মা বাবাকে কষ্ট দিলে কি হয়

আপনি কি কোন কারনে আপনার বাবা মাকে কষ্ট দিয়েছেন? আপনি কি কোন আচরণের মাধ্যমে আপনার মা-বাবার মনে আঘাত করেছেন? এজন্য আপনি মানসিকভাবে শান্তি পাচ্ছেন না? বাবা-মাকে কষ্ট দিলে কি হয় তা জানতে চাচ্ছেন? আপনার আচরণে বাবা-মা কষ্ট পেয়েছে, তাই আপনি আপনার মনের ভিতর কোনোভাবে শান্তি পাচ্ছেন না? বাবা-মাকে কষ্ট দিলে ইসলামিক কি ধরণের বিধান রয়েছে, তা সম্পর্কে তথ্য জানতে চাচ্ছেন? বাবা মাকে কষ্ট দিলে এর পরিণতি কি হতে পারে তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। এখান থেকে আপনি এ বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন।

পৃথিবীতে একজন সন্তানের কাছে সবচেয়ে আপনজন হচ্ছে তার বাবা-মা। বাবা মাকে কষ্ট দিলেও তারা খুব সহজে সন্তানকে ক্ষমা করে দিতে পারে। কিন্তু যদি কোন কারণে দেখা যায় যে সন্তান বাবা মাকে অনেক বেশি কষ্ট দিয়ে থাকে এবং বাবা-মা ওই কষ্টগুলো ভুলতে পারেনা, তারপরেও বাবা-মা কখনো মন থেকে সন্তানের খারাপ চাই না। কিন্তু কখনো যদি তাদের মন থেকে সন্তানের কষ্টের কথা মনে করে সন্তানের খারাপ কিছু বের হয়ে যায়, তাহলে সেই কথাটি অনেক সময় কার্যকর হয়ে যায়। অর্থাৎ কোন সন্তান যদি ভুল করে বাবা মাকে খুব বেশি কষ্ট দিয়ে থাকে এবং বাবা-মার মন থেকে সে সন্তানের জন্য খারাপ কিছু বের হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ সেই সন্তানের কখনোই মঙ্গল করে না। সেই সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।

এজন্য কোন অবস্থাতেই বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। আর বাবা মা যদি কোন কারনে কষ্ট পেয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই সাথে সাথে বাবা মায়ের কাছে গিয়ে ভুল স্বীকার করতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে। পরবর্তীতে আর কখনো মা-বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হবে না এরকম ভাবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। কারণ বাবা মাকে কষ্ট দিয়ে কোন সন্তান সুখে থাকতে পারেনা, বাবা মাকে খাারাপ রেখে কোন সন্তান ভালো থাকতে পারবে না।

তাই বাবা মাকে কোন অবস্থাতেই কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। আর কোন সন্তান যদি বাবা-মাকে কোন কারনে কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে সেই সন্তানের অনুতপ্ত হওয়া প্রয়োজন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং পিতা মাতার কাছে গিয়ে ভুল স্বীকার করতে হবে। আর পিতা মাতা কখনো সন্তানের ভুলগুলো মাথায় রাখে না। সন্তান যদি পিতা মাতার কাছে গিয়ে ক্ষমা চায় এবং স্বীকার করে তাহলে পিতা-মাতা অনায়াসে সে সন্তানকে ক্ষমা করে দেন।

যদি কোন সন্তান তার বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে থাকে এবং ভুল স্বীকার না করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা সেই সন্তানের উপর অনেক বেশি নারাজ হয়। আর সেই সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন না। আবার ওই সন্তানকে যদি মা-বাবা দোয়া না দেয়, তাহলে ঐ সন্তান কখনো ভালো কিছু করতে পারবে না। অর্থাৎ সন্তান যদি বাবা-মাকে কষ্ট দেয় তাহলে আল্লাহ ঐ সন্তানকে কষ্ট দিবে এবং আল্লাহ ঐ সন্তানের উপর রহমত বর্ষণ করবে না। তাছাড়া

ঐ সন্তান কখনো ভালো থাকতে পারবেনা। বাবা-মা সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে তার সন্তানকে বড় করে তোলার সময়। তারা অনেক বেশি নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে সন্তানকে বড় করে তুলে। কিন্তু সেই সন্তানই যদি বড় হয়ে পিতা-মাতাকে কষ্ট দিয়ে থাকে, পিতা-মাতার ভালো-মন্দ খোঁজ না নেয়, তাহলে অবশ্যই সে সন্তান কখনো ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি বলে ধরে নিতে হবে।

বাবা-মাকে যদি কোন সন্তান কষ্ট দেয়, তাহলে সেই সন্তান কখনো সুখী হতে পারে না। তাছাড়া বাবা-মা অনেক বেশি কষ্ট পাওয়ার কারণে সে সন্তানের উপর বিভিন্নভাবে অভিশাপ দিতে পারে। আবার সন্তানও বাবা মাকে কষ্ট দিয়ে কখনো মানসিকভাবে সুখে থাকতে পারে না। তাই বাবা মাকে কোন অবস্থাতেই কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। যে কথায় তাদের খারাপ লাগে, সে কথা বা আচরণ করা উচিত নয়। আর বাবা-মাকে কষ্ট দিলে সেই সন্তানের ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে এই কথাটি প্রতিটি সন্তানের মাথায় রাখা উচিত।

Leave a Comment