Cef-3 সিরাপ মূলত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় তবে অনেকের ক্ষেত্রে সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। সাধারণত বাচ্চাদের পক্ষে ঔষধ খাওয়ানো অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যায় এছাড়াও ট্যাবলেট এর মধ্যে যে পরিমাণ মূল উপাদান দেয়া থাকে সেটা বাচ্চার ক্ষেত্রে অনেক বেশি হতে পারে তাই মূলত তাদের সিরাপ খাওয়ানো হয়। তবে শুধুমাত্র সেরা বাচ্চাদের জন্য তৈরি হয় এমন নয় কিছু কিছু সিরাপ আছে যেগুলো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।
Cef-3 সিরাপ এর খুঁটিনাটি তথ্য আজকে আলোচনা করতে চলেছে তবে আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য । স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এই সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করেছে সেফিক্সিম ট্রায়হাইড্রেট। এই একই উপাদান দ্বারা তারা বিভিন্ন ক্যাপসুল তৈরি করেছে তবে এখানে সিরাপ ফরমেশনে তৈরি করা হয়েছে তার কারণ হলো বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে সিরাপ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আপনারা বাজারে ৫০ml এর একটি সিরাপ পাবেন ৩২০ টাকায়।
ওষুধের কাজ সম্পর্কে ধারণা রাখাটা অত্যন্ত সচেতনতার কাজ তার কারণ হচ্ছে ডাক্তারদের যে কাজ সেটাই হচ্ছে রোগীকে ঔষধ দেওয়া এবং আপনি যদি জানতে পারেন কোন ডাক্তার কেন রোগীকে কি ঔষধ দিচ্ছে তাহলে অবশ্যই আপনি নিজের রোগীদের ভালোভাবে দেখভাল করতে পারবেন। এতে করে ডাক্তার কেন আপনার রোগীর কি ওষুধ দিল এবং সে ওষুধ কেন সে পরিবর্তন করছে এবং ডাক্তার নির্দিষ্ট পরিমাণে সঠিক পরিমাণে ওষুধ দিল কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করার ক্ষমতা আপনার কাছে থাকবে।
Cef-3 সিরাপ অত্যন্ত সংবেদনশীল জীবাণুগুচ্ছ এর দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ সমূহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি সিরাপ। যদি এর কার্যকারিতা সম্পর্কে বলতে হয় তাহলে সবার প্রথমে বলতে হয় অ জটিল গনোরিয়া অত্যন্ত জটিল একটি রোগ যেখানে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে Cef-3 সিরাপ। এছাড়াও অ জটিল মূত্রনালী সংক্রমণ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রেও ডাক্তারেরা মূলত Cef-3 সিরাপ রেফারড করেন।
মূলত ঔষধ তৈরিতে যে মূল উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেটা খেয়াল করলে আমরা বুঝতে পারবো এর সঠিক কার্যকারিতা। এছাড়াও আরো যদি গভীরভাবে বলতে হয় তাহলে এটা হচ্ছে একটি তৃতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিক যেখানে এটা মুখে সেবনযোগ্য সেমিসিন্থেটিক এন্টিবায়োটিক। এই অ্যান্টিবায়োটিক অত্যন্ত কার্যকরী বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ধ্বংসের জন্য। একিউট ব্রককাইটিস অথবা এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যা বা ইনফ্লুয়েন্জি যদি হয়ে থাকে কোন রোগে তাহলে ডাক্তারেরা এই ঔষধ খেতে বলবেন।
সাধারণত কোন রোগই যদি চেষ্টা করে সুস্থ হতে তাহলে প্রথমে তাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অর্জন করতে হবে। সবার প্রথমে এই কাজটি করার পরে তাকে যেতে হবে একজন ভালো ডাক্তারের কাছে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে এবং বারবার আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করতেই হবে।
আজকের সিরাপ খাওয়ার সঠিক একটি পরিমাপ আছে এবং সেই পরিমাপটি হলো প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১২ বছরের উর্ধ্বে শিশু আছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম দুটি বিভক্ত মাত্রায় খাওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও যাদের বয়স ৬ মাস এবং 12 বছরের নিচে তাদের ওজনের ওপর নির্ভর করে মূলত সিরাপ খেতে হবে এবং
প্রত্যেকটি শিশুর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ওজন হতে পারে এবং ওষুধের পরিমাণ আলাদা আলাদা হতে পারে। ৬মাস থেকে ১ বছর শিশুদের জন্য ৭৫ মিলিগ্রাম এর পাশাপাশি ১ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ১০০ মিলিগ্রাম এবং ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ২০০ মিলিগ্রাম। যাদের বয়স ১১ থেকে ১২ বছরের মধ্যে আছে তাদের জন্য ৩০০ মিলিগ্রাম।
তবে এটা নির্ভর করছে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শের উপর তাই আশা করছি ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কোনোভাবেই শিশুকে ঔষধ দিবেন না। শিশুদের সব সময় শিশু ডাক্তার এরপর আমার অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। কারণ শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি সবসময় সতর্ক হতে হবে। সব সময় ডাক্তারের ইন্ট্রোডাকশন ফলো করে শিশুদের মেডিসিন দিতে হবে।