ যে খাবারগুলো সেই খাবারগুলো খেয়ে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।

এর জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি এবং প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে তাহলে শরীরের খাবার গুলি যেমন অতি অল্পতেই ডাইজেস্ট হবে আপনার শরীর ও সুস্থ থাকবে। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষের শোনা যায় পাইলসের কথা। পাইলস একটি জটিল রোগ এই রোগটি একবার শরীরে যদি বাসা বাঁধে তাহলে এটি সারাতে অনেক কষ্ট করতে হয়। এবং যেহেতু পাইলস পায়ুপথের একটি রোগ এই কারণে মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও লজ্জাবোধ করে। কিন্তু যখন অনেক বিপদে পড়ে তখন আর রক্ষে থাকে না যেতেই হয় চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু এর জন্য আমরা যদি প্রথম থেকেই সচেতন হই তাহলে পাইলস রোগ হয়তো হতে দেওয়া যেত না।

অর্থাৎ আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে আর এই কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার জন্য আপনি অতিরিক্ত চাপ দেন মলদ্বারের ওপর। আর তাতেই মালদার ক্ষতিগ্রস্ত হয় মলদ্বারের প্রাচীর ফেটে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। এখন আমরা প্রথমেই দেখব যে পাইলস কেন হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যই হলো একমাত্র পাইলসের কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেট পরিষ্কার থাকে না এবং মন তাকে শক্তি প্রয়োগ করতে হয় যার কারণে পাইলসের সমস্যা হয় বলেই মনে করা হয়। যে সকল ব্যক্তিবর্গদের দাঁড়িয়ে অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় তাদেরকেই এই রোগের শিকার হতে হয়। আবার অনেক সময় মেদের কারনেও পাইলসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই কারণে আমাদের উচিত শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ চর্বি ইত্যাদি শরীর চর্চার মাধ্যমে এবং খাদ্যভাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অর্থাৎ ডায়েট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলে দেওয়া যায়। আর যদি আপনি এই কাজটি সুষ্ঠুভাবে করতে পারেন তাহলে অবশ্যই পাইলসের সমস্যা থেকেও মুক্ত হতে পারেন। আবার দেখা যায় যে গর্ভবতী থাকা অবস্থায় অনেক মেয়েরাই পাইলসের সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাই আমাদের সব সময় ন্যাচারাল খাবার গুলো অর্থাৎ শাকসবজি এবং পানি বেশি করে খেলে অবশ্যই মলদ্বারে চাপ পড়বে না এবং মেদ জমে না বলেই আশা করা যায়। আবার প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম অর্থাৎ শারীরিক পরিশ্রম যদি না হয় তাহলে শরীর চর্চা বা ব্যায়ামের মাধ্যমে গেলে আপনার পাইলসের মত অসুখগুলো আসতে পারবে না।

তেল চর্বিযুক্ত খাবারগুলো বাদ দিতে হবে তাহলে পাইলস থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। তেল মসলাযুক্ত খাবার অর্থাৎ তেল মসলাযুক্ত আশ্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে এগুলি হজমের ওপর প্রভাব ফেলে। জাঙ্ক ফুড অতিরিক্ত পশুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি অর্থাৎ পাতাযুক্ত শাকসবজি গুলো বেশি করে খেতে হবে। তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আস্তে আস্তে পাইলসের সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হবেন বলেই আশা করা যায়। অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে যে খাবার গুলো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে সেই খাবারগুলো আপনারা এড়িয়ে চলুন তাহলেই পাইলস আস্তে আস্তে ভালো হবে বলেই আশা করা যায়। এই ধরনের তথ্যগুলো পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে সাথে থাকতে পারেন। কারণ আমরা সব সময় আপনাদের জন্য সঠিক তথ্য উপস্থাপন করি আমাদের ওয়েবসাইট গুলোতে। তাই আপনাদের যেকোন প্রয়োজনে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন।

Leave a Comment