কোলেস্টেরল এর ঔষধ কি

কোলেস্টেরল শরীরের জন্য কম পরিমাণে থাকলে যেমন উপকারী ভূমিকা পালন করে তেমনি ভাবে এটা শরীরে যদি বেশি পরিমাণ হয়ে যায় তাহলে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। তাই কারো শরীরের রক্তের সঙ্গে যদি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনারা সেই কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হয়তো ওষুধ খেতে পারেন। তবে পুরোপুরিভাবে কোলেস্টেরল মেইনটেইন করতে চাইলে অথবা ওষুধ বাদ দিতে চাইলে আপনাকে সঠিক জীবন ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাই শরীরে কোলেস্টেরল হয়ে থাকলে কোন ধরনের ওষুধ সেবন করলে অথবা কোন জীবন ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করলে ভালো হয় সেটা এখানে জানিয়ে দেবো।

স্বাভাবিকভাবে একটা মানুষের শরীরে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল রয়েছে তাতে করে বিভিন্ন ধরনের কোষ উৎপাদন অথবা চর্বির পরিমাণ গুলো সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কিন্তু কোন ভাবে খাদ্যাভ্যাসের ফলে অথবা অন্য কোন সমস্যার কারণে যদি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে একটা মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখের বাসা বাঁধতে থাকে। বর্তমান সময় মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং পরিমিত পরিমাণ ব্যায়াম না করার ফলে ডায়াবেটিস রোগটি খুবই কমন হয়ে গিয়েছে এবং ঘরে ঘরে এই অসুখটি বর্তমান সময়ে বাসা বাঁধছে।

তবে আমরা যদি সঠিকভাবে জীবন ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে পারি এবং আমাদের খাবারের তেল পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারি তাহলে অবশ্যই কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে এখানে আপনাদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিতে চাই যে কোলেস্টেরলের ওষুধ শুধু জেনে নিয়ে সেটা যদি সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরের অন্যান্য সমস্যা গুলো হয়তো যাবে না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে কোন ধরনের ওষুধ খাওয়াটাই সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ এবং এক্ষেত্রে আপনি আশা করি সচেতন ভূমিকা পালন করবেন।

তবে কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাদেরকে সর্ব প্রথমে সকল ধরনের ভোজ্য তেল অথবা সয়াবিন তেল বাদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনারা ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল খেতে পারেন। সেই সাথে বেশি পরিমাণে সবজি খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ খেতে হবে এবং গুড ফ্যাট খেতে হবে। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক খাবার খাবো এবং যাবতীয় ধরনের প্রসেসিং খাবার বাদ দিয়ে চলার চেষ্টা করব। কারণ আপনার শরীরে যদি শর্করার উপস্থিতি বেশি হয় অথবা চিনি জাতীয় খাবার আপনি বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনা আপনি আপনার শরীরে কোলেস্টেরল চলে আসবে।

কোলেস্টেরল কমানোর এলোপ্যাথিক ওষুধ

আপনারা যদি কোলেস্টেরল কমানোর জন্য এলোপ্যাথিক ওষুধ খেতে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কারণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন একটা ওষুধের নাম অথবা নির্দিষ্টভাবে কোলেস্টেরলের ওষুধের নাম জেনে নিতে পারল তার সঙ্গে আপনার আরো শারীরিক সমস্যা রয়েছে কিনা এবং তার ভিত্তিতে অন্য কোনো ওষুধ প্রদান করা হবে কিনা তা একমাত্র ডাক্তারেরাই ভালো বুঝতে পারবেন। তাই নিজেরা মাতব্বরি না করে যদি আমরা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে কোলেস্টেরলের ওষুধ সংগ্রহ করতে চাই তাহলে সেটা ভালো হবে এবং এক্ষেত্রে আপনার সঠিক পদ্ধতি মেনে চলবেন।

কোলেস্টেরল কমানোর হোমিও ওষুধ

যারা মনে করে থাকেন হোমিওপ্যাথি ওষুধে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং এটা সেবন করার মাধ্যমে শরীরের কোলেস্টেরল আস্তে আস্তে কমানো সম্ভব তাদের উদ্দেশ্যে বলব যে এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। হোমিওপ্যাথিতে ও চিকিৎসা খুব ভালো হয় যদি আপনারা সঠিকভাবে জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারেন। শুধু ঔষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে আমরা যদি আমাদের মুখ কন্ট্রোল করতে পারি এবং যাবতীয় আজেবাজে ও প্রসেসিং খাবার থেকে বিরত থাকতে পারে তাহলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাই হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম সরাসরি ডাক্তারেরা প্রদান করে থাকে না বলে এখানে তা জানানো সম্ভব হলো না।

কোলেস্টেরলের ওষুধ কি সারা জীবন খেতে হয়

প্রকৃতপক্ষে আপনি আপনার জীবন ব্যবস্থা কিভাবে অনুসরণ করছেন এবং আপনার শরীরের অসুখের পরিমাণ কেমন আছে তার উপরে নির্ভর করে কোলেস্টেরলের ওষুধ সারা জীবন খেতে হয় অথবা বাদ দিতে হয়। আপনি যদি খাবার দাবার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সঠিক খাবার বেছে নিতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার শরীরে রক্তের ভেতরে যে কোলেস্টেরল রয়েছে তা আস্তে আস্তে নির্মূল হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনি আপনার জীবনকে কিভাবে পরিচালিত করবেন তার উপরে নির্ভর করে বলা হবে যে কোলেস্টেরলের ওষুধ সারাজীবন খেতে হবে কিনা। ধন্যবাদ।

Leave a Comment