যেহেতু বিটিএস একটি জনপ্রিয় পপ ব্র্যান্ড। তাই বিটিএসের ফ্যানরা বিটিএস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য কৌতুহল প্রকাশ করে। বিটিএস এর সদস্য সংখ্যা কতজন?বিটিএস সদস্য এর ধর্ম কি? বিটিএস সদস্যদের লাইফ স্টাইল কেমন?
bts সদস্যরা কিভাবে তাদের জীবনযাপন অতিবাহিত করে? এই সকল প্রশ্ন অনেকেই জানতে চাই। আজকে আমরা বিটিএস সম্পর্কে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
বিটিএস হলো ৭ সদস্যের দক্ষিণ কোরিয়ান বয় ব্যান্ড। এ ৭ সদস্যের ব্যান্ড বিগহিট মিউজিক এর অধীনে ২০১০ সালে ট্রেইনি হিসেবে এবং ২০১৩ সালে টু কুল ফর স্কুল (2 Cool 4 Skool) অ্যালবাম নিয়ে পুরো বিশ্বের সামনে আত্মপ্রকাশ করে।বিটিএসের আরএম বলেছেন তিনি একজন নাস্তিক। জে-হোপের ধর্ম একটি রহস্য রয়ে গেছে তার সম্পর্কে কোন ধারনা নেই।
একেরপর এক এলবাম বের করে রেকর্ড বুক তছনছ করে, বিশ্ব সঙ্গীত ইতিহাসে একটা বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলছে কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বি টি এস। বিপ্লব ঘটাচ্ছে বললাম কারণ এই বিটিএস নিয়ে নেট দুনিয়ায় ট্রোল মিম তর্কাতর্কি থেকে বন্ধু মহলে মান অভিমান পর্যন্ত গড়িয়েছে। একদল মানুষ বিটিএস এর বিপক্ষে থাকলে আরেকদল তাদের পক্ষে একদম চীনের দেয়াল হয়ে দাড়িয়ে যাচ্ছে। আজকের আয়োজন বিটিএস এর ফ্যানবেইজ যারা নিজেদের “বিটিএস আর্মি” বলে থাকে তাদের নিয়ে। তার আগে ছোট করে বিটিএস এর ইতিহাস এবং অর্জন নিয়ে একটু জেনে আসা যাক।
পপ সঙ্গীত মূলত একটু মেলোডিক টাইপের সুর হয়, যেখানে মনের ভাব বিশেষ করে প্রেম সংগঠিত ব্যাপার স্যাপার খুব সুন্দর সহজ ভাষায় ছন্দে তুলে ধরা হয়। এই ধরণের সঙ্গীত এর মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর সহজবোধ্যতা। কোরিয়ান পপ কালচারে এর সাথে একটা দলীয় ভাব এনে ধরা হয়েছে যেমন টা পাশ্চাত্যের ব্যাক স্ট্রিট বয়েজ বা ওয়েস্ট লাইফ ব্যাণ্ড গুলো করে এসেছে। কোরিয়ান পপ বা কে পপের এই তরুণরা সেই সাথে গানের ভিতর তরুণদের মনোভাব খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা শুরু করে। এছাড়াও গানের কথা, সুর সব তারা নিজেরাই করে। তাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে নাচ। তারা অসাধারণ সুন্দর ভাবে নাচ এবং গান এক সাথে পরিবেশন করতে পারে যেটা তাদের বাকি শিল্পীদের থেকে আলাদা করেছে।
তারপর তারা দুটি মিনি এলবাম বের করে, এবং ২০১৪ সালে তাদের প্রথম ফুললেন্থ এলবাম “Dark and Wild” রিলিজ করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ টা এলবাম বের করেছে তারা। সম্প্রতী মুক্তি পাওয়া এলবামের নাম “Be”। এছাড়াও তারা তাদের প্রথম ইংরেজী গান “ডায়নামাইট” বের করেছে। শুরুতেই বলেছি বিটিএস রেকর্ড বুকে রীতিমত তান্ডব চালাচ্ছে। চলুন তাদের কিছু রেকর্ড সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
বিটিএসই প্রথম এবং একমাত্র এশিয়ান ব্যান্ড যাদের এলবাম বিশ্বের বড় পাঁচটি মিউজিক মার্কেট যেগুলো হলো ইউ এস এ , জার্মানী, ফ্রান্স , ইউকে, জাপান এ শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। ।
বিটিএস বরাবরই বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সরব। সমকামীতার পক্ষে তারা কথা বলেছে, ৭৩ তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে তারা বক্তৃতা দেয়ার গৌরব অর্জন করেছে। সম্প্রতি বর্ণ বাদ বিরোধী আন্দোলন ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারে বিটিএস এবং বিটিএস আর্মি প্রায় ২.৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে।
সংস্কৃতি জিনিসটা পরিবর্তন শীল, বিটিএস সম্ভবত সেই পরিবর্তনটাই নিয়ে এসেছে। আজ থেকে হয়তো ১০ বছর পর কে পপ হয়তো আমাদের দেশেই প্রচন্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আর হ্যা! আপনি বিটিএস্ পছন্দ করতে পারেন বা নাই পারেন।কিন্তু তাদের ভক্তরা যে কাজ গুলো করে বেড়াচ্ছে বিশ্বের অন্য কোন শিল্পীর ফ্যানবেইজ করেছে বলে মনে হয় না। সুতরাং আপনিও আপনার পছন্দের ব্যান্ড বা শিল্পীর জন্য কিছু করেন, বিশেষ করে দেশীয় শিল্পীদের এলবাম কিনুন তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। তাহলে সবারই উপকার হবে। বিটিএস আর্মিদের জন্য শুভ কামনা থাকলো।
বিটিএস ফ্যানদের জন্য এই তথ্যগুলো আমরা শেয়ার করেছি। আশা করি bts ফ্যান আর্মি এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারবে। বিটিএস সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সেটাও কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।