আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসই। ৯০% মানুষ ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী। আমরা যারা ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী তারা একদিনে অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। তবে আপনি জানেন কি ২৪ ঘন্টার মধ্যে কিছু কিছু সময় রয়েছে যে সময়গুলোতে নামাজ আদায় করার নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ পড়লে কি শাস্তি পেতে হতে পারে বা নিষিদ্ধ সময় নামাজ পড়লে কি হয়? সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেজন্য আপনাদেরকে অবশ্যই এই প্রবন্ধটি পড়তে হবে এবং এ প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। যারা মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন প্রবন্ধটি পড়বেন শুধুমাত্র তারাই আমাদের কাছ থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা গুলো পাবেন। আমাদের দেশে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা নামাজ পড়লেও নামাজে সঠিক নিয়ম ও জানেনা।
তাদের জন্য বলছি আমাদের কাছে নামাজের সঠিক নিয়ম রয়েছে। আপনারা যদি নামাজের সঠিক নিয়ম জানতে চান তাহলে আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনারা নামাজের সঠিক নিয়ম গুলো জেনে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনারা চাইলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আপনাদের প্রশ্নগুলো আমাদের কাছে জানাতে পারেন। আমরা সেই সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
কোন সময়ে নামাজ পড়া যাবে আর কোন সময় পড়া যাবে না
আপনাদেরকে সর্ব অবস্থায় সালাত আদায় করতেই হবে। তবে নারী হিসেবে কেবল নিষিদ্ধ অবস্থা বাদে যেকোনো সালাতের সময়কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন: প্রথম, দ্বিতীয় ও শেষ সময় ধারণা করা যায় যে বা মনে করুন জোহর শুরু হয় দুপুর বারোটা বাজে আর শেষ হয় বিকেল তিনটা ৩০ মিনিটে। মোট সময় তিন ঘন্টা তিরিশ মিনিট থেকে একটা দশ মিনিট পর্যন্ত এটা মূলত উত্তম সময়। এই সময় সালাত আদায় করলে সেটা গ্রহণযোগ্যতা বেশি পায়। দ্বিতীয় সময় হলো একটা দশ থেকে দুইটা বিশ মিনিট এই সময় সালাত আদায় করলে সালাত এর স্বভাব কিছুটা কম হতে পারে আর শেষ সময় হলো দুইটা বিশ থেকে তিনটা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে সালাত আদায় করলে সবচেয়ে কম সওয়াব পাওয়া যেতে পারে। কাজেই সবসময় উত্তম সময় বা উত্তম ওয়াক্তে সালাত আদায় করা শ্রেয়।
তবে বলা যায় যে, যে সকল নারীরা নিষিদ্ধ অবস্থায় থাকেন অর্থাৎ মাসিক অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে না। এই সময়কে নিষিদ্ধ সময় বলা হয়। এ সময় কোন হবে নামাজ আদায় করা যাবে না। আরো বেশ কিছু সময় রয়েছে যে সকল সময়গুলোতে নারীদেরকে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। মূলত যখন সূর্য ডুবছে, সূর্য ডোবার প্রান্তে তখন নামাজ আদায় না করলেও সেটা করা যাবে। মূলত বলা যায় যে যদি কেউ নামাজে দাঁড়িয়ে যায় এবং সে নামাজ সঠিক সময় মত শেষ করতে না পারে তবে শেষ করে ফেলা উচিত। আর যত দ্রুত সম্ভব সেটা শেষ করে ফেলা উচিত।
নিষিদ্ধ সময় নামাজ আদায় করলে কি শাস্তি
অনেকে ধারণা করেন যে, ইসলামে নিষিদ্ধ সময় বলতে কিছুই নেই। নামাজ আদায় করার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। অনেকে এটা বলে থাকেন যে মহান গ্রন্থ আল কুরআনে নামাজ আদায় করার জন্য নিষিদ্ধ কোন সময় উল্লেখ করা হয়নি। সেই কারণে নামাজ আদায় করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যে কোন সময় যেকোনো মুহূর্তে নামাজ আদায় করা যেতে পারে। কেননা মহান আল্লাহতালা বলেছেন, “
তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তোমরা আমার শরণাপন্ন হও“। তিনি এমনটি জানিয়েছেন যে তাকে স্মরণ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নির্ধারিত করা হয়নি। তবে অনেকে ধারণা করেন যে সূর্য ওঠার সময় এবং সূর্য ডোবার সময় সালাত আদায় করা উচিত নয়। বিশিষ্টজনদের মত অনুযায়ী এসব বিষয় সামনে চলে আসে। আপনারা যদি আরও নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে আমাদের কাছ থেকে জানতে চান তাহলে পরবর্তীতে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানতে পারেন।