ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয়

আজকে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব এবং এই বিষয়টি আমরা বরাবরই এড়িয়ে চলি। জাতি হিসেবে যদি আমরা সব দিক দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই তাহলে অবশ্যই এই দিকটাও সমান গুরুত্ব দিতে হবে কিন্তু এই জিনিসটার চর্চা আমাদের পরিবার থেকে কখনোই হয় না। যেটা নিয়ে কথা বলব সেটা হচ্ছে ওষুধের প্রতি সচেতনতা। ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান এবং সেই ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া ঔষধের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান যদি আমাদের না থাকে তাহলে সেটা আস্তে আস্তে পুরো একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এ বিষয়ে ছোট্ট একটি প্রতিবেদন থাকবে আমাদের এখানে আশা করব এই ভাবেই অল্প পরিসরে আপনারা শুরু করবেন এবং আস্তে আস্তে পুরো দেশকে জানাবেন একটি ঔষধের অপব্যবহার কতটা সাংঘাতিক হতে পারে মানব শরীরের জন্য।

আপনার যদি খুদা না লাগে তাহলে কি আপনি বারবার ভাত খাবেন? একবার না হয় খেলেন দ্বিতীয়বার কি আর খেতে পারবেন? তখন যদি জোর করে খান তাহলে আপনার শরীরের অবস্থা কেমন হবে এবং সেই সময় আপনার অনুভূতিটা কেমন হবে একটু ভেবে দেখুন তো? ঠিক তেমনি যে ওষুধের কোন প্রয়োজন নেই যে ঔষধ এ উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনার শরীরে আগে থেকেই মজুদ আছে সেই ঔষধ কেন আপনি বারবার অতিরিক্ত খাবেন । আর সেটা যদি খান তাহলে শরীরের জন্য কি প্রভাব ফেলতে পারে সেটা তো পরিষ্কারভাবেই বুঝতে পারছেন।

অতিরিক্ত মাত্রায় যদি ভিটামিন ডি খাওয়া হয় ওষুধের মাধ্যমে তাহলে কোন ধরনের ক্ষতি আমাদের তৈরি হতে পারে সেটা আমরা আজকে জানব। সাধারণত খাবারের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খাওয়াটা প্রায় অসম্ভব তার কারণ হচ্ছে খাবারে খুবই কম পরিমাণ ভিটামিন ডি আছে তাই সব কয়টা খাবার যদি আমি এক সঙ্গেও খায় তা অতিরিক্ত ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করার কথা নয়। ওষুধের মাধ্যমে ভিটামিন ডি খেলে সাধারণত কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিনের কারণে হাইপার ক্যালসিমিয়া ধরনের রোগ তৈরি হতে পারে। যার কারণে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং স্ট্রোক ও হৃদ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

ভিটামিন ডি অতিরিক্ত খেলে কি হয়

আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি এই ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী ভিটামিন কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে সেটা আমাদের শরীরে অনেক বড় ক্ষতি পেছনেও দায়ী থাকতে পারে।

কিডনির সমস্যা
হাড়ের যন্ত্রণা
হাইপার ক্যালসিয়ামিয়া
শারীরিক দুর্বলতা
পেট ব্যথা
ডায়রিয়া
এলার্জিক রিএকশন
মাথা ঘোরা
স্টোক
হার্ট অ্যাটাক

আমরা উপরে যে রোগগুলোর কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছে আশা করছি সেটা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত আছি। ওই যে প্রথমের দিকে আমি একটি উদাহরণ দিয়েছি ভাত খাওয়ার সঙ্গে ঔষধ খাওয়া এখানেও ঠিক একই জিনিসটা আমি আবারও বলতে চাচ্ছি। আপনি যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন ডি খান তাহলে ওপরে উল্লেখ করা রোগ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি রোগ আপনার হতে পারে এবং এটা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা।

অস্বাভাবিক ঘটনা হচ্ছে আপনি কেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন বি খাবেন আপনার মাথা কি নষ্ট হয়ে গেছে? আপনার যদি ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয় হয় তাহলে আপনি অবশ্যই একটি ভিটামিন ডি টেস্ট করাতে পারেন তারপর নিজেই সেটা নির্ণয় করতে পারেন । আরে প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একজন ভালো রেজিস্টার বিশেষজ্ঞ মেডিসিন চিকিৎসকের পরামর্শ আপনাকে নিতে হবে এ বিষয়ে সব থেকে অভিজ্ঞ একমাত্র তিনি।

তারপর দুজনে মিলে বসে আপনারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন আপনার ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন আছে কিনা যদি থাকে তাহলে কি পরিমান খেতে হবে সেটাও সেই চিকিৎসক আপনাকে নির্দেশনা দেবে। আজকে শুরু করলাম ভিটামিন ডি দিয়ে কিন্তু এ বিষয়টি প্রত্যেকটা ওষুধের ক্ষেত্রেই সাংঘাতিক যেমন আমাদের চিরচেনা সবথেকে পছন্দের ঔষধ গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ অথবা জ্বরের প্যারাসিটামল ঔষধ। এই দুইটা ঔষধের অতিরিক্ত ব্যবহার ও যে একটা মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে সেটা আমরা অনেকেই জেনেও না জানার বাহানা করি।

 

 

Leave a Comment