এক তালাক দিলে কি হয়

এখনকার সময়ের সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হলো ডিভোর্স। আশেপাশের লক্ষ্য করলে দেখবেন অনেক দম্পতির মধ্যে কোন অজানা কারণেই ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। অজানা কারণে বললাম এই কারণেই যে কি জন্য ডিভোর্স হচ্ছে তা হয়তো আমরা জানতে পারছি না কিন্তু তারা ঠিকই জানে। এভাবে ডিভোর্সের হার বেড়ে যাওয়াটা মোটেও ভালো কোন লক্ষণ নয়। ডিভোর্স বেড়ে যাওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে যে বিষয়ে আমাদের দেশের অনেক বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়ে থাকেন বিভিন্ন পত্রিকায়। আমরা যদি পত্রিকায় ডিভোর্স সংক্রান্ত খবরগুলো পড়ে থাকি তাহলে দেখতে পাবো ঠিক কি কারনে ডিভোর্সের হার এভাবে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক না গেলে তারা শেষ পর্যন্ত ডিভোর্সে সিদ্ধান্ত নেয়। ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর হয়তো তারা নতুনভাবে জীবন শুরু করে কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় তাদের বাচ্চাদের। আজ আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলব যেখানে ডিভোর্স নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং আরো আলোচনা করা হবে এক তালাকের বিষয় নিয়ে। আসলেও এক তালাক দেওয়া সম্ভব কিনা এবং সম্ভব হলে কিভাবে দিতে হয় , এক তালাক দিলে কি হয় সে বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করব এই লেখায়। আপনারা যারা এখনো এক তালাক সম্বন্ধে কিছুই জানেন না তারা অবশ্যই জেনে নেওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গ দিবেন একদম শেষ পর্যন্ত।

মুসলমান রীতিতে বিয়ে পড়ানোর সময় স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই কবুল পড়ানো হয়। মুসলমানদের বিয়ে কিভাবে হয় তা সরাসরি না দেখে থাকলেও আমরা হয়তো টিভিতে সিনেমা অথবা নাটকে দেখে থাকবো। আমরা হয়তো এই কথাটি শুনে থাকবো যে বিয়ে কোন ছেলে খেলা নয়। বিয়ে কোন ছেলে খেলা নয়, এই কথাটি আরো বেশি সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয় যখন স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে নতুন আরেকজন মানুষ চলে আসে। একটি মানুষের জীবন নিয়ে আমরা কখনই খেলা করতে পারিনা। স্বামী ও স্ত্রী মিলে একটি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করা মানে হলো সারা জীবন সেই সন্তানের যত্ন নেওয়ার শপথ করা।

কিন্তু মাঝপথে যখন স্বামী ও স্ত্রী দুজনে আলাদা হয়ে যায় তখন যে কোন এক পক্ষের ভালোবাসা হারাতে হয় তাদের সন্তানকে। আলাদা হয়ে যাবার পর হয়তো অনেক স্বামী তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রাখতে চান না আবার অনেক স্ত্রী তার স্বামীর সাথে কোনভাবেই দেখা করতে চান না। এমন অবস্থায় একজন ছোট শিশু কখনো কখনো তার বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয় আবার কখনো কখনো তার মায়ের স্নেহ থেকে অনেক দূরে থাকে। এই বিষয়টি একজন শিশুর উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

নানান কারণে একটি দম্পতি আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারে। এখন আপনাদের জানাবো দম্পতিদের আলাদা হয়ে যাবার সাথে এক তালাকের কি সম্পর্ক থাকতে পারে এবং এক তালাক আসলে তাদের জন্য মঙ্গলজনক নাকি অমঙ্গলজনক। যখন স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে উভয়ে বুঝতে পারে তাদের সম্পর্কের মধ্যে কোন সমস্যা হচ্ছে এবং তারা হয়তো এই সম্পর্ক টিকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না তখন তাদের একটি সিদ্ধান্তে আসতে হয়। তাদের কাছে দুইটি পথ খোলা থাকে তার মধ্যে একটি হলো সম্পর্ক সেখানে শেষ করে ফেলা অথবা সবকিছু মেনে নিয়ে আবার নতুনভাবে পথ চলা শুরু করা। তবে এর মধ্যে আরেকটি অপশন থাকতে পারে আর সেই অপশনটি হল এক তালাক।

কেউ যদি নিজের স্বামী অথবা স্ত্রীকে পুরোপুরি তালাক না দিয়ে আরো একবার সুযোগ দিতে চায় তাহলে এক তালাক দিতে পারে। এক তালাক দিলে পরবর্তীতে আবার সেই স্বামী অথবা স্ত্রীর সাথে সংসার করার সুযোগ থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সকল নিয়মকানুন মেনে, নতুনভাবে কবুল পরিয়ে সংসার শুরু করতে হবে। তবে আমরা আশা করব কখনো যেন কারো সংসার না ভেঙে যায়। আপনারা নিজের জীবন সঙ্গীকে নিয়ে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করুন সব সময়।

Leave a Comment