ইসোরাল ২০ কিসের ওষুধ

আজকে আমরা ইসোরাল ২০ ট্যাবলেটটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানবো আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে। স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। যে কোন ঔষধ সেবন করার পূর্বে সর্বপ্রথম আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিব। ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ ডাক্তার আপনার শরীরের অবস্থার ওপর ডিপেন্ড করে একটি ঔষধের পরিমাণ লিখে দেয়। সেই অনুযায়ী আমাদের ওষুধ সেবন করা উচিত।

স্বাস্থ্য বিষয়ক এই আলোচনায় আমরা আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানাবো। আমরা যখনই কোন ওষুধ সেবন করব তখন সেই ওষুধটি নিয়ম মেনে সেবন করব। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের আগে অথবা পরে যেভাবে ডাক্তার ঔষধ সেবন করতে বলবে ঠিক সেই নিয়মে ওষুধ সেবন করতে হবে। মনে রাখবেন শারীরিক এইসব বিষয়ে অবহেলা করলে ছোট্ট একটি অবহেলা আপনার ভবিষ্যতের অনেক বড় দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে। কারণ এসব ট্যাবলেটের ওভারডোস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।

এজন্য যেকোন ঔষধ সম্পর্কে সব সময় আমাদের বেশি সচেতন হতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সকল নিয়ম কানুন মেনে তারপর ওষুধ সেবন করতে হবে। এবার আমরা ইসোরাল ২০ এই ট্যাবলেটটি কিসের জন্য সেটা জেনে নিই।
ইসোরাল ২০ মিঃ গ্রাঃ ক্যাপসুল হলো প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর যা অপেক্ষাকৃত অধিকতর এসিড নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি গ্যাষ্ট্রিক প্যারাইটাল কোষে অবস্থিত H+/K+ ATPase এনজাইম সিস্টেমের সাথে কোভালেন্ট বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত এসিড নিঃসরণের প্রধান ধাপকে বাধাগ্রস্থ করে। ইসোরাল মূলত ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইনজেকশন এবং পাউডার আকারে পাওয়া যায়।

ইসোরাল ২০ mg ( Esoral 20 MG) এই ট্যাবলেট টি সম্পর্কে আপনাদের আরো প্রশ্ন রয়েছে। সকল প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে যাবেন এখানে।
যেমন আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে যে,
কোন কোন বয়সে রোগীরা করতে পারবে?
এই ঔষধ কি সেবনে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি-না?
গর্ভাবস্থায় অথবা দুগ্ধ দানকারী মাতারা এই ঔষধ যেমন করতে পারবে কিনা?
ডায়াবেটিস অথবা উচ্চ রক্তচাপ এর রোগীরা কি এই ঔষধটি সেবন করতে পারবে?

অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এই ওষুধটি কি উপযোগী?
এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া খুবই স্বাভাবিক। আপনিও সচেতন হয়ে যান শরীর এবং সুস্থ তার সম্পর্কে এই সকল সাধারণ জ্ঞান গুলো জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করুন। যে কোন ঔষধ সম্পর্কে এই সকল সাধারণ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া খুবই স্বাভাবিক। আপনারা যারা ইসোরাল ট্যাবলেটটি সম্পর্কে এই সাধারণ প্রশ্নগুলো র উত্তর জানতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে খুব সহজে সহজ ভাষায় এই সকল তথ্য পেয়ে যেতে পারবেন।

আপনাদের একটা বিষয় ক্লিয়ার করতে চাই সেটা হল গর্ভবতী এবং দুগ্ধ দানকারী মাতা যেকোন স্বাভাবিক ঔষধ সেবন করতে পারবেনা। তাদের যেকোনো শারীরিক সমস্যা হলে তাদের নির্ধারিত ডক্টর ভিজিট করতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে কিন্তু যে কোন ধরনের ঔষধ সেবন করা গর্ভবতী এবং
দুগ্ধ দানকারী মাতাদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গুরুতর সমস্যা দেখা দিলে কোন ঔষধ সেবন করা যেতে পারে কিন্তু সেই ঔষধের প্রভাব নবজাতক সন্তানের ওপর পড়ে। এজন্য গর্ভবতী মায়েদের যে কোন ঔষধ সেবন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ওষুধটি সেবন করা একদম নিরাপদ ‌। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারাও নিশ্চিন্তে এই ওষুধটি সেবন করতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এই ওষুধটি সেবন করা উচিত নয়। এটি একটি সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্কদের ঔষধ। এই ওষুধটি সেবন করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই কম দেখা দেয় কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমধর্মী কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই সমস্যাগুলো ক্ষণস্থায়ী দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই নিশ্চিন্তে এই ট্যাবলেট সেবন করা যেতে পারে।

আশা করি তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের এই ছোট্ট আলোচনার মাধ্যমে জানতে পেরেছে। স্বাস্থ্য বিষয়ে আরো আলোচনা আরো তথ্য পেতে আমাদের আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই ফলো করতে হবে। শরীর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে নিজের সচেতন হতে হবে এবং জনসচেতনতা ও বৃদ্ধি করতে হবে। সুস্থ থাকুন ,ভালো থাকুন । নিজের এবং নিজের পরিবারের স্বাস্থ্যর খেয়াল রাখতে হবে।

Leave a Comment