ছোট বাচ্চাদের পায়খানা কষা হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে।পায়খানা কষার কারণে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।বাচ্চাদের পায়খানা কষা হওয়ার মূল কারণ হলো খাওয়া-দাওয়ার অভাব। বাচ্চাদের পায়খানা কষা হওয়ার সমস্যাটি বেশি দেখা যায়, ছোট বাচ্চারা পায়খানা কষা হলে ঠিকমতো বলতে পারেনা, পিতা-মাতা ও এ বিষয়ে এমন সময় দিতে পারে না তার জন্য এই সমস্যা বাচ্চাদের বেশি হয়ে ওঠে।
কিভাবে বুঝব আমরা যে বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা হয়েছে।বেশ কিছু কারণে বাচ্চার কষা বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। বেশকিছু রোগ আছে যেই রোগগুলো বাচ্চাদের খাবারের কারণ হয়ে থাকে, বাচ্চা যদি প্রতিনিয়ত শক্ত পায়খানা করে তাহলে এটাকে আমরা কষা পায়খানা বলে ধরে নিতে পারি।আরো কিছু লক্ষ্যণ আছে যে লক্ষণ গুলো দেখলে পারা যায় বাচ্চার কষা বা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা রোগের বিস্তারিত আলোচনা করবো আজ।
কষা পায়খানা লক্ষণ গুলো কী
বাচ্চারা যদি সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা করে তবে সেটাকে পায়খানা বলে ধরে নেয়া যায়। এছাড়াও কষা পায়খানা হলে যেই সমস্যা গুলো বাচ্চাদের সে লক্ষণগুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- বাচ্চাদের পায়খানা শুকনা ও শক্ত চাকার মত হয়ে যাবে।
- পায়খানার আকৃতি আগের চেয়ে অনেক বড় হবে।
- বাচ্চার পায়খানা করতে কষ্ট হবে
- পেট ফুলে থাকবে এবং সে কিছু খাইতে চাইবে না।
- পায়খানা কষা কেন হয়
- বাচ্চা যদি ঠিকমতো পানি না খায় তাহলে পায়খানা কষা হতে পারে।
- বাচ্চার খাবারের তালিকা যদি আঁশযুক্ত খাবার থবা ফাইবার যুক্ত খাবার কম থাকে তাহলে কষা হয়ে যেতে পারে।
- শুয়ে অথবা বসে বেশি থাকলে যেকোনো বাচ্চার হতে পারে।
- শারীরিক পরিশ্রম কম করা হলে বা খেলাধুলা কম করা হলে পায়খানা কষা হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হলে খুব বেশি পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে বাচ্চাকে। বাচ্চা যদি একটু বড় হয়ে থাকে তাহলে তাকে ভুসি ভিজিয়ে রেখে খাওয়াতে হবে। তাহলে তার কষা পায়খানা কমে যাবে।কারণ এসব গুলের ভুষিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা একটি মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।পায়খানা কষা হলে অবশ্যই বাচ্চাকে, হাটাহাটি করতে দিতে হবে,খেলা ধুলার প্রতি মনোযোগী করে তুলতে হবে। সে যদি নিয়মিত খেলা ধুলা করা তাহলে বাচ্চাদের কষা পায়খানা কমে যাবে। সে আবার স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করবে।বাচ্চাদের যদি পায়খানার বেগ আসে তাহলে তাকে সেই সময় পায়খানা করাতে হবে। পায়খানা কখনোই চেপে ধরে রাখতে নেই এতে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। তাই সঠিক সময় বাচ্চাকে পায়খানা করাতে হবে।সঠিক অভ্যাস করার মাধ্যমে বাচ্চাকে সুস্থ রাখা সম্ভব।
পায়খানা কষা হলে অবশ্যই মনকে এবং হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। কোন সময় মন খারাপ করা বা অসুস্থতা ফিল করা যাবে না, তাহলে শরীর আরো খারাপ হয়ে যাবে। তাই চেষ্টা করতে হবে সব সময় শরীরকে হাসিখুশি রাখার এবং সুস্থ রাখার।বাচ্চা যদি দীর্ঘদিন ধরে কষা পায়খানা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে। কেননা আমরা ওষুধ গুলোর নাম বলবো এই ওষুধগুলো হতে পারেন কিন্তু ভাসমতে আপনারা যদি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ান তাহলে আপনার বাচ্চা সুস্থ এবং চিকিৎসা পাবে।
তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের সুপরামর্শ দেয়ার পোস্টে উল্লেখিত কাজগুলো করে যদি উপকার না পান পরামর্শ নিবেন এবং ওষুধ খাওয়াবেন।ঘরোয়া উপায়ে যদি কষা পায়খানা চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ খাওয়া উচিত না। কারন আপনি যত ওষুধ খাবেন ততই আপনার শরীর বিভিন্ন কারণে অসুস্থ হবে। কারণ যেকোন ওষুধের একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তাই আপনাকে সময় বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মেনে ওষুধ খেতে হবে।