একটা জিনিস যদি একটু আলাদা ভাবে বলি তাহলে কেমন লাগে আপনারা সবাই একটু লক্ষ্য করবেন। ছোটবেলাতে বাবা-মা যখন আপনার একটি সুন্দর নাম রাখে সে নামটা অবশ্যই আপনার একটি পরিচয় বহন করে। কিন্তু দেখবেন হঠাৎ করেই নিজের বন্ধু বান্ধব বা নিজের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কেউ আছে যে আপনার নামটা একটু বিকৃত করে আপনাকে ডাকে। এটা সত্যি অনেক বিরক্তিকর একটি অভিজ্ঞতা এবং যাকে এভাবে জালানো হয় সেই কেবলমাত্র বুঝতে পারে এই বিরক্তির ব্যাপারটা। তবে একটি বিষয় হচ্ছে এখানে শুধুমাত্র ডাকা হচ্ছে এখানে খুব একটা ক্ষতি হচ্ছে না কারো কিন্তু তারপরও সেটা চরম এক ধরনের বিরক্তি।
কিন্তু অবাক করা ঘটনা হচ্ছে যেটা আপনার সব থেকে বড় পরিচয় অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র সেখানে যদি নামের বানান ভুল অথবা নাম ভুল হয় তাহলে সেটা কতটা বিরক্তিদায়ক এটা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। আর একটা বড় তো ব্যাপার হচ্ছে এখানে যে আর নাম ভুল হয়েছে তার কোন গাফিলতি নেই সম্পূর্ণ গাফিলতি নির্বাচন কমিশন এর অফিসের কর্মরত চাকরিজীবীরা অথবা সার্ভার। আবার সেই জিনিসটা সংশোধন করার জন্য কতই না কত কষ্ট করতে হয় একদিকে এবং নিজের টাকা খরচ করে সংশোধন করতে গেলেও অনেক ধরনের ভোগান্তি অনেক ধরনের অপমান এবং অনেক সময় নষ্ট হয়। আমার মনে হয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উচিত যাদের এই ধরনের ভুল হয় তাদের একেবারেই ফ্রিতে এবং খুব জরুরী ভিত্তিতে এই সংশোধন করে দেওয়া উচিত।
এই অংশের মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করব আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নামের বানান ভুল থাকলে সেটা ঠিক করার জন্য কোন কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে। ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করার সময় যে কাগজগুলোর প্রয়োজন পড়ে প্রত্যেকটি কাগজ এখানে প্রয়োজন পড়বে।
ডিজিটাল জন্ম সনদ
এইচএসসি সনদ
মা ও বাবার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
আগের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
নাগরিকত্বের ফটোকপি
সংশোধনী আবেদন পত্র
রক্তের গ্রুপের ফটোকপি
পাসপোর্ট এর ফটোকপি অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর প্রতিবেদন কপি
উপরে যে কাগজ গুলোর কথা আমরা উল্লেখ করেছি প্রত্যেকটা কাগজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভোটার আইডি কার্ডে যদি নামের ভুল হয় সেটা সংশোধনের ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র কাগজ জমা দিলে হয় না সেখানে উপস্থিত হয়ে আপনাকে আবেদন করতে হয় এবং নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে ব্যাংক ড্রাফ করতে হয়। আবার অপেক্ষা করতে হয় কবে নাগাদ এটা সংশোধন হবে তার জন্য এখানে আপনি কিছুই করতে পারবেন না শুধু দর্শক হিসেবে আপনাকে বসে থাকতে হবে এবং ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে টাকার প্রয়োজন পড়ে এবং সেই টাকা যিনি ভুক্তভোগী তাকে দিতে হয়। তবে টাকার হিসেব বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সংশোধনের ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ বিভিন্ন হতে পারে। এখানে একটি তালিকা আছে যে তালিকা আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। সেখান থেকে আপনারা পরিষ্কার ভাবে বুঝুন।
ব্যক্তিগত কোনো তথ্য পরিবর্তনের জন্য আপনাকে ২৩০ টাকা খরচ করতে হবে।
অন্যান্য তথ্যের জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ১১৫ টাকা।
যদি আপনার এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ডে উভয় তথ্য সংশোধন করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেখানে সর্বোচ্চ 345 টাকা খরচ করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের সময় সর্বনিম্ন এক সপ্তাহ এবং সর্বোচ্চ কতদিন সেটা উল্লেখ করা নেই। তবে বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেন তাহলে সাত দিনের মধ্যেই সংশোধনী কপি আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে এটা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি।