গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল যেন বাকি না পড়ে তার জন্য এখন অধিকাংশ বিদ্যুৎ প্রদান করে এমন সেক্টরে প্রিপেইড সিস্টেম চালু করা হয়েছে। তাই আপনাদের এলাকায় অথবা আপনি যেইখানে বসবাস করছেন ঠিক সেই জায়গাতে যদি প্রিপেইড মিটার সিস্টেম থাকে তাহলে আপনাকে রিচার্জ করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচ করতে হবে। তবে আপনার আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী আপনি কত টাকা রিচার্জ করতে পারবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। টাকা যদি কম থাকে তাহলে সর্বনিম্ন কত টাকা রিচার্জ করা যায় তা এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।
গ্রাম পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চালু থাকলেও শহর পর্যায়ে নেস্কো ডেসকো অথবা এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিদ্যুৎ সাপ্লাই করে থাকে। সাধারণত গ্রাহকেরা যাতে টাকা দিতে ঝামেলা না করে অথবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা দিতে পারে এমনভাবে বারবার ঘোষণা প্রদান করা হয়ে থাকলেও অনেক গ্রাহক টাকা প্রদান করে না। আর এই কারণে অনেক গ্রাহকের টাকা বাকি পড়ে থাকে এবং এই বিদ্যুৎ প্রদান করা কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাই সর্বসাধারণের অবগতির কথা ভেবে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান সময়ে প্রিপেইড সিস্টেমে আপনাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার করা চলছে। অর্থাৎ আপনি যত টাকা রিচার্জ করবেন সেই রিচার্জ এর ভিত্তিতেই বিদ্যুৎ আসবে এবং যদি রিচার্জ শেষ হয়ে যায় তাহলে আপনাদেরকে আবার রিচার্জ করে বিদ্যুতের সংযোগ গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি কম টাকা থাকে এবং এ আপনার বিদ্যুতের রিচার্জের পরিমাণ যদি একেবারে কমে যায় তাহলে কত টাকা রিচার্জ করবেন সে প্রসঙ্গে এখানে জানতে এসেছেন।
সিস্টেমের মাধ্যমে কোন গ্রাহকের টাকা যেমন বাকি থাকছে না তেমনি ভাবে সবাই এই দায়িত্ব সহকারে এগুলো করে থাকছে। এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার ফলে অনেকের কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য সাশ্রয় ভূমিকা পালন করা সম্ভব হচ্ছে। তবে যাই হোক আপনাদের যেহেতু প্রিপেইড সিস্টেমে বিদ্যুৎ খরচ করতে হবে সেহেতু আপনারা কত টাকা রিচার্জ করতে হবে অথবা সর্বনিম্ন কত টাকা দিলে এটা আবার পুনরায় চালু হবে সে বিষয়ে জানতে এসেছেন বলে তার প্রদান করতে চলেছি। অর্থাৎ আপনাদের জানার আগ্রহ থেকে যেকোন মাধ্যমে আপনারা যদি রিচার্জ করতে চান তাহলে কমপক্ষে ১০০ টাকা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা সর্বনিম্ন রিচার্জ করা লাগবে।
প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জ করার নিয়ম
প্রত্যেকটা মিটারের একটা নির্দিষ্ট নাম্বার রয়েছে এবং এই নাম্বারের ভিত্তিতেই আপনাদেরকে টাকা রিচার্জ করতে হবে। মোবাইল ফোনে যে ব্যাংকিং সিস্টেম রয়েছে অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনারা এই টাকাগুলো বিল পে করতে পারেন। এই টাকা পেয়ে করার জন্য যেমন বাটন ফোন থেকে অপশন গুলো অনুসরণ করা যাবে তেমনিভাবে অ্যাপসের মাধ্যমে প্রবেশ করেও আপনারা টাকা রিচার্জ করতে পারবেন। অর্থাৎ টেবিল অপশনে গিয়ে মিটারের নাম্বার ধরে সেটা প্রিপেইড মিটার উল্লেখ করে আপনাদেরকে এই টাকা প্রদান করতে হবে।
প্রিপেইড মিটারে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড
প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে হয়তো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং আপনারা আর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন না। এরকম পরিস্থিতিতে প্রিপেইড মিটারে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা ব্যালেন্স প্রদান করলে ভালো হয় তা কিন্তু অনেকেই জানতে চান। উপরের দিকে সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ জানিয়ে দিয়ে থাকলেও প্রিপেইড মিটারে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির আলাদা আলাদা কোড নাম্বার রয়েছে।
বিশেষ করে আপনারা যদি নিজকো কোম্পানির বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেটার মাধ্যমে আপনারা যখন ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন তখন সেটার কোড হবে ৯৯৯৯৯। আবার অন্যান্য কোম্পানির যদি আপনারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেগুলোর আলাদা আলাদা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড রয়েছে যা আপনাদের কমেন্ট করার মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দিতে পারবো। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারের ব্যাপারে সাশ্রয়ী ভূমিকা রাখলে আশা করি কম খরচে প্রতিটা মাস আপনাদের পার হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।