গ্যাসের ঔষধ বেশি খেলে কি হয়

গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকলে গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা সকলেরই রয়েছে। তবে গ্যাসের ওষুধ খাবার ফলে দিনে আপনার যে সকল সমস্যাগুলো বা ক্ষতি হতে পারে সেগুলো আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে আমরা আলোচনা করব। তাই গ্যাসের ওষুধের ওপরে নির্ভরশীল না হয়ে আমরা যদি সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারি অথবা রান্নার তেল যদি ভালো তেল ব্যবহার করতে পারি তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করবে। এই যে সকল কারণে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় সে সকল বিষয়গুলো আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে এবং গ্যাসের ওষুধ অতিরিক্ত সেবনের ফলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তা এখান থেকে জেনে নিতে হবে।

আপনি যদি গ্যাসের ওষুধ দীর্ঘ সময় ধরে অথবা টানা প্রতিদিন খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের শরীরে ভিটামিন সহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণের ঘাটতি দেখা দিবে। কিছু কিছু ভিটামিন রয়েছে অথবা খনিজ লবণ রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরে বিপাক প্রক্রিয়ার জন্য এসিডের দরকার হয়ে থাকে। যেহেতু গ্যাসের ওষুধ খাবার ফলে পাকস্থলীতে কোন ধরনের এসিড তৈরি হয় না সেহেতু ভিটামিন সহ অন্যান্য খনিজ লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। এছাড়া যদি গ্যাসের ওষুধ ক্রমাগত খেতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে সেটা আপনার হাড় ক্ষয় এর রোগ হবে।

অর্থাৎ এর ক্ষেত্রে আপনার ক্যালসিয়াম বিপাকের জন্য যে এসিডের প্রয়োজন হবে সেটা গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ফলে তৈরি হবে না এবং ক্যালসিয়ামের এই সমস্যাগুলো দেখা দিবে। তাছাড়া গ্যাসের ওষুধ খাবার ফলে অন্য একটি কারণ ঘটে থাকে এবং সেটা হলো পাকস্থলিতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া অথবা জীবাণুকে পাকস্থলীর এসিড ধ্বংস করে ফেলে এবং এভাবে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ খুব সহজেই আক্রান্ত করতে পারে।

তাছাড়া আপনি যদি নিয়মিতভাবে গ্যাসের ওষুধ খান তাহলে দেখা যাবে যে আপনার কিডনির কার্যকারিতা কমে যাবে এবং এর ফলে কিডনির সমস্যা হবে। আবার আপনি যদি গ্যাসের ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে এসিড তৈরি হওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং এর ফলে অমূলত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হবে। গ্যাসের ওষুধ খেতে খেতে এমন একটা পর্যায়ে চলে যাবেন যখন আপনার কোন গ্যাসের ওষুধ এই কাজ হবে না। গ্যাসের ওষুধ খেলে হবে না বরং সকল ক্ষেত্রে জীবনের প্রতিটি কার্যক্রম সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।

বাইরের ভাজাপোড়া সয়াবিন তেল ব্যবহার করার পরিবর্তে অথবা এ ধরনের তেল থেকে যদি রক্ষা পেতে চান তাহলে সরিষার তেল খেতে পারেন। তাছাড়া অতিরিক্ত মসলাদার জাতীয় খাদ্য বাদ দিয়ে চলতে হবে এবং যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা সময় মত খাবার গ্রহণ করলে এই সমস্যা গুলো সাধারণত হয় না। এই গ্যাসের সমস্যা অনেকেরই রয়েছে এবং বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিযোগিতা করে বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের ওষুধ বানিয়ে সেগুলো বাজারে বিপন্ন করে তাদের ব্যবসা সফল করছে।

গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

একদিকে আপনাদের অসুখের বিষয়ে আপনারা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন তেমনি ভাবে অন্যদিকে কোম্পানিগুলো ওষুধ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। তবে গ্যাসের সমস্যা গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের ইচ্ছা করে টেনে আনা হয় অথবা এই সমস্যাগুলোর কারণে আমরা নিজেরাই তখন কষ্টের মুখে পড়ি। তাই আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে উপরের উল্লেখিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হতে পারে। আর যখন উপরের উল্লেখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে তখন অবশ্যই আপনারা সঠিক নিয়ম মেনে প্রত্যেকটি কাজ করবেন।

গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

খুব বেশি সমস্যা না হলে গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কোন একটা ভাজাপোড়া খাবার ফলে আপনার গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে আপনি কষ্টে ভুগছেন তাহলে বলব যে বেশি বেশি পানি পান করুন। ফলে সেই খাবারটি সুন্দরভাবে হজম হয়ে মলত্যাগের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে সেই খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। তাছাড়া গ্যাসের ওষুধ খাবার গ্রহণের ২০ মিনিট আগে খেয়ে থাকলে তা খুব ভালোভাবে কাজে আসে। খুব বেশি গ্যাসের সমস্যা করলে সকালে একবার এবং রাতের বেলা একবার দুটি ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খেতে পারেন। এ বিষয়ে আপনার যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে প্রশ্ন করুন কমেন্ট বক্সে।

Leave a Comment