থাইরয়েড হরমোন হলো আমাদের অধ্যক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত এক ধরনের হরমোন। এই থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরের যে বিপাকীয় কাজ সম্পন্ন হয় সেই কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। অর্থাৎ আমাদের শরীরে সুষ্ঠুভাবে বিপাকীয় কাজগুলি সম্পন্ন হওয়ার জন্য অবশ্যই এই থাইরয়েড হরমোন কাজ করে থাকে। তাই দেখা যাচ্ছে যে দেহকে বা শরীরকে সুস্থ ভাবে পরিচালনা করার জন্য যেমন থাইরয়েড হরমোনের প্রয়োজন আবার এই থাইরয়েড হরমোন যদি বেশি বা কম উৎপন্ন হয় তখনও আমাদের শরীরের সমস্যা দেখা দেয়।
অতএব প্রত্যেকটা জিনিস শরীরের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ এখানে আমরা থাইরয়েড হরমোন থেকেও বুঝতে পারছি। তাই থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবেই দেখা হয়। যখন এই অধ্যক্ষরা গ্রন্থ থেকে বেশি পরিমাণে অথবা কম পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হয় তখন এটি থাইরয়েড রোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বলা যায় যে থাইরয়েড যেমন সুষ্ঠুভাবে শরীরকে পরিচালনার জন্য যেমন প্রয়োজন তেমনি ভাবে আবার এর বেশি বা কম উৎপাদনে শরীরের বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়।
থাইরয়েড হরমোন এর বেশি নিঃসরণ হলে কি হয়?
আমরা জানি যে থাইরয়েড হরমোনের বেশি উৎপাদন বা কম উৎপাদন দুইটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অর্থাৎ স্বাভাবিক ভাবে যদি থাইরয়েড নিঃসরণ হয় তাহলে শরীর সুস্থ ভাবে পরিচালনা হয় কিন্তু যখনই বেশি অথবা কম উৎপাদিত হবে তখনই সেটি রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এখন আমরা দেখব যে থাইরয়েড হরমোন যদি শরীরে বেশি উৎপাদিত হয় তাহলে কি হবে এবং এর পরবর্তীতে আবার দেখবো শরীরে কম থাইরয়েড হরমোন নিঃসারিত হলে সেখানে কি কি অসুবিধা করতে পারে বা ঘটে থাকে।
সাধারণত দেখা যায় যে,রক্তে থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোন আধিক্যের জন্য নানা উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন, বুক ধড়ফড় করা, ওজন কমে যাওয়া, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, চোখের আকার বেড়ে যাওয়া, গরম সহ্য না হওয়া, ঋতুস্রাবের সমস্যা, এমনকি, মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা আমাদের এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন বা বুঝলেন যে যদি বেশি উৎপন্ন হয় অর্থাৎ থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোন বেশি উৎপন্ন হলে কি ঘটে সেই বিষয়টি।
থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে কি হয়
আমরা আপনাদেরকে আগেই বলেছি বা বলার চেষ্টা করেছি যে স্বাভাবিক মাত্রায় যদি থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয় তাহলে শরীর সুস্থ ভাবে চলে কিন্তু এই সুষ্ঠুভাবে চলতে হলে অবশ্যই যে মাত্রায় হরমোন অর্থাৎ থাইরয়েড হরমোন নিশ্চিত হতে হবে সেই মাত্রায় হতে হবে। কিন্তু এই মাত্রার চাইতে বেশি অথবা কম কোনটি গ্রহণযোগ্য নয়। যদি কম মাত্রায় থাইরয়েড উৎপন্ন হয় তাতেও সমস্যা আবার যদি বেশি মাত্রায় থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হয় তাতেও শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সমস্যাগুলোই সাধারণত থাইরয়েড রয়েছে বলে মনে করা হয়। এখন ফোনগুলো আসলে থাইরয়েড হরমোন সেই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের জেনে নিতে হবে। আর জানতে হবে থাইরয়েড হরমোন যদি কম থাকে শরীরে বা কম উৎপন্ন হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে।
আমরা এর আগে দেখেছি যে, যদি অধিক পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন নিশ্চিত হয় তাহলে শরীরের কোন ঘটনাগুলি ঘটতে পারে। তাই সূত্র ধরে এখন দেখব যে কম হরমোন যদি উৎপন্ন হয় তাহলে শরীরের পরিবর্তনগুলো বা সমস্যাগুলো কি। সাধারণত শরীরে থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। ওজন বৃদ্ধি, ক্লান্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঠান্ডা অনুভব, অবসন্নতা, শুষ্ক ত্বক-চুল এগুলো হাইপোথাইরয়েডিজমের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো গর্ভকালীন সাধারণ লক্ষণের সঙ্গে অনেকাংশে মিলে যায়। এ কারণেই অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তারা হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত। তাহলে আপনারা বিষয়টি নিয়ে বুঝতে পারলেন যে থাইরয়েড হরমোন যদি কম থাকে বা কম হয় তাহলে শরীরের কোন কোন সমস্যা গুলি করতে থাকে বা ঘটে।