শরীরে যখন রক্তের ভিতর অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি প্রবেশ করে অথবা বিভিন্ন খাদ্যের কারণে যদি আমাদের চিনির পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তখনই মানুষ বহুমূত্র ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়। এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর একটা বিষয় এবং আপনি যদি পরবর্তী সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে আপনার অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে। তবে ডায়াবেটিস হলেই যে প্যানিক হতে হবে এমন ভাবে না ভেবে আপনারা অবশ্যই নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন এবং নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রিত জীবন ব্যবস্থা মেনে চলতে পারলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস হওয়া অবস্থায় আপনারা যদি বিভিন্ন খাবারের ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করেন অথবা শর্করা জাতীয় খাবার এড়িয়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার জন্য এটা খুবই ভালো হবে। শেষ করে যাদের ওজন বেশি তারা চাল চিনি ময়দা এ সকল জাতীয় জিনিস থেকে তৈরি প্রসেস ফুড বাদ দিয়ে যদি শাক সবজির প্রতি ঝুঁকে পড়তে পারেন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি গুড খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তবে ডায়াবেটিস হলেই যে আপনারা বিভিন্ন ফলমূল খাবেন তা না করে যে বেশ কিছু ফলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে যে ফল আমাদের মুখে মিষ্টি লাগে তাতে কিন্তু চিনির পরিমাণ রয়েছে এবং এই চিনি আপনাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে। যেহেতু প্রাকৃতিক খাদ্যের মাধ্যমেই হোক অথবা যে কোন খাদ্যের মাধ্যমেই হোক আপনার রক্তের ভেতরে চিনি পৌঁছাচ্ছে সেহেতু সেখান থেকে আপনার ইনসুলিন নামক বিষয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না। তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নির্দিষ্ট ফল খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে এবং মিষ্টি জাতীয় ফল আগেই বাদ দিতে হবে।
দেখা যায় যে অনেক সময় ডায়াবেটিস হওয়ার কারণে আপনার অনেক সমস্যা হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আপনি যখন এ ধরনের সমস্যায় পড়বেন অথবা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন ধরনের ফল খেলে সুবিধা হয় তা জানতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা প্রথমে বলব মিষ্টি জাতীয় ফল বাদ দিয়ে অন্যান্য কিছু ফল রয়েছে যেগুলো খেলে আপনার শরীরের জন্য খুব উপকারী ভূমিকা পালন করবে। তাই ডায়াবেটিস অবস্থায় আপনারা কি কি ফল খাবেন সেটা আমরা নিচের দিকে সুন্দরভাবে আলোচনা করছে এবং আপনারাও তা মনোযোগ দিয়ে পড়ে জেনে নিন।
সুগার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে
সাধারণত আমাদের আর্থিক অবস্থা এবং ইনকামের উপর নির্ভর করে আমরা পেট ভরার জন্য শর্করা নির্ভর জীবন যাপন করি। তাই হয়তো ডায়াবেটিস হয়ে থাকলে আপনি সকল ধরনের খাবার খেতে পারবেন না অথবা সেটা যদি কেউ থাকেন তাহলে আপনাকে অসুস্থতার ভিতর দিয়ে যেতে হবে। ডায়াবেটিস হলে অথবা সুগার হলে আপনারা যে সকল ফল খাবেন সেগুলো হয়তো অনেকের কাছে অনেক দামি বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আমাদের গ্রাম বাংলায় অনেক কম দামে কিছু দেশী ফল পাওয়া যায় যেগুলো আমরা সংগ্রহ করতে পারি।
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া উচিত
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন কোন ফল কিনে খাব এবং সেই ক্ষেত্রে আমরা বলব যে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের ফল আপনাদের জন্য কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে গ্রামবাংলায় পাওয়া যায় বাতাবি লেবু, আমড়া, কলা ইত্যাদি। তবে এখানে কলা খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকলেও আপনার অবশ্যই বেশি পাকা কলা খাবেন না বরং একটু কম পাকা কলা খাবেন। এছাড়াও সিজনাল বিভিন্ন ধরনের ফল রয়েছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে আম অত্যন্ত মিষ্টি ফল এবং কাঁঠাল অত্যন্ত মিষ্টি ফল হওয়ার কারণে এগুলো যেগুলোতে মিষ্টি কম রয়েছে সেইটা খেতে হবে।
কোন ফল খেলে ডায়াবেটিস কমে
তাই বিভিন্ন ধরনের সিজনাল ফলের মধ্যে রয়েছে আনারস, পেয়ারা, তরমুজ ইত্যাদি। এছাড়া আপনারা আপেল, নাশপাতি, কিউই, জাম এ ধরনের ফলগুলো খেতে পারেন। আপনারা এখানকার এই তথ্যগুলো পড়ে নেওয়ার মাধ্যমে ফলের নাম জেনে নিতে পারেন এবং যে সকল ফল টক সমৃদ্ধ সেগুলো খেলে কিন্তু আপনাদের শরীরে ভিটামিন সি পূরণ হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।