মানুষ জাতিকে হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা যুগ যুগ ধরে নবী ও রাসূলকে পাঠিয়েছেন। নবী-রাসূলগণ মানুষ জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং আল্লাহর পথে পরিচালনা করার জন্য যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করেছেন। মূলত আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে নবী-রাসূলগণ মানুষ জাতিকে হিদায়াতের পথ দেখানোর জন্য এসেছিলেন। তারা সবসময় আল্লাহতালা নির্দেশ পালন করেছেন এবং ইসলাম অনুসারে জীবন অতিবাহিত করেছেন।
আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তারা এসেছিলেন এবং তারা বিভিন্ন ধরনের হাদিস রেখে গেছেন। যেগুলো আমরা মেনে চলি এবং তাদের দেখানো পথ অনুসারে ইসলাম পালন করি। মূলত মানব জাতিকে হেদায়েতের পথে আনার জন্য এবং আলোর পথে আনার জন্য আল্লাহতালা যুগে যুগে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন এবং তাদেরকে অনুসরণ করতে বলেছেন। আর আমরা বর্তমানে নতুন নবী রাসূলদের দেখানো পথ অনুসরণ করে ইসলাম ধর্ম পালন করে এবং আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে।
প্রত্যেকটা মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তার ইবাদত করেন। মূলত আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এজন্য প্রত্যেকটা মুসলিম ব্যক্তির উচিত আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করা। বিভিন্নভাবে আল্লাহতালার সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য তার ইবাদত করতে হয়। যেমন সকল ইবাদতের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। এ যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করে আল্লাহ তাআলা তার উপর অনেক বেশি খুশি হয় এবং তার কাজের জন্য খুশি হয়ে তার উপর রহমত বর্ষণ করেন।
যে সকল ব্যক্তি আল্লাহ পাকের ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করেন এবং তার সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করেন সে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে যেমন আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে, তার রহমত লাভ করতে পারে, তেমনিভাবে পরকালীন জীবনে তার জন্য রয়েছে চির শান্তির স্থান জান্নাত। তাই আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন শান্তির জন্য, পরকালীন জীবনের চির শান্তির স্থান জান্নাত লাভ করার জন্য আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করার চেষ্টা করতে হবে।
তাহলে আল্লাহতালা খুশি হয়ে আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করবেন। বিভিন্নভাবে আল্লাহর ইবাদত করা যায়। সত্য কথা বলতে হবে, নিয়মিত সালাত আদায় করতে হবে, কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে, একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে, অন্যের দুঃখ- কষ্ট বোঝার চেষ্টা করতে হবে, অন্যের বিপদে-আপদে এগিয়ে যেতে হবে, কারো ক্ষতি করা যাবে না, সব সময় সত্য কথা বলতে হবে ইত্যাদি এই বিষয়গুলো করলে আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জন করা সম্ভব এবং আল্লাহতালা ইবাদত করা হয়।
আর মুসলমান ব্যক্তিরা মূলত আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্য যাদের অনুসরণ করেন, তারা হলো নবী ও রাসূল। আল্লাহ পাক নবী ও রাসূলকে পাঠিয়েছিলেন মানবজাতির হিদায়াতের জন্য এবং তাদেরকে ইসলামের পথে আনার জন্য। নবী রাসুল যুগ যুগ ধরে তাদের জীবন দশায় ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন, লড়াই করে গেছেন এবং ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের উচিত তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে ইসলামিক জীবন দর্শন মেনে চলা।
নবী-রাসূলগণ আমাদের ইসলামিক পথ দেখিয়েছেন এবং আলোর পথে পরিচালিত করার শিক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু অনেকে দেখা যায় যে নবী ও রাসূল বলতে কী বোঝায় এ বিষয়টি জানেনা। এজন্য নবী ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য জানতে চায়। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে এই আর্টিকেলটিতে নবী ও রাসুল বলতে কি বুঝায় এবং নবী ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যে সকল ব্যক্তির উপর আসমানী কিতাব নাযিল হয়েছে, তারাই মূলত রাসূল এবং যে সকল ব্যক্তির উপর আসমানী কিতাব নাযিল হয়নি, তারা মূলত নবী। প্রত্যেক রাসুল নবী, কিন্তু প্রত্যেকে নবী আবার রাসূল নয়। কারণ প্রত্যেকটা নবীর উপর আসমানী কিতাব নাযিল হয়নি। নবীরা মূলত পূর্বেকার রাসূলদের শরীয়াহ এবং আসমানী কিতাব অনুসরণ করতো।