কৌশিক পানি কাকে বলে

ওয়েলকাম ভিউয়ার্স। আজকে আরো একটি শিক্ষানীয় পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে আমরা আলোচনা ভোগ করব জলীয় বাষ্পে অবস্থিত কৌশিক পানি কাকে বলে এবং কৌশিক পানি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু। জীববিজ্ঞানের উদ্ভিদবিজ্ঞান শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল কৌশিক পানি। উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং উদ্ভিদের মূলের গঠন ইত্যাদি সব সম্পর্কিত এই কৌশিক পানির সাথে।

মানুষের অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনীয় গ্যাস অক্সিজেন গ্যাস তৈরি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে এই কৌশিক পানি । কিন্তু আপনারা কি জানেন কৌশিক পানি কি?কৌশিক পানি কাকে বলে এবং কৌশিক পানি বলতে কী বোঝায়। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ুন।

সকল ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি খুবই উপযোগী হবে।। আমরা সহজ ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ সব টপিক গুলো বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি। যার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বুঝতে খুবই সুবিধা হয়। তাহলে চলুন আজকে আমরা কৌশিক পানি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নেব।আজকে আমরা নৃবিজ্ঞানী এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানবো।

কৌশিক পানি কাকে বলে?

মাটির সূক্ষ্ম কণার ফাঁকে বাষ্পাকারে লেগে থাকা পানিকে কৈশিক পানি বলে।কৌশিক পানি উদ্ভিদ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। মূলের দ্বারা মাটির গভীরে প্রবেশ করে এবং কৌশিক পানি সন্ধান করে মূল্যের সাহায্যে সেটি শোষণ করে নেয়।অতিরিক্ত পানি শোষণ করার পর উদ্ভিদ সেটা বাষ্প আকারে বাইরে বের করে দেয় ‌। এই প্রক্রিয়ার নাম হলো প্রচ্ছেদন। যে শারীরতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদের বায়বীয় অঙ্গ হতে অতিরিক্ত পানি বাষ্পাকারে বের হয়ে যায়, তাকে প্রস্বেদন বা বাষ্পমোচন বলে।সাধারণভাবে উদ্ভিদের মূলরোম এর মাধ্যমে মাটির কৌশিক পানি শোষণ করে।

প্রস্বেদনের ফলে পাতার কোষে ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয় ।এর ফলে পাশের কোষ থেকে পানি ঐ কোষের দিকে ধাবিত হয়। এইভাবে ঐ দ্বিতীয় কোষটিতে আবার ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয় এবং তার পাশে বা নিচের থেকে পানি টেনে নেয়। এভাবে ব্যাপন চাপ ঘাটতি ক্রমশ মূলরোম পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং একটি চোষক শক্তি সৃষ্টি হয়।এ চোষক শক্তির টানে মাটির কৌশিক পানি মূলরোমে ঢুকে পড়ে,

মাটি থেকে মূলরোমে অভিস্রবণ ও ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পানি প্রবেশ করে। এভাবে মূলরোম থেকে পানি মূলের কর্টেক্স এ প্রবেশ করে । একইভাবে পানি অন্তঃত্বক ও পরিচক্র হয়ে পরিবহন কলাগুচ্ছে বা জাইলেম কলার ভেসেলে পৌঁছায় । আর এই জাইলেম কলার মাধ্যমে পানি উপরের দিকে ও পাশের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে, এভাবে পানি বিভিন্ন শাখা প্রশাখা হয়ে উদ্ভিদের পাতায় পৌঁছে যায়।

অধিকাংশ উদ্ভিদ মূল দ্বারা পানি শোষণ করার সময় পানির সাথে কিছু পরিমাণ খনিজ লবণ শোষণ করে। কিছু লবন মূলরোম দিয়ে শোষিত হলেও মূলত মূলের অগ্রভাগের কোষ বিভাজন অঞ্চলই শোষন অঞ্চল হিসেবে কাজ করে। খনিজ লবণ শোষিত হয় আয়ন হিসেবে। খনিজ লবণ শোষণ প্রধানত দুটি উপায়ে হয়ে থাকে। কৌশিক পানি শোষণ করার জন্য উদ্ভিদ তার মূল মার্টির অভ্যন্তরে বিস্তার করে দেয় জালের মত। এগুলো হচ্ছে উদ্ভিদের চলন প্রক্রিয়ার অন্তর্গত। মাটির ওপরে উদ্ভিদ সূর্যের আলোর দিকে চলে এবং মাটির নিচে উদ্ভিদের মূল কৌশিক পানির দিকে যায়। জীবের বৃদ্ধিতে এবং সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কৌশিক পানির অবদান অতুলনামূলক।

উদ্ভিদ মাটির নিচ থেকে প্রয়োজনীয় পানি শোষণ করে। আমরা কৌশিক প্রাণীকে মাটির রস বলতে পারি। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াতে এটি খুবই জরুরী।যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবুজ উদ্ভিদ কোষে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে, পরিবেশের বায়ুমণ্ডল থেকে গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) ও মূল দ্বারা শোষিত জলের বিক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্যের সংশ্লেষ ঘটে এবং গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইডের সমপরিমাণ অক্সিজেন (O₂)প্রকৃতিতে নির্গত হয়, তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।

সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া জীবজগতের জন্য খুবই জরুরী। এই প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ মাটি থেকে পানি শোষণ করে এবং সূর্যের আলো থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শোষণ করে গাছের পাতায় অবস্থিত ক্লোরোফিল এর সাহায্যে সালোকসংশ্লেষণ ঘটায় এবং উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ অক্সিজেন ত্যাগ করে। এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করার মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে।

Leave a Comment