কৃমির ঔষধ বেশি খেলে কি হয়

কৃমির ঔষধ সেবনের কিছু নিয়ম রয়েছে। কমপক্ষে তিন মাস পর কৃমির ওষুধ সেবন করতে হবে এবং অবশ্যই ভরা পেটে সেবন করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি তিন মাসের আগে অর্থাৎ প্রথম দোষ গ্রহণ করার তিন মাস এর আগেই যদি আবারও কৃমির ট্যাবলেট খান তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আলসারের সমস্যা হতে পারে , অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে, বিভিন্ন ধরনের স্কিন প্রবলেম সহ মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা ভাব অনুভব হতে পারে। তাই কৃমির ওষুধ বেশি খাওয়া যাবেনা। তিন মাস পর পর একটি ডোজ গ্রহণ করা যেতে পারে । ভরা পেটে খেতে হবে।কৃমি হচ্ছে একরকমের পরজীবী প্রাণী, যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর দেহে বাস করে সেখান থেকে খাবার গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। এটি একটি লম্বা কেঁচোর মতো দেখতে। তুমি যা সুপ্ত আকার মানব শরীরে প্রবেশ করে এবং বিশাল আকার ধারণ করে আস্তে আস্তে প্রাণী দেহ বিনষ্ট করে ফেলে।

বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে এটি অতি পরিচিত এক ধরনের রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণ কিছু উপসর্গ এবং লক্ষণ লক্ষ্য করা যায়।কৃমি হলে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন-বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, পেট মোটা বা ভারি হওয়া, খাবারে অরুচি, মুখে থুথু ওঠা এবং কোনো কোনো কৃমিতে পায়খানার রাস্তার পাশে চুলকানি হতে পারে। কৃমি হলে সাধারণত অপুষ্টি দেখা দেয়। রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।

হুক ওয়ার্মের একমাত্র খাদ্য হচ্ছে আক্রান্ত রোগীর রক্ত। অনেক সময় বক্র কৃমির এক মুখ শিশুদের এপেনডিক্সের মধ্যে প্রবেশ করে।ফলে এপেনডিসাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুর নাক, মুখ দিয়েও কৃমি পড়তে পারে। পেটে কৃমির আধিক্যে অন্ত্রনালীর পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অন্ত্র ফুটো করে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। তাই উপরোক্ত উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

কৃমির কীভাবে ছড়ায় , এগুলো তথ্য আমাদের জানতে হবে এবং অন্যদের জানাতে হবে। মানুষকে এর প্রভাব এবং এর ভয়াবহতা জানানোর মাধ্যমে আমরা সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারবো। কৃমির ডিম খাবার, পানি, বাতাস, মল, বিড়াল ও গৃহপালিত পশুর শরীর, বাথরুমের কমোড, দরজা ও হাতলে মিশে থাকে। কৃমির ডিম সেখান থেকে মুখ, নাক ও পায়ুপথ দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। শরীরে প্রবেশ করার পর অন্ত্রে এরা বংশবিস্তার করে সেখান থেকে কখনও কখনও শরীরের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

যাদের পেটে কৃমি বেশি, ওষুধ খেলে তাদের বমি বমি ভাব হতে পারে । এছাড়া পেট ও মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো বড় ধরনের কোনো সমস্যা নয়। এসব উপসর্গ দীর্ঘ সময় থাকে না।একই সাথে খালি পেটে কৃমিনাশক ওষুধ না খাওয়া, ওষুধ খাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে না থাকা, পিটি বা প্যারেড না করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টি খেয়ে ফেলে। যার কারণে শিশুরাই বেশিরভাগ পুষ্টিহীনতায় ভোগে।

কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে রক্ত শোষণ করে। ফলে শিশুরা রক্তশূন্যতায় ভোগে। বদহজম, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে। এমনকি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটায়। কৃমির অতিশয় সংক্রমণ মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
তাই কৃমি এর মতো ভয়াবহ পরজীবী প্রাণী কে নিজের শরীর থেকে দূর করুন কারণ এই পরবর্তী উদ্ভিদ আপনার শরীরে বসবাস করার মাধ্যমে আপনার শরীর হতে যাবতীয় পুষ্টি উপাদান শোষণ করে নেবে এবং ধীরে ধীরে আপনি পুষ্টি শূন্যতার রোগীতে পরিণত হবেন। তাই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জীবন যাপন করুন।

শুধু কৃমির ঔষধ নয় যেকোনো ঔষধের সেবনের কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। সব ঔষধি সেবন করার পূর্বে, ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো আমাদের জেনে নিতে হবে। সব নিয়ম কানুন মেনে তারপর ঔষধ সেবন করতে হবে।

আশা করি আমরা আপনাদের পর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ করতে পেরেছি। স্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্যগুলো আপনি নিজে জানুন এবং আপনার আশেপাশের মানুষদের জানাতে সাহায্য করুন। ধন্যবাদ । সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

Leave a Comment