শরীরের যেকোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিভিন্ন রোগে যেমন আক্রান্ত হয় সে সকল রোগের আলাদা আলাদা ঔষধ ও রয়েছে। আমাদের শরীরের যেকোনো রোগ হলে আমরা সেই রোগগুলো ঔষধের মাধ্যমে সারিয়ে তুলতে সক্ষম হই। তেমনি ভাবে আজকে আমরা দেখব যে কিডনি রোগের ঔষধ কি। কিডনি বা বৃক্ষ হল শরীরের অভ্যন্তরের একটি অতি সংবেদনশীল অঙ্গ।
অর্থাৎ আমরা দেখতে পাই যে শরীরের বহিরঙ্গ গুলো খুব বেশি যে সংবেদনশীল তা কিন্তু নয় তবে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। সৃষ্টিকর্তা মানুষের শরীরে এ কারণেই প্রত্যেকটি অংশই গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন এবং একটি অঙ্গের জন্য আলাদা আলাদা কাজও বরাদ্দ করে রেখেছেন। এজন্য আমরা দেখি যে কারো যদি কোন অঙ্গের হানি হয় তাহলে তার চলাফেরায় অনেক সময় বেঁচে থাকার অনেকটা সমস্যা দেখা দেয়।
এই কারণে বলা যায় যে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হিসেবে দেখা যায়। তবে আমরা যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি দেখেছি সেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলির মধ্যে অবশ্যই শরীরের ভেতরকার অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর মধ্যে কিডনি একটি অঙ্গ। মানুষের শরীরে অভ্যন্তরে কোমরের পেছনদিকে স্ত্রী বা পুরুষ উভয় মানুষের জন্যই দুইটি কিডনি থাকে। এই কিডনি গুলো শরীরের বিভিন্ন ছাঁকনি এর কাজ করে থাকে।
তাই যদি মানুষের শরীরে কিডনি না থাকে তাহলে মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে। শরীরে যেহেতু দুইটি কিডনি রয়েছে তাই মানুষের শরীরে যদি একটি কিডনি থাকতো সুস্থ থাকে তাহলে সেই মানুষটি মোটামুটিভাবে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। আর কারো যদি দুই টিকিট নিয়ে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সেই মানুষটির মৃত্যু ছাড়া কোন উপায় নেই। তবে আরেকটি ব্যাপার হলো যে এই কিডনি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে অবশ্যই বাইরে থেকে অন্য কারোর কিডনি আমরা প্রতিস্থাপন করেও বেঁচে থাকতে পারি।
তবে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হলে আমাদের দুইটি বিষয় মনে রাখতে হয় তা হলো যিনি কিডনি গ্রহণ করবেন এবং যেডনি কিডনি দাতা দুজনের শরীরের এই কিডনি ম্যাচিং করতে হবে। যদি কিডনি ম্যাচিং না হয়ে থাকে তাহলে দিতে চাইলেও সেই কিডনি দাতা গ্রহণ করতে পারে না। আর আরেকটি বিষয় হলো এই কিডনি প্রতিস্থাপনের পর সেটি যদি কাজ করতে থাকে তবেই কিডনি গ্রহণ করা মানুষটি বেঁচে যেতে পারে। বিভিন্ন কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে যায় বা নষ্ট হতে পারে। এর মধ্যে সবচাইতে কমন একটি রোগ হল কিডনিতে পাথর হওয়া।
কিডনিতে রোগগুলো যদি হয় তাহলে সেগুলো কিভাবে আমাদের ভালো করতে হবে সে বিষয়টি আমরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করব। চিকিৎসক যদি ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করে ঔষধের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে অবশ্যই কিডনির রোগ ভালো হওয়া সম্ভব। আর আজকে আমরা আমাদের এই পোস্ট থেকে কিডনির রোগ ভালো করার ঔষধের নাম জানার জন্য এসেছি। আজকে আপনারা আমাদের এখান থেকে কিডনি ভাল হওয়ার ঔষধ সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিতে পারবেন। যেহেতু কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে তাই কিডনির আলাদা আলাদা রোগের জন্য আলাদা ঔষধ সেবন করায় সবচাইতে বেশি ভালো। বা আলাদা আলাদা ঔষধ অবশ্যই প্রয়োজন হয়।
এখন আমরা এই কিডনি রোগের ঔষধ গুলো কি সেটি দেখব। কিডনি রোগ ভালো করার ঔষধ গুলি হল-প্রথমে আপনাকে ধূমপান এবং মধ্য পান পরিত্যাগ করতে হবে। আপনার রক্ত থেকে শর্করার পরিমাণ কমাতে হবে। নিয়মিতভাবে শারীরিক পরিশ্রম অথবা শারীরিক ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করতে হবে। ব্যাথা নাশক ঔষধ কম খেতে হবে বা খেতে হবে না। খাবারে সুস্থ টাটকা ফল শাকসবজি ইত্যাদি খেতে হবে। প্রয়োজন মত জল পান করতে হবে। তাহলে আপনি কিডনি রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।