কোনো কারনে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা যদি লোপ পাই বা বিভিন্ন ধরনের রোগ শরীরে আক্রমণ করে, তাহলে আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে কোনো ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিত নয়। কারণ বিভিন্ন ধরনের ঔষধের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই সে ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতই ঔষধ সেবন করতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত কোনো ঔষধ সেবন করা শরীরের জন্য ভালো নয়।
তাই আপনি যদি কোন ঔষধ দীর্ঘদিন ধরে সেবন করে থাকেন বা দীর্ঘদিন ধরে আপনি খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সেই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই সেই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জনিত সমস্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধই দীর্ঘদিন ধরে সেবন করা উচিত নয়।
অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক মানুষের মানসিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে বা চাপ জনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না। যদি স্বাভাবিকভাবে ঘুম না হয় তাহলে শরীর খারাপ করবে এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে। তাছাড়া শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম অনেক বেশি বিঘ্ন ঘটবে। তাই কোনো ব্যক্তি যদি স্বাভাবিকভাবে কয়েকদিন না ঘুমায়, তাহলে তার শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে এবং সে স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিকমতো করতে পারবেনা। তাই বিভিন্ন কারণে একজন ব্যক্তির যদি ঘুম না হয়, তখন ডাক্তারের কাছে গেলে তারা বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে ঘুমের ঔষধ প্রেশক্রাইব করে থাকেন। কোনো কারনে ঘুম না হয় বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তখন ঘুমের ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন ঘুমের ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়। কারণ প্রতিদিন কোনো ঔষধ খেতে খেতে অভ্যসে পরিণত হয়ে যাবে। তখন ঔষধ না খেলে আর ঘুম আসবে না।
ঔষধ না খেলে যদি আপনার ঘুম না আসে তাহলে এটা অনেক বাজে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। সুন্দরভাবে যদি ঘুম হয় তাহলে খুবই ভালো। কিন্তু যদি কোনো কারণে এই ঔষধ না খেয়ে ঘুম না আসে তাহলে চেষ্টা করতে হবে ঘুমানোর 21 দিন ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। তাই বলে প্রতিদিন ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিদিন ঔষধ খেতে খেতে যদি অভ্যাস হয়ে যায় তাহলে আপনার আর ঔষধ না খেলে ঘুম আসবে না। তখন এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচা কঠিন হয়ে যাবে বা এই ঔষধ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। এজন্য কোনো ঔষধ দীর্ঘদিন ধরে সেবন করা উচিত নয়।
প্রত্যেকটি ঔষধের কার্যকারিতা রয়েছে। এজন্য সে সকল ঔষধের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ হয় বা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তেমনিভাবে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ দীর্ঘদিন ধরে সেবন করার ফলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই কোনো ঔষধ দীর্ঘদিন ধরে সেবন করা উচিত নয়। তবে যদি দীর্ঘদিন ধরে সেবন করার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেবন করা যেতে পারে।
কিন্তু ঘুমের ঔষধ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। কেননা অন্য কোনো কারণে আপনার যদি ঘুম না হয় তাহলে আপনি ঘুমের ঔষধ খেতে খেতে যদি অভ্যাস হয়ে যায়, তাহলে ঘুমের ঔষধ না খেলে আর না ঘুম আসবে না। সেই ক্ষেত্রে প্রতিদিন ঘুমের ঔষধ খেলে আবার আপনার শরীরে ঘুমের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এই সকল সমস্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য কখনোই প্রতিদিন ঘুমের ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনার যদি প্রতিদিন ঘুমের ঔষধ খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে এই অভ্যাস ত্যাগ করে স্বাভাবিকভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।