ক্ষয় রোগ থেকে মুক্তির উপায় ক্ষয় রোগ কি?

মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। আর মানব জীবনের বিভিন্ন রোগের জন্য তার চিকিৎসা পদ্ধতিও রয়েছে। বর্তমান সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গিয়েছে আর এর কারণেই দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন ধরনের রোগ হলেও সেই রোগ থেকে মুক্তির উপায় রয়েছে। আজকে আমাদের দেখতে হবে যে ক্ষয় রোগ কি এবং এখান থেকে মুক্তির উপায় কি সেই বিষয়গুলি খুঁজে বের করা। প্রথমে আমরা দেখব যে, ক্ষয় রোগ কি। আমরা জানি সাধারণত জন্মের পর থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আর বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে পরিপক্ক হতে থাকে।

আহারের বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের দৈহিক গঠন পরিবর্তন হয় বা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর এই কারণে একজন শিশু আস্তে আস্তে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে শৈশব কৈশোর এবং যৌবনের দিকে পদার্পণ করে। আর পরিপক্ক হওয়ার পর আবার ঘনত্ব কমে হার পাতলা হয়ে যায়। আর যখন হাড় পাতলা হয়ে যায় তখনই সেটা ক্ষয় রোগ নামে অভিহিত হয়ে থাকে। অধ্যাপক একেএম সালেক বলছেন হাড়ের ঘনত্ব যখন কমে যায় তখনই সেটা রোগ আর এর নামই হাড় ক্ষয় রোগ। আর যদি কেউ এই ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে হাড়ের ঘনত্ব কমে আর ছিদ্রযুক্ত দুর্বল এমনকি ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হবে।

কেন ক্ষয় রোগ হয়?

ক্ষয় রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই কেন ক্ষয় রোগ হয় এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রথমে জেনে নিতে হবে। কারণ যেকোনো রোগ সারাতে হলে তার গোড়া থেকে বুঝে নিতে হবে যে কি কারণে ঘটেছে বিষয়টি। তাই আমরা এখন প্রথমে দেখব যে কেন ক্ষয় রোগ হয় আর এই রোগ থেকে কিভাবে বা মুক্তি পেতে পারি। বিভিন্ন রোগ হওয়ার কারণ অবশ্যই রয়েছে এবং সেই কারণগুলো চিহ্নিত করার পর আমরা সেই রোগের ঔষধ বা পথ্য নিয়ে থাকি।

বিশেষজ্ঞগণ ক্ষয় রোগ হওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ চিহ্নিত করেছেন। তার মধ্যে হল মানুষের বয়স বাড়তে থাকলে হাড়ের ক্ষয় হতে পারে। এছাড়া রজঃবন্ধ, বংশগত কারণ, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাব, অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান ইত্যাদি আহার খয়ের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকগণ। চিকিৎসকগণ আরো মনে করেন যে এগুলো ছাড়াও যকৃতের রোগ, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ইনফ্লামাটরি বাওয়েল ডিজিজ’, দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ব্যবহার ইত্যাদিও হাড়ের ক্ষয়ে ভূমিকা রাখে।

আর ক্ষয় থেকে মুক্তির উপায় সমূহ:

আহারে যেমন ক্ষয় রয়েছে তেমনি ভাবে সেই ক্ষয়কে রোধ করার জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। অর্থাৎ যে কোন রোগকে ঠকাতে হলে অবশ্যই আমাদের যে কর্মকাণ্ড গুলি করলে রোগ হতে পারে সেই সব ধরনের কর্মকাণ্ড গুলি আমাদের বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ জীবনে সব সময় উশৃঙ্খলতার আশ্রয় না নিয়ে সহজ সরল স্বাভাবিক জীবন যাপন করলে মানুষের জীবনে রোগ বালাই অসুখ কম হয়ে থাকে। যেগুলো স্বাভাবিক খাবার বা যে খাবারগুলো বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন সেই খাবারগুলো স্বাভাবিকভাবে খেলে পরে আমাদের কোন ধরনের রোগ হবে না।

হাড়ের জন্য যেহেতু ক্যালসিয়াম প্রয়োজন তাই আমাদের উচিত হারকে সুস্থ রাখার জন্য ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য বেশি করে খাওয়া। নিয়মিতভাবে যদি আপনি পরিমাণ মতো ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারেন তাহলে হাড়ের ক্ষয় অনেকটাই রোদ হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ। হাড়ের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ইত্যাদি। তাই ক্যালসিয়ামের জন্য নিয়মিতভাবে মাছ মাংস ডিম দুধ ও দুধ জাতীয় সব ধরনের খাবার খেতে হবে আপনাদেরকে। আর ভিটামিন ডি এর জন্য সবচাইতে ভালো উৎস হলো বা ভিটামিন ডি এর ৯০ পার্সেন্ট উৎসই হল সূর্যের আলো। সকালের মিষ্টি সূর্যের আলো শরীরে লাগান তাহলে দেখবেন ভিটামিন ডি আপনার শরীরের হাড়কে মজবুত করছে।

Leave a Comment