সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা অর্থ কি

আমরা আল্লাহর এবাদত করি একমাত্র আল্লাহতালাকে খুশি করার জন্য। আল্লাহ তালাকে খুশি করতে এবং তার আনুগত্য পেতেই আমরা নামাজ আদায় করে থাকি তবে নামাজ আমাদের সঠিকভাবে আদায় করা উচিত। নামাজ পড়তে হলে আমাদের অবশ্যই আগের সবকিছু বুঝে শুনে নামাজ পড়তে হবে। নামাজ পড়তে হলে অবশ্যই আমাদের পত্রিকা জুড়ার অর্থ জানতে হবে তাহলে নামাজ পড়তে গিয়ে আমাদের অন্য কথায় মন যাবে না।

আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আপনাদের জানাবো সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন। নামাজ পড়ার সময় অবশ্যই আমাদের নামাজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে এবং সিজদা তাহারিমা করার সময় বৃষ্টি সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। নামাজের যে নিয়ম-কানুন গুলো রয়েছে সেই নিয়ম কানুন গুলো আমাদের মেনে চলতে হবে।

নামাজে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাকবিরে তাহরিমার সময় দৃষ্টি সেজদার জায়গায় রাখতে হবে। দাঁড়ানো অবস্থায়ও দৃষ্টি সেজদার জায়গায় রাখতে হবে। এরপর রুকু অবস্থায় দৃষ্টি পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে; পুনরায় দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার জায়গায়; সিজদা অবস্থায় দৃষ্টি নাকের আগায়; বসা অবস্থায় দৃষ্টি নাভিতে রাখতে হবে। সালাম দেওয়ার সময় দৃষ্টি কাঁধে নিবদ্ধ থাকবে। এভাবে নামাজ আদায় করলে মনোনিয়ন্ত্রণ ও আত্মনিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। নামাজের প্রকৃত উদ্দেশ্যও সফল হবে।

রুকুর পর আমরা সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলার পর সোজা দাঁড়িয়ে যায়। এরপর রুকু থেকে সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় আমরা মুখে সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে থাকি আর এটা বলা সুন্নত এটা আমরা সবাই জানি। রুকু করার পর আমাদের সোজা হয়ে দাঁড়াতে হয় এরপর আমরা আবারও সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলি। নামাজ পড়ার সময় আল্লাহর তাজবিসহ সকল দোয়া পড়া উচিত আমাদের। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে আমাদের আল্লাহর প্রশংসা করতে হয়। আর এই প্রশংসার মাধ্যমেই একটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে সেটি হল আমি আল্লাহ লিমান হামিদা এই কথাটির অর্থ হল চমৎকার যা ইবাদতে প্রত্যেকটা মুসলিমকে মনোযোগী করে থাকে।

আমরা যখন নামাজের রুকুতে দাঁড়ায় তখন যে ঘোষণা দিতে হয় সেটা হল।
উচ্চারণ : ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’

অর্থ : ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য প্রশংসা করেন, আল্লাহ তাআলা (ওই ব্যক্তির প্রশংসা) শোনেন। আপনি যখন আল্লাহর প্রশংসা করবেন, আল্লাহ যখন আপনার প্রশংসা শুনবে তখন তিনিও আপনার প্রশংসা করবে ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য যে ব্যক্তি জামাতের সাথে নামাজ আদায় করবে তার ঈমান আরো বেশি শক্তিশালী হবে। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে জামাতের সাথে নামাজ পড়ার। জামাতের সাথে নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহতালার সাহায্য অর্জন করতে পারব। অনেকে আছে একাকি নামাজ পড়ে থাকে তবে জামাতের সাথে নামাজ পড়া সবচেয়ে বেশি উত্তম তাই আপনারা চেষ্টা করবেন যখন আপনারা সময় পাবেন অবশ্যই আমাদের সাথে নামাজ পড়ার।

তবে আপনি যখন একাকী নামাজ পড়বেন তখন যদি আপনি সামি আল্লাহ লিমান হামিদা না বলেন তাহলে আপনার নামাজের কোন সমস্যা হবে না কারণ আপনি যখন জামাতের সাথে থাকবেন তখনই শুধু আপনাকে এই কথাটি বলতে হবে। আমাদের সবারই উচিত জামাতের সাথে নামাজ পড়া।

আরিফ শরীফে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন কোন ব্যক্তি নামাজ ততক্ষণ পর্যন্ত হবে যতক্ষণ না তিনি আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করবে তাই আমাদের সবার উচিত আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করার। সবসময় চেষ্টা করবেন যে আমাদের সাথে নামাজ পড় তবে আপনি যদি কোনো কারণে আমাদের সাথে নামাজ পড়তে পারেন তবুও আপনি নামাজ ছাড়বেন না একা একা নামাজ পড়বেন।

প্রত্যেকটা মুসলিমকেই অর্থ বুঝে নামাজ পড়তে হবে অর্থ না বুঝে নামাজ পড়া আর বুঝে নামাজ পড়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে তাই আপনারা সব সময় অর্থ বুঝে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন।

 

 

Leave a Comment