বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি ফল খাওয়া যাবে

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে কি খাওয়ানো ঠিক হবে আর কোন খাদ্যগুলো খাওয়ানো ঠিক হবে না সেই সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। ডায়রিয়া হলে বাচ্চাদের শরীর থেকে সব পানি বেরিয়ে যায় সে ঘাটটি পূরণ করতে হলে বাচ্চাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। বাচ্চাদের পানির শূন্যতা দূর করতে আপনারা স্যালাইন,জুস,ডাবের,পানি সহ সকল খাবার খাওয়াতে পারেন। বাচ্চাদের শুধু তরল খাবার খাওয়ালে হবে না তরল খাবার শরীরের শক্তি চাহিদা পূরণ করতে পারে না সে কারণে, তরল খাবারে পাশাপাশি অবশ্যই শক্ত খাবারও বাচ্চাদের খাওয়াতে হবে।

বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে সঠিকভাবে খাদ্য খাওয়াতে হবে তাকে নরম খাবার দিতে হবে যেমন নরম খিচুড়ি, পানি দই কলা মুরগির মাংস ইত্যাদি সহ সকল ধরনের খাবার আপনারা খাওয়াতে পারেন। ডায়রিয়া হলে বাচ্চাদের প্রচুর পরিমাণে তরল পদার্থ খাওয়াতে হবে, লেবুর শরবত ভাতের মার আপনারা বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন।লাচ্ছি, ডাবের পানি, কম লিকারের চা, ইত্যাদি।

ডায়রিয়া হলে শিশু যদি বুকের দুধ খায় তাহলে তাকে বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে কারণ ডাইরিয়া বন্ধ হওয়ার পর শিশুকে একবেলা বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।

শিশুর ডায়রিয়া হলে যা খাওয়ানো ভালো

১। প্রচুর শক্তি সমৃদ্ধ খাবার:চর্বি, দই প্রচুর শক্তি সমৃদ্ধ খাবার যা সব চাইতে বেশি উপকারী জন্য। এই খাবারগুলো বাচ্চাদের ডায়রিয়ার সময় অনেক শক্তির সংসার করে। তাই অল্প দামে যে খাবারগুলো পাওয়া যায। যে খাবারগুলো স্বল্পদামে পাওয়া যায় সেগুলো অবশ্যই আপনাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন কারণ শরীরে পুষ্টির অনেক প্রয়োজন রয়েছে এটা আইডিয়া হবার পরে।

২। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার:যেসব খাবারে পটাশিয়াম বেশি সেগুলো খাওয়া খুবই জরুরি, কারণ এতে করে ডায়রিয়ার কারণে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পটাশিয়াম আবার পুনস্থাপিত হবে।মসুর ডাল, কলা, আম, আমারস, পেঁপে, নারিকেলের দুধ এবং টক জাতীয় ফলের মধ্যে আছে প্রচুর পটাশিয়াম।

৩। প্রোবায়োটিক:পরিপাকতন্ত্রকে ডায়রিয়াজনিত সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করতে একটা চমৎকার পথ্য হলো প্রোবায়োটিক। এই পথ্যে জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া থাকে,যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সাথে প্রতিযোগিতা করে তাদের খাদ্যে ঘাটতি সৃষ্টি করে। এতে করে সংক্রামক জীবাণুগুলো মরে যায়। দই একটি প্রোবায়োটিক।এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শে ফার্মেসি থেকেও কিনে প্রোবায়োটিক খাওয়াতে পারেন।

শিশুর ডায়রিয়া হলে যা খাওয়ানো উচিত না:ডায়রিয়ার সময় কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে–

১। প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার যেমন–তুলনামূলক শক্ত ফল বা শাক সবজি, হোল গ্রেইন সিরিয়াল।

২। বেশি মশলা দেওয়া খাবার।

৩। অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবারও ডায়রিয়াকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্য কোনো দুধ; সরাসরি না খাওয়ানোই ভালো, দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার দেওয়া যেতে পারে।ডায়রিয়ায় শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে তাই শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনাটা জরুরি। সেই কারণে স্যালাইন ও অন্যান্য তরলের পাশাপাশি যথাযথ শক্ত খাবার খেতে থাকাটাও জরুরি। তাতে দ্রুত শক্তি ফিরে পেয়ে ত্বরান্বিত হবে সুস্থ হওয়া।

আমরা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি আপনার শিশুর ডায়রিয়া হলে কোন ফল গুলো খাওয়া উচিত বা কোন খাবার গুলো খাওয়া উচিত না সেগুলো সম্পর্কে আপনারা সুনির্দিষ্ট একটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। আপনারা আমাদের পোস্টে উল্লেখিত কথাগুলো সুন্দরভাবে পড়লে অবশ্যই আপনারা আপনার শিশুদের যত্ন সহকারে চিকিৎসা দিতে পারবেন।

সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার বাচ্চাদের চিকিৎসা আপনার পাশের হসপিটাল থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করার। কারণ ছোট বাচ্চাদের নানান রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে তাদের কখনোই বাসায় বেশিদিন অসুস্থ করে রাখবেন না যত তাড়াতাড়ি পারবেন তাদের চিকিৎসার জন্য হসপিটালে নিয়ে যাবেন। সবার বাচ্চা ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক এই কামনাই আজকের পোস্টটি শেষ করলাম।

Leave a Comment