প্রত্যেক নারীর মাসিক যে ঋতুচক্রের ব্যাপারগুলো ঘটে থাকে তাতে করে তাদেরকে স্বাস্থ্য সচেতন ভূমিকা রাখতে হয়। তাই পিরিয়ডের সময় কিছু কিছু খাবার যেমন বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত তেমনিভাবে কিছু খাবারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই পিরিয়ডের সময় আপনারা যদি কেউ স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে দুধ খাওয়ার ব্যাপারে জানতে চান তাহলে সেটা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চলেছি। তাই পিরিয়ডের সময় দুধ খেলে কি হয় সে প্রসঙ্গে এখানে আলোচনা করব অথবা এটা খাওয়া যাবে কিনা সেটাও আপনাদেরকে জানিয়ে দেব।
মেয়েদের নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করার পর থেকে যেহেতু পিরিয়ড শুরু হয়ে থাকে সেহেতু তাদের সকল দিক থেকে শারীরিক স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলতে হয়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যেমন সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে তেমনি ভাবে কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা। তাছাড়া এই সময় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি অনেক অসুবিধা দেখা দেয় যেগুলো অনেক মেয়ে সহ্য করতে পারে না এবং কষ্টে এই দিনগুলো পার করে থাকেন।
তাই পিরিয়ডের সময় বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে এবং এই খাবারগুলো শরীরের জন্য ভবিষ্যতে ক্ষতি করবে বলে অবশ্যই বাদ দিয়ে চলতে হবে। আবার কিছু কিছু খাবার সঠিকভাবে গ্রহণ করার পাশাপাশি পোশাক-আশাকের ব্যাপারে যেমন সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে তেমনি ভাবে প্যাড ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও কিন্তু যে নিয়ম রয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। তাই আপনারা যারা দুধ খাওয়া প্রসঙ্গে এখানে জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করলাম। দুধ একটা পুষ্টিকর তরল খাবার এবং এই খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি চলে আসে।
কিন্তু পিরিয়ডের সময় দুধ খাওয়া যাবে কিনা সে প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তারেরা এ সময় দুধ খেতে নিষেধ করে থাকেন। দুধ একটা পুষ্টিকর তরল খাবার হয়ে থাকলেও এটা অত্যন্ত ভারী খাবার এবং অনেকেই দুধ খেলে হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। যেহেতু এ সময় শারীরিক বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা দেখা দেয় অথবা এই সময় অনেকের খাবার গ্রহণ করার প্রতি অরুচি চলে আসে সেহেতু দুধ খেলে অধিকাংশ মেয়ে বমি করতে পারেন। আর বদজন থেকে যদি বমি হয়ে যায় তাহলে দেখা যাবে যে অন্যান্য খাবার খেতেও তখন ইচ্ছা করবে না এবং এভাবে আস্তে আস্তে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে।
তাই দুধ খাওয়ার ফলে রক্ত নিষ্কাশন এর বিষয়গুলো খুব দ্রুত হতে থাকে এবং এর মাধ্যমে একজন নারী শরীরে ক্ষতি হতে পারে। তাই দুধ হোক অথবা দুধের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ডেইরি খাদ্য হোক সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে। এমনকি দুধ দিয়ে বানানো দুধ চাও খাওয়া যাবেনা। তাই দুধ খেলে বদহজমের সমস্যা থেকে অন্যান্য আর সমস্যা হতে পারে যেগুলো আপনারা এড়িয়ে চলতে পারলে আশা করি সেটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে।
পিরিয়ডের সময় দুধ খাওয়া যাবে কি
যারা পিরিয়ডের সময় দুধ খাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইছিলেন তারা উপরের আলোচনার ভিত্তিতে এটা বুঝতে পেরেছেন। পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ার পর আপনারা শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন এবং এর মধ্যে দুধ থাকতে পারে। এই পিরিয়ডের সময় দুধ খাওয়া যাবে কিনা সেই প্রসঙ্গে জেনে নিতে পারবেন বলে আশা করি ভালো হয়েছে এবং এ প্রসঙ্গে যদি আপনাদের আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন।
পিরিয়ডের সময় কি খেতে হয়
পিরিয়ডের সময় কি খেতে হয় এ প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে পারেন। অর্থাৎ এ সময় শাকসবজি খাওয়ার মধ্য দিয়ে আপনার হজম যেমন ভালো হবে তেমনি ভাবে সেটা নিষ্কাশনের মধ্য দিয়ে শারীরিকভাবে আপনি হালকা অনুভব করতে পারবেন। তাই পিরিয়ডের সময় আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারলে সেটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে এবং এই সময় গুলো কেটে যাবে। দৈনন্দিন জীবনে ভালো থাকার জন্য সকল ধরনের স্বাস্থ্য সচেতন দিকনির্দেশনামূলক তথ্য পেতে আপনারা আমাদের পোস্টগুলো দেখতে পারেন।