নিরাপদ পানি কাকে বলে

সম্মানিত পাঠক মন্ডলী, আপনারা কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমরাও ভালো আছি। আপনারা অনেকে আমাদের কাছ থেকে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন সে সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে আজকে আমরা একটি সম্পূর্ণ প্রবন্ধ সাজাচ্ছি। যেখানে আমরা আজকে আপনাদেরকে সকল তথ্যগুলো একসাথে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আজকে আমরা আমাদের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে নিরাপদ পানি কাকে বলে? সেটা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব। আপনারা অনেকেই জানেন যে, পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু নিরাপদ পানি কাকে বলে?

সেটা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। সেইজন্য আপনাদেরকে বলছি আপনারা যদি নিরাপদ পানি সম্পর্কে তথ্য জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি পড়ুন। আপনারা যদি আমাদের আজকের প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে নিরাপদ পানি কাকে বলে? নিরাপদ পানি কিভাবে পাওয়া যায় এবং কি করলে পানি নিরপেক্ষ থাকে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনারা আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। কিন্তু কোনোভাবেই এগুলো জানতে পারছেন না তাদের জন্য বলছি আপনারা সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

নিরাপদ পানি

যে পানিতে ময়লা, আবর্জনা, রোগ জীবাণু বা অন্যরকম ক্ষতিকর পদার্থ থাকে না তাকে নিরাপদ পানি বলে। বোতলে প্রক্রিয়া করা, পানি ফুটানো, পানি ফিল্টার করা পানি এবং নলকূপের পানি মানুষের ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। পানির নিরাপদতা ছাড়া একটি গোষ্ঠীর স্থায়ী উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং মানব সভ্যতার অনুন সাধন করতে অবশ্যই নিরাপদ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।

নিরাপদ পানি বিশ্বের মূল মন্ত্র। পানির নিরাপদ রাখার সাথে বিশ্বের আরও একটি উদ্দেশ্য হলো পানির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং বিধ্বংসী ক্ষমতার অপসারণ। এছাড়া পানি নিরাপত্তা বলতে পরিবেশ সংরক্ষণ করা এবং দুর্বল পরিবেশ ব্যবস্থাপনার নেতিবাচক প্রভাব গুলো চিহ্নিত করাকে বুঝিয়ে থাকে। সবার জন্য উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা পেতে হলে পানি নিরাপদ বিশ্বে বিশেষ করে নারী ও শিশুর পানি উপযুক্ত পরিচর্যার কারণে সবচেয়ে বেশি লাভবান করা সম্ভব।

নিরাপদ পানির বৈশিষ্ট্য

নিরাপদ পানির বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে নিচে সে সকল বৈশিষ্ট্য গুলো উল্লেখ করা হচ্ছে। আপনার মনোযোগ সহকারে বৈশিষ্ট্য গুলো দেখুন:-
১. নিরাপদ পানি সব ধরনের জীবাণুমুক্ত থাকে।
২. পানির রং বা বর্ণ টলমলে ও বর্ণহীন হয়।
৩. পানিতে কোন প্রকার দুর্গন্ধ ও ভাসমান পদার্থ দেখা যায় না।
৪. পানি খুবই স্বচ্ছ থাকে।
উপরে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্য গুলো যদি আপনারা উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে এখানে আপনারা নিরাপদ পানির সকল বৈশিষ্ট্যগুলো পেয়ে যাবেন।

নিরাপদ পানি পেতে হলে আমাদেরকে পানি দূষণ রোধ করা সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা যদি পানি দূষণ রোধ করতে পারি তবে আমরা নিরাপদ পানি পেতে পারি।

পানি দূষণ রোধে করণীয়

১. ফসল উৎপাদনের সময় রাসায় নিক সারের বিকল্প হিসেবে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে।
২. ফসল উৎপাদনের সময় জমিতে কীটনাশক অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
৩. কারখানার বর্জ নদী কিংবা ডুবাই ফেলা যাবে না।
৪. পথ মরা ও পচা জীবজন্তুর এবং জৈব আবর্জনা পানিতে না ফেলে মাটিতে চাপা দিয়ে দিতে হবে।
৫. কলেরা আমার সাথে টাইফয়েড ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর মর্মুত্র বিছানা পত্র ও জামাকাপড় পুকুর খাল বিল জলাশয় বা নদীতে ধোয়া যাবেনা টিউবয়েলের পানিতে ধুয়ে ফেলে দিতে হবে।
৬. পুকুর বা নদীর পানিতে বাসন-কোসন মাজা যাবেনা।
৭. সবসময় স্যানিটারির ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে হবে।

উপরের যে সকল তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো যদি আপনারা মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনারা নিরাপদ পানি পাবেন এবং আপনার কর্মকান্ডে আপনার সমাজ, আপনার পরিবার সকলেই উপকৃত হবে। এটা আমাদের সকলকেই মেনে চলা উচিত। আমরা সকলে যদি এ সকল বিষয়গুলো বিবেচনা করে পানি গ্রহণ করি তাহলে আমাদের সমাজ উপকৃত হবে। আর এটা আমাদের সকলের জন্যই অবশ্য করণীয়।

Leave a Comment