বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশে অনেক নদ- নদী জালের মতো ছড়িয়ে- ছিটিয়ে আছে বলে বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ দেশ বলা হয়। আর বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নদ-নদী গুলোর অনেক ভূমিকা রয়েছে। নদ-নদী না থাকলে বাংলাদেশের প্রকৃতি মরুভূমিতে পরিণত হতো। এত সুন্দর প্রকৃতি কখনোই তৈরি হতে পারত না। মূলত নদ-নদী গুলোর কারণে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধরনের ঋতুর আগমন ঘটে।
নদ-নদী গুলোর আকর্ষনীয় কার্যক্ষমতার কারণে বা নদ নদী গুলোর থাকার কারণে এই ধরনের সুন্দর আবহাওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য করা যায় এবং সুস্থ সুন্দর ফসল ফলে এই দেশে। রঙিন ফুলে ফুলে ভরে উঠে এই দেশ। যদি নদ-নদী না থাকতো, তাহলে কখনো এই ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গড়ে উঠতো না। এত সুন্দর প্রকৃতি দেখা যেত না। বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হতো। বাংলাদেশের আবহাওয়া মানুষের বসবাসের উপযোগী থাকতো কি না এই বিষয়ে সন্দেহ থাকতো। তাই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নদ-নদী গুলোর ভূমিকা অপরিসীম এই কথাটি অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশে পর্যায়ক্রমে ছয়টি ঋতুর আগমন ঘটে। বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর আগমন ঘটার কারণে বাংলাদেশ অনেক সুন্দর এবং বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি। যদি বাংলাদেশে এরকম নদ নদী না থাকতো, তাহলে বাংলাদেশে কখনো এ ধরনের এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকতো না। আবার সব ধরনের ফুলে ফুলে ভরে উঠতো না। বাংলাদেশের যেকোনো ধরনের ফসল ফলানো যায় শুধুমাত্র এ দেশের প্রকৃতি অনুকূলে রয়েছে বলে।
অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের মত এত সুন্দর ভাবে শস্য উৎপাদন করা যায় না। যে কোন ফসল উৎপাদন করা যায় না। কারণ অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের মতো নদীমাতৃক নয়। আবার এতগুলো নদীর অবস্থান নেই। বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া পৃথিবীর খুব কম দেশে রয়েছে। বাংলাদেশ এত সুন্দর আবহাওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা রয়েছে এই নদ-নদীগুলোর৷
পৃথিবীর যেসব দেশে নদ-নদী নেই, সেসব দেশ মরুভূমির মত। সেসব দেশের বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করা যায় না। আবহাওয়া অনেক উষ্ণ। সেখানে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যায়। বাংলাদেশে যদি এরকম নদ-নদী না থাকতো, তাহলে হয়তো বাংলাদেশও এরকম মরুভূমির মতো হতো৷ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হতো না। তাছাড়া বাংলাদেশ আবহাওয়া অনেক উষ্ণ থাকতো। তাহলে হয়তো বাংলাদেশ প্রাণের বসবাসের উপযোগী থাকতো না। তবে বর্তমানে নদনদী গুলো অনেকটাই তাদের সক্রিয়তা হারিয়ে ফেলছে। মানুষ বিভিন্নভাবে নদ নদীর আশেপাশের জায়গা ব্যবহার করছে, যার ফলে নদী নিজের সক্রিয়তা হারিয়ে মৃত নদী পরিণত হচ্ছে।
এদেশের মানুষ বিভিন্নভাবে অবহেলার কারণে নদীগুলো মৃত নদীতে পরিণত হচ্ছে। মানুষ বিভিন্নভাবে নদীর আশেপাশের জমিগুলো ব্যবহার করছে। আর বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছে। এর ফলে ওইসব ফসলে কীটনাশক ব্যবহার করছে। কীটনাশক গুলো একসময় নদীর পানিতে গিয়ে মিশছে আর মাছগুলো মরে যাচ্ছে। আবার এভাবে নদীর আশেপাশে দখল করতে করতে একসময় মানুষ মূল নদীতে প্রবেশ করে ফেলছে। যার ফলে নদী তার নাব্যতা হারাচ্ছে এবং নদীর পানি শুকিয়ে মৃত নদীতে পরিণত হচ্ছে। এভাবে যদি নদী মৃত নদীতে পরিণত হতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক কমে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হবে।
অনেকে আবার এই নদনদী গুলো সম্পর্কে জানতে চায়। আবার কেউকে দেখা যায় যে নদ বলতে কি বুঝায় আর নদী বলতে কী বোঝায় তাদের মধ্যে পার্থক্য কি সেই বিষয়গুলো জানতে চেয়ে অনলাইনে সার্চ করে। আসলে যে জলস্রোত বা জলধারা কোন পর্বত, হ্রদ ইত্যাদি জলধারা হতে উৎপন্ন ও বিভিন্ন জনপদের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্য কোন জলাশয় মিশে যায়, তাকে নদী বলে। যেমন মেঘনা, যমুনা ইত্যাদি। আর যখন কোন নদী হতে কোন শাখা নদী সৃষ্টি হয় না, তখন তাকে বলা হয় নদ বলে। যেমন কপতাক্ষ নদ, ব্রহ্মপুত্র নদ, নীল নদ ইত্যাদি।