পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

অসুস্থ হলে আমাদের পাতলা পায়খানা হয়। এছাড়াও আপনারা জানেন যে বদহজম হলে অর্থাৎ যদি খাবার ঠিকমতো হজম না হয় বা পরিপাক না হয় তখন পাতলা পায়খানা হতে পারে। আর যখন অতিরিক্ত পরিমাণে পায়খানা হয় এবং পায়খানা সাধারণত জলের মতো বের হয়ে যায় তখন তাকেই পাতলা পায়খানা বলা হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় যেকোনো সুস্থ মানুষ দিনে এক থেকে দুইবার টয়লেটে বা পায়খানায় যেতে পারে কিন্তু পাতলা পায়খানা হলে ঘন ঘন খুব তাড়াতাড়ি পায়খানায় যেতে হয় এবং যতক্ষণ পর্যন্ত পেটে কিছু থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত পায়খানা হতেই থাকে এবং সেটি অবশ্যই তরল এবং জলের মতো হয়ে থাকে আর তখনই বলা হয় যে পাতলা পায়খানা

হয়েছে। তাই আমরা বুঝতে পারবো যে স্বাভাবিক অবস্থা থেকে যদি বেশি বারে বারে পায়খানা হয় এবং সেই পায়খানা যদি তরল হয়ে থাকে তখন পাতলা পায়খানা হয়েছে বলে বিবেচনা করতে পারেন। তবে পাতলা পায়খানা হলে যেহেতু শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বের হয়ে যায় এই কারণে শরীর শুকিয়ে যায় এবং শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যেই। আপনারা জানেন একটা সময় কলেরা মহামারী আকার ধারণ করেছে এবং মহামারি আকার ধারণ করার কারণে গ্রামের পর গ্রাম মৃত্যু হয়েছে আর মৃত্যুতে উজার হয়ে গেছে।

কেন পাতলা পায়খানা হয়

যখন খাবারের মধ্যে দিয়ে অথবা অন্য যে কোন কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু প্রবেশ করে থাকে তাহলে পাতলা পায়খানা হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফুড পয়জনিং এর কারণেও পাতলা পায়খানা হয়। আবার কোন কোন ঔষধের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ আমরা দেখে পাই যে পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এই কারণে বলা যায় যে পাতলা পায়খানা কোন একটি কারণে হবে এটি হতে পারে না বিভিন্ন কারণেই পাতলা পায়খানা হতে পারে এবং পাতলা পায়খানা কেন হচ্ছে অবশ্যই আমাদের তার কারণ খুঁজে নিতে হবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পাতলা পায়খানা সাধারণত যদি বদহজম হয় অর্থাৎ যে খাবার আমরা খায় সে খাবারটা

ঠিকমতো হজম করতে পারি না তখন পাতলা পায়খানা হতে পারে বা হয়। এই কারণে আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে আমরা যে খাবারটা খাব সে খাবারটা যেন আমাদের ভালো এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয় সেদিকে সবসময় খেয়াল রেখে খেতে হবে তাহলে অবশ্যই পাতলা পায়খানা হাত থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। তবে আরেকটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে যে আমরা যেন সবসময় নিরাপদ পানি পান করি কারণ পেটের যতগুলো রোগ হয় সবগুলো পানি বাহিত রোগ বলেই বেশি মনে করা হয় আর এজন্য আমরা নিরাপদ পানি পান করলে পেটের রোগগুলো থেকে অবশ্যই মুক্ত হতে পারি বা মুক্তি পেতে পারি ।

পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

আমরা জানি যে সকল ফল অনেকটাই ভালো এবং খুব সহজে হজম হতে পারে। কিন্তু কোন কোন ফল রয়েছে যে ফলগুলো শাহজাহাজা ময়না তাই সেই ফলগুলো অন্ততপক্ষে পাতলা পায়খানা হওয়ার সময় খাওয়া যাবে না বলে মনে করা হয়। তবে এখন আপনাদেরকে দেখতে হবে যে পাতলা পায়খানা হলে কোন ফল গুলো আমরা খেতে পারি বা সেই ফলগুলো খেলে পাতলা পায়খানার উপর অবশ্যই একটি প্রভাব বিস্তার করবে এবং আমাদের শরীর ও সুস্থ রাখবে। সাধারণত পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেসব খাবারে

পটাশিয়াম বেশি সেগুলো খাওয়া খুবই জরুরি, কারণ এতে করে ডায়রিয়ার কারণে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পটাশিয়াম আবার পুনস্থাপিত হবে। মসুর ডাল, কলা, আম, আমারস, পেঁপে, নারিকেলের দুধ এবং টক জাতীয় ফলের মধ্যে আছে প্রচুর পটাশিয়াম। এই খাবারগুলি যদি আমরা ডায়রিয়া হলে বা পাতলা পায়খানা হলে খাই তাহলে অবশ্যই সেই সময় শরীর সুস্থ রাখবে এবার শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এ ধরনের তথ্যগুলি পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন বলে মনে করি।

Leave a Comment