পায়খানা কথা বলতে সাধারণত যে বিষয়টি বুঝানো হয় তা হল পায়খানা ঠিকমতো না হওয়া এবং যাকে ভদ্র ভাষায় বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। খাবারের বদ অভ্যাসের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। যেমন বেশি পরিমাণে মাংস তেল চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া। পানি পরিমাণ কম খাওয়া এবং অতিরিক্ত চা কফি ইত্যাদি খেলে সাধারণত পায়খানা কষা হয়ে থাকে। তবে আপনারা জানেন যে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই স্বাভাবিক পায়খানা হতে হবে তা না হলে অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অনেক ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যর কারণে পাইলসে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রান্ত হয় এবং তার জন্য আপনাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়।
তাই আমরা চেষ্টা করবো সব সময় যে কোনোক্রমে যেন পায়খানা কষানো হয় এবং যদি কষা হয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে সেটি দূর করার চেষ্টা করব। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করব এবং যে খাবারগুলো খেলে পায়খানা কষা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে সেই খাবারগুলো যেমন: পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয় প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করতে হবে। যে খাবার গুলো মুখরাচক কিন্তু শরীরের জন্য ভালো নয় সে খাবারগুলো পরিত্যাগ করতে হবে।
পায়খানা কষা হলে কি ঔষধ
যদি কোনক্রমে খাদ্যের বদ অভ্যাসের কারণে আমাদের পায়খানা কষা হয় বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদেরকে খাবারের মাধ্যমে সেটি দূর করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ যে কোন সময় যে কোন বিষয়ে শুধু ওষুধ খেলেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যায়। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং অপরদিকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও আমাদেরকে যে কাজগুলো করতে হবে ঘরোয়া ভাবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-সহজে হজম হওয়া আমারগুলো খাওয়া। তাই আপনারা আরও যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন তার মধ্যে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে ফল খেতে হবে আপনারা জানেন যে, ফল কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত রাখে শরীরকে।
এছাড়া অন্যান্য অনেক ধরনের খাবার হয়েছে সে খাবারগুলো আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা করবে। যেমন ধরুন এসব ভুলের ভুষি রেগুলার যদি খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত রাখবে। আপনাকে খাবারের তালিকায় যে খাবারগুলো রাখবেন আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন আঁশ যুক্ত খাবার বেশি থাকে। আর যুক্ত খাবার গুলো অবশ্যই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত করে শরীরকে। আপনারা জানেন যে কষ্ট কাশিনা দূর করার জন্য সবচাইতে মৌহষধের ভূমিকা পালন করে থাকে ইসবগুলের ভুসি।এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
ভুসি পানি শোষণ ও ধারণ করার মাধ্যমে পায়খানা নরম করে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এই ইসবগুলের ভুষি যদি ব্যবহার করার পরও আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে যায় তাহলে অবশ্যই রাসানিক ঔষধ এলোপ্যাথিক অথবা হোমিওপ্যাথিক বিভিন্ন ঔষধ রয়েছে যে ঔষধ গুলি স্মরণ করলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘদিন চলতে থাকলে আপনাকে অন্য রোগের মোকাবেলা করতে হয়। আর অন্য রোগ থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই প্রথমে আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হয়। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখান থেকে পরামর্শ গুলো গ্রহণ করে নিজের জীবনে প্রয়োগ করবেন তারা অবশ্যই আমাদের কাছ থেকে বুঝে
নিতে পারবেন সব ধরনের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার টিপস গুলো। তাই কষ্ট কাঠিন্য দূর করতে হলে আপনারা এতক্ষণ পর্যন্ত যেহেতু আমাদের সাথে ছিলেন আপনাদেরকে অবশ্যই ধন্যবাদ। কিন্তু আপনারা আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকবেন এবং অবশ্যই বুঝে নিতে পারবেন বা বুঝে নিতে পারলেন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার বিভিন্ন বিষয়গুলো। তাই জীবনকে সুস্থ রাখার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খান এবং তার সঙ্গে ফলমূল শাকসবজি এই সাধারণ খাবার গুলো খেতে থাকেন। আর এই ধরনের শব্দ তো সবার আগে পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সাথে থাকবেন।