অভ্যন্তরীণ শক্তি মানুষের ক্ষেত্রে এবং বস্তুর ক্ষেত্রে উল্লেখিত। পদার্থবিজ্ঞানের একটি অধ্যায় হল বস্তুর অভ্যন্তরীণ শক্তি। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে পদার্থবিজ্ঞানের এই প্রশ্নটির উত্তর দেব খুব সহজে। একদম সহজ ভাষায় আপনাদের কাছে উল্লেখ করব বস্তুর অভ্যন্তরীণ শক্তি কাকে বলে। শুধু বস্তুর ক্ষেত্রেই নয় মানব জীবনেও অভ্যন্তরীণ শক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
মানুষের মধ্যে অন্তর্নিহত শক্তি এর প্রদর্শন এবং মানুষের মধ্যে নিহত অভ্যন্তরীণ শক্তির তাৎপর্য কি এসব কিছুই আলোচনা করা হবে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে। প্রথমে আমরা বস্তুগত্য অভ্যন্তরীণ শক্তির সংজ্ঞাটি জেনে নেব। বস্তু অর্থাৎ জীব এবং জর উভয়ের জীবনে ই এই অভ্যন্তরীণ শক্তি লক্ষণীয়।
পদার্থবিজ্ঞানে বস্তুর অবস্থান, বস্তুর স্থান পরিবর্তন এবং তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে বস্তুর আকার পরিবর্তন হয়। কোন পদার্থ থেকে নির্গত শক্তি তেজস্ক্রিয়ভাবে কাজে লাগানো হয়। বস্তুর মধ্যে অন্তর্নিহত শক্তি বিদ্যমান। অভ্যন্তরীণ শক্তি এর সংজ্ঞা।
কোনো বস্তুতে সঞ্চিত মোট শক্তিকে বলা হয় ঐ বস্তুর অভ্যন্তরীণ শক্তি।
কোনো একটি পদার্থ একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি ধারণ করে, এই শক্তিকে অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে।
অভ্যন্তরীণ শক্তি বলতে কোন বস্তুর কণিকাসমূহের (অণু, পরমাণু) স্পন্দন গতি, আবর্তন গতি, রৈখিক গতি এবং এদের মধ্যে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন প্রকার বলের দরুণ উদ্ভূত সৃষ্ট মোট যে শক্তি বস্তুর মধ্যে নিহিত থাকে এবং যে শক্তিকে কাজে ও অন্যান্য শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায় তাকে বোঝায়।
প্রত্যেক বস্তুর মধ্যে একটা সহজাত শক্তি নিহিত থাকে, যা কাজ সম্পাদন করতে পারে, যা অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। বস্তুর অভ্যন্তরস্থ অণু, পরমাণু ও মৌলিক কণাসমূহের রৈখিক গতি, স্পন্দন গতি ও আবর্তন গতি এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক বলের কারণে উদ্ভূত এই শক্তিকেই অভ্যন্তরীণ বা অন্তস্থ শক্তি বলে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ মানুষের জীবনে অভ্যন্তরীণ শক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। আজকে আমরা বাস্তবিক জীবনের কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।অভ্যন্তরীণ শক্তি হলো মানুষের ভেতরের ক্ষমতা। অনেক মানুষ রয়েছে যারা ওপর ওপর থেকে অনেক ভীতু মনে হলেও মনোবল তাদের অনেক দৃঢ়। অনেক মানুষ রয়েছে যাদের দেখে মনে হয় তারা আক্রমনাত্মক নয় কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সেই মানুষগুলোই হয়ে ওঠে আক্রমণত্ব এবং হিংস্র।
তাই অভ্যন্তরীণ শক্তি সম্পর্কে ধারণা করা একটু মুশকিল। তবে ওপর ওপর নম্র ভদ্র প্রদর্শন করতে হবে কিন্তু অভ্যন্তরীণ শক্তি থাকা প্রয়োজন। জীবনে অনেক পরিস্থিতি এর সম্মুখীন হতে হয়। কঠিন পরিস্থিতি গুলোতে নিজেকে সামলাতে হবে এবং নিজের সাথে সাথে আশেপাশের মানুষদের রক্ষা করার জন্য সর্বশেষ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অভ্যন্তরীণ শক্তি প্রদর্শন করার ক্ষমতা দেখাতে হবে। অভ্যন্তরীণ শক্তি সবার থাকে না। মানুষ হিসাবে অভ্যন্তরীণ শক্তি একটি মহৎ গুণ।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আজকে আমরা আপনাদের সাথে অভ্যন্তরীণ শক্তি সম্পর্কে কিছু তথ্য আলোচনা করতে চাই। আপনারা যারা জানতে চান অভ্যন্তরীণ শক্তি কি এবং অভ্যন্তরীণ শক্তির প্রয়োগ করা উচিত কিনা?এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে আজকে আমরা এ আর্টিকেলটি তৈরি করেছি। অভ্যন্তরীণ শক্তি হলো অন্তর্নিহিত শক্তি। প্রয়োজন পড়লে আমাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি প্রদর্শন করতে হবে।
জীবনে কোন কোন পরিস্থিতি রয়েছে যেগুলোতে কঠোর হয়ে মোকাবেলা করার শক্তি প্রয়োজন।আপনি যদি নরম হন তাহলে সবাই আপনার উপর গরম দেখাবে এটাই স্বাভাবিক। নিজের আত্মরক্ষা যদি নিজে করতে না পারেন তাহলে কেউ আপনার রক্ষা করবে না। মনে রাখবেন দিনশেষে আপনার পাশে কেউ থাকবে না। নিজেই রক্ষা করতে হবে। অভ্যন্তরীণ শক্তি থাকতে হবে এবং সেই শক্তির বলে সঠিক পরিস্থিতিতে সঠিক ব্যবহার প্রদর্শন করতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞান অথবা মানব জীবন উভয়ই অভ্যন্তরীণ শক্তি এর প্রভাব অপরিসীম। অভ্যন্তরীণ শক্তি সকলের থাকে না। অভ্যন্তরীণ শক্তি না থাকলে আমরা জীবনের কঠিন পরিস্থিতি গুলোতে টিকে থাকতে পারবো না। প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ তোমরা যারা এই অভ্যন্তরীণ শক্তি প্রদর্শন করতে পারবে তারাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে মর্যাদা পাবে। আশা করি আমাদের এই উপস্থাপনা অর্থাৎ লেখাটি আপনাদের পছন্দ হয়েছে। এরকম সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো করবেন।