বর্তমান বিজ্ঞানের উন্নয়নের কারণে আমরা দেখেছি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ আমাদের বিভিন্ন সময় প্রয়োজন হয়। এমন কোন রোগের ঔষধ না থাকা নেই। শুধুমাত্র ক্যান্সার রোগের এখনো ভালোমতো ঔষধ আবিষ্কার করতে পারেনি যার দ্বারা ক্যান্সার নিরাময় হতে পারে। কিন্তু অন্যান্য সকল রোগের ঔষধ আবিষ্কৃত হয়েছে যা সেই সকল ঔষধের মাধ্যমে নিরাময় হতে পারে। বর্তমান সময়ের মানুষগুলো ঔষধের ওপর অনেক নির্ভরশীল। ঔষধ ছাড়া এখন আর বেশিরভাগ মানুষেরই চলার কোন উপায় নেই। এর অবশ্য অনেকগুলো কারণও রয়েছে।
একবার যখন আপনি কোন ঔষধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তখন আস্তে আস্তে ঔষধের পরিমাণ বাড়তে থাকে বৈ কমতে থাকে না। কারণ হলো মানুষ কোন কিছুর উপর যখন নির্ভরশীল হতে থাকে তখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসা মানুষের পক্ষে অনেকটাই কষ্টকর বলে মনে করা হয়। যেমন ধরুন একটা সময় ছিল আমাদের বাংলাদেশের মাটি এতটা উর্বর যে সেই উর্বর মাটিতে আপনি যে কোন কিছু যদি এমনি বপন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই ফসল উৎপাদন সম্ভব হতো।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে কোন শস্য আপনি আর রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ছাড়া ঘরে তুলতে পারবেন না। তেমনিভাবে পূর্বের মানুষগুলোর কাছে দেখা গেছে যে এমন কোন মানুষ ছিল যে মানুষের সারা জীবনে হয়তো কোন ধরনের ঔষধপত্র খেতে হয়নি। কিন্তু বর্তমান সময়ে খেয়াল করবেন যে জন্মের মুহূর্ত থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষের অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করতে হয়। আজকে আপনারা এই ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেখে নিতে পারবেন। ঔষধ গুলি দেখার জন্য বা কোন ঔষধ কোন কাজে ব্যবহৃত হয় এই বিষয়গুলো বর্তমানে আমাদের মাথায় রাখা প্রয়োজন। যদিও মনে করা হয় যে, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কিছু কিছু ঔষধের নাম এবং কাজ মনে রেখে সেই ঔষধ গুলি আমাদের কাছে থাকা।
তার কারণ যেকোনো মুহূর্তে সাধারণত অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক যে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন এবং কোন রোগটি হলে কোন লক্ষণগুলি দেখা গেলে কোন ঔষধ ব্যবহার করা প্রয়োজন সে বিষয়গুলি আমাদের প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন। মানুষ যেহেতু অবশ্যই ঔষধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে তাই মানুষকে ঔষধ সেবন করেই বেঁচে থাকতে হবে। এই কারণে
আপনারা যারা আজকে আমাদের এখানে জানতে এসেছেন যে,এমিলিন কিসের ঔষধ? এমিলিন কি ঘুমের ঔষধ কি না এ বিষয়টি। তাই যে কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই আমাদের জেনে রাখা দরকার যে কোন ঔষধ কিসের জন্য কাজ করে। তা না হলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সব সময় ঔষধ সেবন করতে হবে। আমরা এখন দেখব যে এমিলান ওষুধটি আসলে কি কারনে ব্যবহৃত হতে পারে।
এ্যামিট্রিপটাইলিন একটি ট্রাইসাইক্লিক ঔষধ যার এন্টিকোলিনারজিক এবং বিষণ্নতারােধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইহা স্নায়ু প্রান্তে নরএড্রিনালিন এবং সেরােটনিন পুনগ্রহণে বাধা দেয়। তাই এমিলিন ঔষধটি আমরা সরাসরি ঘুমের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করি না। বিষন্নতার জনিত কারণেই এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে সামান্য পরিমাণে এটি ঘুমের কাজ করে থাকে বলে অনেকেই এটিকে ঘুমের ঔষধ বলে মনে করে থাকে। তবে এটি সরাসরি ভাবে কখনোই ঘুমের ঔষধ হিসেবে কার্যকর নয়।
যেকোনো কারণে আপনার মন বিষন্নতায় ভরে উঠলে আপনি এই ওষুধটি খেতে পারেন। এই ঔষধটি পরিপাকনালীতে দ্রুত শােষিত হয়। প্রায় ২ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্লাজমাতে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌছায়। এ্যামিট্রিপটাইলিন প্রধানত মেটাবােলাইট হিসেবে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নিঃসৃত হয়। তাই আপনারা যদি এই ওষুধটি কখনো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করে থাকেন তাহলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে অত বিষয় ভাবনার কিছু নেই। কারণ এটিই প্রস্রাবের মাধ্যমে মিশ্রিত হয়ে যায়। তাহলে এ ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আমাদের সাথে থাকতে পারেন।