আমাদের সকল পাঠক বন্ধুগণ। আপনাদের সকলকে জানাই আমাদের এই আর্টিকেলের পক্ষ থেকে স্বাগতম। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে আমরা বই পড়া প্রায় ভুলেই গেছি। কিন্তু বই পড়া পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো অভ্যাস। বিভিন্ন ধরনের সাহিত্যিক বই এবং বিভিন্ন ধরনের জ্ঞানমূলক বই পড়লে জাগতিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়। কিন্তু এখন কোন বিষয় সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকলে বই ছাড়া সেটা সম্ভব ,আমরা সেটা সবাই জানি। আমাদের মুঠোফোনটি ব্যবহার করে আমরা যে কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারি।
এখনো সমাজে অনেক ব্যক্তিত্ব আছে যারা জন্মগতভাবেই পড়তে ভালোবাসে এবং তাদের সময় কাটানোর একমাত্র মাধ্যম হলো জ্ঞান অর্জন করা এবং কিছু পড়ে আনন্দ পাওয়া। মূলত এইসব ব্যক্তিত্বের জন্যই আমরা আমাদের এই লেখাগুলো তৈরি করি যাতে আমাদের সেই সকল বন্ধুগুলো আমাদের এই উপস্থাপনা পড়ে আনন্দ পায়।
আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে আলোচনা করব। একটি শব্দ নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আজকের বিস্তারিত আলোচনায় আমরা অন্তর্নিহিত শক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। অন্তর্নিহিত শক্তি কি এবং এই শক্তির প্রভাব এবং একজন ব্যক্তিত্বকে অন্তর্নিহিত শক্তি কতখানি প্রভাবিত করে সেই সকল কথা সমূহ আপনাদের সামনে আজকে আমরা আলোচনা করব।
মূলত আমরা সহজ ভাষায় লেখার চেষ্টা করি এজন্য পাঠক বন্ধুরা আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়ে মজা পায়। আমরা যদি আমাদের মুখের ভাষায়, আমাদের মাতৃভাষায়, আমাদের জানার বিষয়গুলো পেয়ে থাকি তাহলে আমাদের ভালো লাগে। এজন্য আমাদের পাঠক বন্ধুদের আনন্দ দেখতেই আমরা এই লেখাগুলো তৈরি করি। অন্তর্নিহিত শক্তি মূলত একজন ব্যক্তিত্বের ভিতরে থাকা অভ্যন্তরীণ ক্ষমতাকে বোঝায়। এই ক্ষমতার বলে একজন মানুষ যা ইচ্ছা করতে পারে। আত্মনির্ভরশীলতা কে অনেক সময় অন্তর্নিহত শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়।
মানুষের জীবনের একটি কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল,,, নিজেকে ভালবাসতে হবে। নিজেকে শ্রদ্ধা করতে হবে এবং নিজের প্রতি সবসময় বিশ্বাস রাখতে হবে। আপনি যদি নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন তাহলে জীবনে আপনার আর কিছু থাকবে না। আপনি যদি নিজেকে সম্মান করতে না পারেন তাহলে এই দুনিয়া থেকে মান সম্মান প্রত্যাশা করবেন না। সবার প্রথমে নিজেকে প্রধান্য দিন, আপনি নিজে যদি সুখে থাকেন তাহলে আপনার আশেপাশের সবাইকে নিয়ে সুখে থাকতে পারবেন।
অন্তর্নিহিত শক্তি হচ্ছে কোনো বস্তু বা মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শক্তি। যা মানুষের মধ্যে থাকলে তাকে প্রতিভা বলে। আসলে একে আরও ব্যাখ্যা করলে বলা যায়,যে কোনো বস্তু থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে বেরিয়ে আসা শক্তি। যা দেখলে মুখ দিয়ে শুধু “ওয়াও” শব্দটি বের হয়।
আমাদের ভিতরে যে শক্তি বিদ্যমান, তা আমরা বুঝবো কি করে? যখন কোনো অপ্রত্যাশিত বাধা বা বিপদ আমাদের দ্বারে হানা দেয়, তখন তা রুখে দেওয়ার শক্তি বা ক্ষমতা অবলীলাক্রমে বেরিয়ে এসে সেই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে তা উত্তীর্ণ হন, তার অপর নাম অন্তর্নিহিত শক্তি।
এই শক্তি যেমন মানুষের থাকতে পারে, তেমনি অপরাপর জীবজন্তু বা কোনও যন্ত্রের মধ্যেও থাকতে পারে। বাস্তবে একটা কুকুরের কথাই বলি। কুকুরটি রাস্তায় চুপচাপ শুয়েই ছিল। হঠাৎ একটা বাইক বারবার কুকুরটির গায়ের কাছাকাছি দিয়ে ঘুরে ফিরে বিরক্ত করছিল। প্রথমে এক আধটু ডাকেই বাইকচালককে সাবধান করে দিচ্ছিল।
শেষে যখন আর সইতে পারছিল না, তখন সে ঘেউ ঘেউ করে একেবারে ঘাড়ে উঠে কামড়াতে উদ্যোগী হলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে কুকুরটিকে বিরত করে। তারপরে, দেহের কিছুটা ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায়, সে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিছুটা চিকিৎসার পর ঐ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, কুকুরটি তাকে কামড়ায় নি বলে।
যে কুকুর কোনোদিন কামড়ায় না, সে তেড়ে এসে নিজেকে বাঁচানোর তাগিদে যে শক্তি প্রদর্শন করলো, সেটাই হলো অন্তর্নিহিত শক্তি। বিপদে পড়লে আমরা আমাদের অন্তর্নিহিত শক্তি প্রয়োগ করার প্রবণতা দেখায়। আজকে যদি শব্দ কষ্টের মধ্যেও আমরা নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা না করি তাহলে সেই ব্যক্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। অন্তর্নিহিত শক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবার মাঝেই অন্তর্নিহিত শক্তি আছে বলেই আমরা বেঁচে আছি। আশা করি আপনারাও প্রয়োজনীয় আপনার অন্তর্নিহিত শক্তি প্রদর্শন করতে ভুলবেন না।