সায়েন্স শব্দটি আমাদের জীবনের সঙ্গে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জড়িত রয়েছে। তাই আপনারা যখন এই পোষ্টের মাধ্যমে সাইন্স মানে কি তা জানতে এসেছেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে এটা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ বর্তমান যুগে আমরা যেভাবে চলাফেরা করি তাতে করে এই শব্দটির গুরুত্ব এতটাই অপারেশন যে তাদের বিষয়গুলো ছাড়া আমরা কখনোই কিছুই স্বাচ্ছন্দ্য ব্যবহার করতে পারি না অথবা চলতে পারি না।
তাই সাইন্স মানে যদি বুঝিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের বুঝতে অনেক সুবিধা হবে এবং আপনারা হয়তো পরবর্তীতে এ ধরনের বিষয়গুলো জেনে নিয়ে কোন জায়গায় সঠিকভাবে উত্তর প্রদান করতে পারবেন। তাছাড়া বাচ্চাদের শেখানোর ক্ষেত্রে আপনারা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলে তারা হয়তো এ বিষয়গুলো খুব সহজেই মনে রাখতে পারবে।
সাইন্স মানে হলো বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান মানে হলো বিশেষ জ্ঞান। সাধারণ মানুষের চোখে যে বিষয়গুলো খুব সহজ ভাবে ধরা পড়ে একজন বিজ্ঞানের চোখে সে বিষয়গুলো সহজ ভাবে ধরা পড়ে না। তারা যে কোন ঘটনার উৎপত্তিস্থল জেনে নেওয়ার পাশাপাশি সেই ঘটনার বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে তাদের বিশেষ জ্ঞানের মাধ্যমে।
অর্থাৎ পার্থিব এই জগতের সঙ্গে সেই বিষয়গুলো কেন করছে তার মেইন ঘটনাগুলো খুঁজে বের করাটাই প্রধান কাজ। তাই বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা বর্তমান সময়ে যে সুন্দর পৃথিবীতে বসবাস করছি অথবা যে বিশেষ জ্ঞান ব্যবহার করার মাধ্যমে যত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সেগুলো আসলেই আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন।
একজন সাধারণ মানুষ যে বিষয়গুলো খুব সহজেই উপভোগ করছে সে বিষয়গুলো বিজ্ঞানীরা অনেকদিন পরিশ্রম করার ফলে গবেষণার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট আউটপুটে নিয়ে এসেছে। কোন একটা জিনিস তৈরীর ফর্মুলা যদি তারা বের করে ফেলতে পারে তাহলে সেখানেই কমবেশি করে অনেক ধরনের জিনিস তৈরি করতে পারবে এবং সেগুলো মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারবে।
তবে বিজ্ঞান মানেই যে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার হয়ে থাকবে তা না বরং অনেক সময় অকল্যাণকর কাজের ক্ষেত্রেও অথবা বিধ্বংসী আচরণের ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই সাইন্স হলো বিজ্ঞান এবং এই বিজ্ঞানের বদলাতে বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের এই পৃথিবীতে অনেক অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে পেরেছি। তাই যারা বিজ্ঞান সংক্রান্ত তথ্যগুলো জেনে নিতে পারলেন তাদের জন্য অনেক ভালো হলো বলে আপনারা দৈনন্দিন জীবনে নিজেদেরকে আপডেট রাখতে পারছেন।
যে ডিভাইস ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা সাইন্স মানে জানতে এসেছেন সেটাও সাইন্স এর আবিষ্কার। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এমনকি ঘুমের ভেতরেও আমরা যে সকল সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাচ্ছি সেগুলো সকল কিছুই বিজ্ঞানের আবিষ্কার। তাই বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগে এই কথাটা আমরা সবসময় মানি এবং সেই
অনুযায়ী তাদের ব্যবহার করি। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার পর ডাক্তারি থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার অথবা অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পড়াশোনা করার জন্য বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে থাকে। কোন কিছু তৈরি করার প্রতি যদি আপনার সূত্র ব্যবহার করার ভিত্তিতে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই বিজ্ঞান বিষয়টি আপনার জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও শিখনীয় একটা বিষয়।