তাপ শক্তি কাকে বলে

সাধারণত তা হল একপ্রকার শক্তি। আমরা আমাদের এই বস্তু জগতে যে সকল জিনিস চোখের সামনে দৃষ্টিগোচর হয় সে সকল জিনিসগুলোকে সতর্কতা দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। দুটি ভাগে একটি হলো পদার্থ অপরটি হলো শক্তি। অর্থাৎ আমরা সাধারণত যে বিষয়গুলি দেখে অর্থাৎ স্পর্শ করে দেখতে পারি অর্থাৎ কোন বস্তু তখন সেটিকে বলা হয় পদার্থ। অর্থাৎ যার ওজন আছে আয়তন আছে বল প্রয়োগ করে বাঁধার সৃষ্টি করে তাকে সাধারণত পদার্থ বলা হয়।

আর একটি ভালো যেগুলো আমরা দেখতে পাই না শুধুমাত্র অনুভব করতে হয় সেগুলোকেই সাধারণত শক্তি বলা হয়ে থাকে। যেমন এদের মধ্যে রয়েছে আলো, তাপ ইত্যাদি। তাই দেখা গেল যে বস্তু জগতের দুই প্রকারের বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো পদার্থ এবং অপরটি হলো শক্তি। যেমন আলো শুধুমাত্র আমরা অনুভব করতে পারি আসলে আলোকে স্পর্শ করা যায় না যার অনুপস্থিতিতে শুধুমাত্র অন্ধকার হয় এবং উপস্থিতিতে সেই প্রত্যেকটি বস্তু আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় তাকে সাধারণত ভালো বলা হয়ে থাকে।

তাপ শক্তি কাকে বলে

আমরা সাধারণত যে শক্তির দ্বারা অনেকগুলো কাজ করে থাকে যেমন: রান্না করা, বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র চালিত যেমন মোটর গাড়ি বা রেল গাড়ির ইঞ্জিন চালাতে সাহায্য করা, অথবা আমাদের শরীরের সম্পূর্ণ কাজগুলোকে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে যে শক্তি কাজে লাগে সাধারণত সেই শক্তিকেই আমরা তাপশক্তি বলে অভিহিত করতে পারি। তাফসীতে না থাকলে এই পৃথিবীতে অনেকগুলো কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়তো। এজন্য বলা যায় যে তাপ্তি আসলেই অনেক বড় একটি শক্তি এবং এই শক্তির বলে পৃথিবীতে অনেক ধরনের কার্য সম্পাদন করা হয়ে থাকে। এটা সত্যি পৃথিবীকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

তাপ শক্তি ছাড়া কোন প্রাণী বা উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারতো না বলে মনে করা হয়। উৎপাদ প্রাণের বেঁচে থাকার জন্য তাদের শরীরের জৈবিক ক্রিয়া গুলো সম্পন্ন করতে হয়। আর এই জৈবিক ক্রিয়া গুলো সম্পাদন করতে অবশ্যই তাপ শক্তি প্রয়োজন হয়। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের কার্যসম্পাদন করার জন্য অন্যান্য শক্তিগুলো ব্যবহার করলেও সেখান থেকে তার শক্তি উদ্ভাবন হয়। অন্যান্য অনেক শক্তি গুলো এত শক্তির উপর নির্ভর করে থাকে। তাই বলা যায় যে তাপ শক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক শক্তি এবং যে শক্তির ফলে পৃথিবীতে অন্যান্য শক্তি গুলো উজ্জীবিত থাকে। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য তার শক্তি অবশ্যই প্রয়োজনীয় একটি শক্তি।

তাপ শক্তি কিভাবে উৎপাদন করা হয়

সাধারণত তার শক্তির শুধু পৃথিবীর যাবতীয় শক্তির উৎসই হলো সূর্য অর্থাৎ সৌরশক্তি। পৃথিবীতে যত শক্তি উৎপাদন হয় সূর্য শক্তি তার অন্যতম কারণ। ইসলাম কৃত্রিম ভাবে যে তার শক্তিগুলো উৎপাদন করা হয় তারা সাধারণত পেট্রোল ডিজেল কয়লা প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকৃতিকে পুড়িয়ে তাপশক্তি উৎপাদন করা হয়। আর সরাসরি সূর্য থেকে আসা তাপ শক্তি সমস্ত পৃথিবীকে শুধু নয় মোটামুটি ভাবে আমাদের এই সৌরজগতকে নিয়ন্ত্রণ করার কাজে লাগে। তাই সহ্য হলো পৃথিবীর অন্যতম শক্তির উৎস। ডিজেল কয়লা প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি শক্তি ও প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আমরা সূর্যের কাছ থেকেই পেয়ে থাকি।

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে শুধু তাপ শক্তি না পৃথিবীর অন্যান্য শক্তিগুলো পেতে হলে অবশ্যই সৌরশক্তি বা সূর্যশক্তির প্রয়োজন রয়েছে। আর তাপ শক্তি যদি না থাকতো তাহলে পৃথিবীর সাধারণ যে কার্য গুলো সেগুলো সম্ভব হতো কিনা জানিনা। তাই আপনারা আজকে যেহেতু জানতে এসেছেন যে তাপশক্তি কাকে বলে এ বিষয়টি। আশা করি আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনারা এই প্রশ্নের উত্তরটি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাই আপনারা আপনাদের যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে আসতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করার মাধ্যমে আপনারা আমাদের পাশে থাকতে পারেন। আর আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পারবেন বলে আশা করি।

Leave a Comment