স্বাভাবিকভাবে যে সময় গুলো মানুষজন পার করে থাকে তাতে করে যে কোন ধরনের খাবার খেলে তা মানুষের শরীরের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। আর গর্ভধারণ করলে সেই সময় নারীদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় এবং সেই নারীর শারীরিক অবস্থা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি নারীর খাদ্য যাতে গর্ভের সন্তান পেয়ে থাকে সে বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই পোষ্টের মাধ্যমে যারা গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না তা জানতে চেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বিশেষ তথ্য জানাতে চলেছি। এখান থেকে আপনারা এই তথ্যগুলো জেনে নিয়ে গর্ভধারণ অবস্থায় বিশেষ পদ্ধতি অথবা বিশেষ তথ্যগুলো জেনে নিন।
গর্ভধারণ করা অবস্থায় একজন নারী ক্রিটিকাল অবস্থায় থাকে এবং এই সময় তার শরীরের ব্যাপারে সবসময় সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। সাধারণত একজন নারী অন্যান্য সময় যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন গর্ভধারণের সময় তার শরীরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আসে এবং শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের কারণে তার খাবার দাবারের ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করা উচিত। তাই গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খেলে সেটা একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে কিছু কিছু ফলমূল একেবারেই বাদ দিয়ে চলতে হবে। কারণ অন্যান্য সময় সে সকল ফলমূল মানুষের শরীরে উপকারী ভূমিকা পালন করলেও গর্ভ অবস্থায় সে সকল হরমোন বিপরীত ভূমিকা পালন করে। এখানে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা প্রথমেই বলব এই অবস্থায় একজন গর্ভবতী নারীকে পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। স্বাভাবিকভাবে পেঁপে অন্য সময় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে থাকলেও গর্ভ অবস্থাতে এটা খেয়ে থাকলে সেই নারীর গর্ভপাতের সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার এই সময় যদি পেঁপে খাওয়া হয় তাহলে পেঁপেতে উপস্থিত পাপেইন উপাদানটি নারীর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মাসে ব্যাপক ঝুঁকের মধ্যে ফেলে দেয়।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আনারস ফলটি একেবারেই বাদ দিতে হবে। যদিও টক মিষ্টি ফল হিসেবে অনেকেই এটা খেতে পছন্দ করেন তারপরও গর্ভবতী মহিলাদের আনারস খাওয়ার ব্যাপারে আমরা না জানিয়ে দেব। প্রধান কারণ হলো আনারসে ড্রোমেলিন নামক এক ধরনের উপাদান পাওয়া যায় এবং এই উপাদান মহিলাদের জরায়ুকে নরম করে তোলে। আর এর ফলে আনারস খাওয়া উচিত নয় এবং সন্তান প্রসবের আশঙ্কাকে আরো বৃদ্ধি করে। তাই গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেলেও সেটা খুবই স্বল্প পরিমাণে খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা
অবস্থায় একজন নারীকে আঙ্গুর খাওয়ার ব্যাপারে সব সময় ডায়েটিশিয়ানরা না জারি করে থাকেন। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়ার ব্যাপারে তথ্য জানতে চান তাহলে বলব যে আঙ্গুর উৎপাদনের সময় কৃষকেরা যে কীটনাশক ব্যবহার করে সেই কীটনাশকের বিষয়গুলো একজন নারীর শরীর অত্যন্ত ক্ষতিকর ভূমিকা পালন করে। আঙ্গুরের রাস ভেরা ট্রল নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে যে উপাদানটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বাড়াতে সাহায্য করে এবং সেই বিষাক্ত পদার্থের ফলে একজন নারীর ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় কি ফল খাওয়া উচিত নয়
একজন নারী যদি গর্ব অবস্থায় সময় গ্রীষ্মকাল পড়ে তাহলে সেই সময় তরমুজ অনেক বেশি পরিমাণে আমদানি হয়। তরমুজ এমন একটা ফল যেটা শরীরের আদ্রতা ধরে রাখে এবং সেই সাথে শরীরের ভেতরের বিষাক্ত পদার্থ গুলো বের করে দিতে পারে। এতে করে একজন গর্ভবতী নারী যদি তরমুজ খেয়ে থাকে তাহলে শরীরের টক্সিন গুলো বের করে দেওয়ার পাশাপাশি নারীর সেই ব্রণে ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। তাই তরমুজ খেলেও সেটা খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে এবং বেশি পরিমাণে খেয়ে সেটা ঠান্ডা লাগার কারণ করা যাবে না।
গর্ভাবস্থায় কি ফল বাদ দিয়ে খেতে হবে
আপনারা যদি গর্ভাবস্থায় কি ফল বাদ দিয়ে খেতে হবে তা জানতে চান তাহলে বলব যে খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল হলেও এটা বাদ দিয়ে চলতে হবে। কারণ খেজুর খাবারের ফলে শরীরকে উত্তপ্ত করে তোলে এবং এটার ফলে যারা ওর পেশিগুলোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জরায়ুতে সংকোচনের কারণ হতে পারে। আর এই কারণে গর্ভাবস্থায় যদি একজন নারী অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খেয়ে থাকে তাহলে সেটা তার সমস্যার কারণ হবে। গর্ভাবস্থায় প্রত্যেকটি নারীর জীবনে একটা উল্লেখযোগ্য সময় এবং এই সময়কে অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সকল ধরনের বেধ-নিষেধ মেনে চলতে হবে।