মোনাস ১০ কিসের ঔষধ

বিভিন্ন কারণে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করতে হয়। আমাদের শরীর বিভিন্ন কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বা আমরা বিভিন্ন কারণে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারি। আর এ সকল রোগের হাত থেকে মুক্তির জন্য আমাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ঔষধ সেবন করতে হবে। কিন্তু আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঔষধ সেবন করার প্রয়োজন হতে পারে সে ঔষধগুলো সম্পর্কে ধারণা নেয়া দরকার হয়। কিছু কিছু কমন ঔষধ রয়েছে যে ঔষধগুলো সেবন করা আমাদের প্রায়ই হয়ে থাকে। এজন্য এই কমন ঔষধগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা প্রয়োজন। এরকম একটি খুবই পরিচিত ঔষধ হচ্ছে মোনাস ১০ এমজি।

আপনি কি মোনাস ১০ ঔষধটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এই ঔষধটি কেন সেবন করা হয় তা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এই ঔষধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনি পড়তে পারেন। এখান থেকে আপনি এ ব্যাপারে জেনে নিতে পারবেন। কারন আমাদের এই আর্টিকেলটিতে মোনাস ১০ ঔষধটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই তথ্যগুলো জানার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন এবং এই ঔষধটি সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। সাধারণভাবে বলা যায় যে মোনাস ১০ ঔষধ দিয়ে চিকিৎসক প্রেসক্রাইব করে থাকেন, যখন একজন রোগীর অনেক বেশি কাশি হয়ে থাকে অথবা হাঁপানির জন্য।

যদি কোনো কারণে কাশি হয়, অর্থাৎ কোন রোগীর যদি হাঁপানি থাকে এবং এর ফলে যদি তার কাশি হয়ে থাকে, তাহলে চিকিৎসক এই হাঁপানির হাত থেকে বাঁচার জন্য এবং কাশির হাত থেকে বাঁচার জন্য মোনাস ১০ ঔষধটি সেবন করতে বলেন। এই ঔষধ সেবন করলে এই ধরনের সমস্যা থেকে বাচা সম্ভব হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে শুধু কাশির হাত থেকে মুক্তির জন্যও অনেক সময় এই ঔষধটি ডক্টর প্রেসক্রাইব করে থাকেন। তাই যে সকল ব্যক্তির কাশি হয়ে থাকে বা দীর্ঘদিন ধরে কাঁশি চলমান থাকে তারাও এই ঔষধটি সেবন করতে পারেন। কাঁশির হাত থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই ঔষধ নিয়মিত সেবন করতে হবে এবং ভালো না হওয়া পর্যন্ত সেবন করতে হবে। অনেকে দেখা যায় দু একটি ঔষধ সেবন করে আর সেবন করেন না। এর ফলে অসুস্থতা সম্পূর্ণভাবে সুস্থতায় পরিণত হয় না বা অসুখ থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় না।

দু-একটি ঔষধ সেবন করলে হয়তো কমবে কিন্তু সম্পূর্ণরূপে ভালো হবে না। এজন্য সম্পূর্ণরূপে ভালো করার জন্য নির্দিষ্ট সময় ধরে ঔষধটি সেবন করা প্রয়োজন। সাধারণভাবে বলা যায় যে এই ঔষধটির তেমন কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে দীর্ঘদিন ধরে কোনো ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। যেকোন সমস্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শের মতো ঔষধ সেবন করতে হবে। চিকিৎসক যতদিন বলেন ততদিন খাওয়া যেতে পারে এবং সমস্যার সমাধান হলেই ঔষধটি সেবন করা বাদ দিয়ে দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে সেবন করলে এর ফলে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তবে এই ঔষধটি সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই বয়সের একটি ব্যাপার রয়েছে। অর্থাৎ ছোটদের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন করতে হবে। বড়দের একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন করতে হবে। তাই ছোটদের বেশি সেবন করার জন্য উচিৎ নয়। এর ফলে ছোটদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। আর আপনার যদি কোনো ধরনের কাশি হয়ে থাকে বা কাশির হাত থেকে বাঁচতে চান অথবা কোন রোগীর যদি হাঁপানি সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে মোনাস ১০ ঔষধটি খেতে পারেন। আশা করি মোনাস ১০ ঔষধটি খেলে এ ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।

Leave a Comment