ভিটামিন ডি এর উৎস কি কি

আল্লাহতালা পুরো মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের মধ্যে মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে যতই বড় বড় জিনিস থাকুক না কেন পৃথিবীর বাইরে যত বড় বড়ই সৃষ্টি থাকুক না কেন মানুষ সবার থেকে উত্তম। আর তার জন্যই হয়তো মানুষের জন্য কল্যাণ নয় প্রত্যেকটা জিনিস প্রত্যেকটা জিনিসের মধ্যে থেকেই পাওয়া যায় যেমন ভিটামিন ডি। যে সূর্য গোটা পৃথিবীকে তার আলোতে জীবিত রেখেছে সেই সূর্য থেকে নাকি মানুষের শরীরের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে সূর্য থেকে বা সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়ার ব্যাপারটা এতটা সহজ নয় সাধারণত এখানে নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট তাপের মধ্যে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যেটা পাওয়াটা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

সূর্য পৃথিবীর ভিটামিন ডি এর উৎসের সব থেকে বড় উৎস তবে এছাড়াও আরো কিছু উৎস আছে যে উৎসগুলো অবশ্যই আমাদের জানা উচিত কারণ যে কোন সময় আমরা এই ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারি। একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ইউনিট ভিটামিন ডি খেতে হবে কিন্তু খাবারের মাধ্যমে আমরা সেটা পাচ্ছি কিনা সেটা জানার জন্য আমাদের খাদ্য থেকে কোন উৎসের মাধ্যমে আমরা ভিটামিন ডি পেতে পারি সেটাও জানতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে আর সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতিনিয়তই আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আশা করছি আমরা সুফল পাবো।

কোন কোন খাবারে ভিটামিন ডি আছে

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার আছে সেই খাবারগুলো সাধারণত আমাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। তাই আমরা চাইলেই এই খাবারগুলো বেশি খেতে পারি এবং ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি। তবে যদি আমাদের জানা না থাকে এই খাবারগুলোতে ভিটামিন দিয়ে আছে তাহলে আমরা ভিটামিন ডি এর জন্য ঔষধের উপর বেশি নির্ভরশীল হব যেটা সবথেকে খারাপ দিক। ওষুধের মাধ্যমে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করা যায় তবে সব সময় ওষুধের উপর নির্ভরশীল হওয়াটা শরীরের জন্য ভালো দিক নয় তাই আমাদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য ডিমের কুসুম হতে পারে অনেক মজাদার একটি খাবার এবং এই ডিমের কুসুম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। আপনি যেভাবে ইচ্ছা ডিমের কুসুম খেতে পারেন যেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আপনি পাবেন।

আমাদের পছন্দের তালিকায় থাকার দই অনেক ভিটামিন দিয়ে যুক্ত একটি খাবার এবং ভিটামিন ডি এর বড় একটি উৎস হচ্ছে দই। আমরা যদি নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে।

ওটমিল অনেকেই জানেন না এবং এই ওট মিলের মধ্যে কোন কোন গুনাগুন আছে সেটাও অনেকেই জানেন না। এটাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে তাই আপনি যদি প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে দুধের সঙ্গে এই খাবারটি খেতে পারেন তাহলে সেটা আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে।

মাশরুম অনেকের কাছে পছন্দের একটি খাবার এই মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। মাসুম বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে তবে যতটা সম্ভব চেষ্টা করতে হবে মাশরুমকে সেদ্ধ করে খেতে যাতে করে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।

দুধ জাতীয় খাবার যেগুলো রয়েছে সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে তাই অবশ্যই নিয়মিত এই জাতীয় খাবার গুলো আপনি খেলে আপনার শরীরের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে এটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি তে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সাধারণত ওই ধরনের শাকসবজি আমাদের খাওয়া উচিত যেখানে অল্প অল্প করে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছের রয়েছে ভিটামিন ডি তাই চেষ্টা করতে হবে মাঝেমধ্যে হলেও যেন এই মাছগুলো আমরা খেতে পারি।

Leave a Comment