ভিটামিন আমাদের শরীরের শক্তির উৎস আর এই ভিটামিনের পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকাটা অত্যন্ত জরুরী সুস্থ থাকার জন্য। ভিটামিনের সব থেকে বড় উৎস হচ্ছে আমাদের প্রতিদিনের খাবার আমরা যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সেই খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই সে ভিটামিনের ঘাটতি আমাদের শরীরে তৈরি হতে পারে। আজকে আমরা কথা বলবো ভিটামিন ই নিয়ে এবং ভিটামিন ই এর কারণে আমাদের শরীরে কোন কোন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে । ভিটামিন ই এর অভাব হলে কোন সমস্যায় আমরা পড়তে পারি ইত্যাদি।
ভিটামিন ই এর অভাবে সাধারণত যে সমস্যাগুলো হয় সে সমস্যা সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করব বিস্তারিতভাবে তার ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থাকুন আর জানুন কিভাবে ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করা যাবে। সাধারণত ভিটামিন ই ঘাটতিজনিত যে সমস্যাগুলো রয়েছে তার কিছু লক্ষণ আছে সেই লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে দৃষ্টি সমস্যা একটি লক্ষণ। যদি ভিটামিন ই এর ঘাটতি দেখা যায় তাহলে সবার প্রথমে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে সেটা হচ্ছে দেশটির সমস্যা এবং আস্তে আস্তে এটা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
অনেকের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বকের নানান ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে তাই তোকে নানা ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে হবে। এই ভিটামিনের অভাবে অনেক সময় রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি করতে পারে তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এই ভিটামিনের পর্যাপ্ত পরিমাণে যেন শরীরে থাকে এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে যেমন নিউরোমাসকুলার ডিসফাংশন।
এ সমস্যার কারণে সাধারণত পেশীতে বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা সৃষ্টি হতে পারে এবং বেশি এতটাই দুর্বল হয়ে যেতে পারে যে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। ভিটামিন ই আমাদের ইউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখতে এবং অনেক ভালো রাখতে সাহায্য করে যার কারণে ভিটামিন ই এর ঘাটতির কারণে ইউনিটি সিস্টেম বাধা গ্রস্থ হয়।
ভিটামিন ই যুক্ত খাবার
পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে আমাদের খাবার। আমাদের ক্ষুধা লাগবে এবং ক্ষুধা লাগবে আমাদের অবশ্যই খাবার খেতে হবে তবে এই খাবারের মাধ্যমে আমরা যদি আমাদের শরীরের সকল চাহিদা পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং সঠিকভাবে পূরণ করতে পারি তাহলে আমরা একদিক থেকে কম অসুস্থ হবে অন্য দিক থেকে সুস্থ থাকবো। ভিটামিন ই এর যে উৎস খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করব এগুলো সাধারণত আমাদের প্রতিদিনের খাবারের থেকে একটু ব্যতিক্রমধর্মী খাবার যেগুলো অন্যান্য খাবারের সঙ্গে আমাদের অবশ্যই নিয়মিত খেতে।
ভিটামিন ই আমাদের শরীরে থাকা প্রত্যেকটি কোষ কে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং শক্তিশালী ইউনিয়ন সিস্টেমকে সমর্থনে সাহায্য করে এই ভিটামিন। বাদাম এক্ষেত্রে অনেক পুষ্টিকর জিনিস যার কারণে বাদাম ও বিষ সমৃদ্ধ জলাধার অর্থাৎ বাদাম বা সূর্যমুখীর বীজ এই ধরনের উৎস থেকে আপনি ভিটামিন ই সংগ্রহ করতে পারেন।
যদি শাকসবজির কথা বলি তাহলে পালং শাক থেকে শুরু করে ব্রকলির পাতাযুক্ত সবুজ সবজিগুলো আপনি খেতে পারেন এছাড়াও আমাদের দেশে খুব কম উৎপন্ন হয় কিন্তু এখন উৎপন্ন হচ্ছে এভোকাডো ভিটামিন ই এর একটি বড় উৎস। এছাড়াও বাটার নাইট স্কোয়াস ভিটামিন ই এরও একটি বড়।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সালমান ফিস অথবা সামুদ্রিক মাছ থেকেও আপনি ভিটামিন ই সংগ্রহ করতে পারেন। এ ধরনের উপকরণ ছাড়াও প্রতিদিন আমরা যে খাবারগুলো খাই সেগুলোতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার সঠিক উপায় মেনে আপনাকে খাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
আর শরীরে যেকোনো ধরনের দুর্বলতা দেখা দিলে যে কোন সময় একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসা খাওয়া প্রথমে সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারলেই সঠিকভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভব।