ক্লোনাজিপাম কিসের ঔষধ | ক্লোনাজিপাম কি ঘুমের ঔষধ

বেঁচে থাকার জন্য শরীরকে সুস্থ রাখতে হয়। আর শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের বিভিন্ন ধরনের ঔষধ গ্রহণ করতে হয়। পৃথিবীতে হাজারো রকমের ঔষধ রয়েছে। সে সকল ঔষধের নাম হয়তো আমরা জানিনা এবং সকল ক্ষেত্রে এই সকল ঔষধ অর্থাৎ রোগ না হলে এ সকল ঔষধ কারোর প্রয়োজন হয় না। তাই জীবন বাঁচানোর জন্য এবং জীবনকে সুস্থ ভাবে পরিচালনা করার জন্য ঔষধ এর ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে। ঔষ ধ ব্যবহার করা সফলতা প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। তবে প্রাচীনকালের ঔষধ এর চেয়ে আধুনিক কালের ঔষধের বিস্তার ফারাক রয়েছে।

কেন ঔষধ কি ব্যবহার করব:

Clonazepam ওষুধটি বিভিন্ন ধরনের রোগ এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমন বিভিন্ন ধরনের রোগ আটকে রাখার প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় কোনাজিপাম ওষুধটি। যেমন ধরুন ট্যানিক অ্যাটাক প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে এই ওষুধটি বিশেষভাবে কার্যকর। ঔষধ কি প্যানিক হামলার প্রতিরোধ করে এবং পরিচালনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে। আবার আপনার যদি ঠিকমত ঘুম না হয় সেই ক্ষেত্রেও কোনাজিপাম ওষুধটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।

এছাড়া দেখা যায় যে নির্দিষ্ট করে শুধুমাত্র ঘুম না হওয়ার ক্ষেত্রেও এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়। তাই আপনারা দেখে নিতে পারলেন কোন কোন ক্ষেত্রে এই ঔষধটি চিকিৎসকগণ ব্যবহার করে থাকেন। তবে আপনারা হয়তো ভাবছেন ঔষধটি ঘুমের ঔষধ। ঘুম বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহৃত হলেও সরাসরি ভাবে এটি শুধুমাত্র যে ঘুমের ঔষধ সে কথাটি বলা ঠিক নয়। তার কারণ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ওষুধটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

ওষুধটি ব্যবহারে ক্ষতিকর দিক

আমাদের সকলকেই অবশ্যই স্বীকার করতে হয় যেন প্রত্যেকটি ঔষধ ব্যবহার করলেই তার একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অর্থাৎ একটি ক্রিয়াকে থামাতে হলে তার বিপরীতে আরেকটি ক্রিয়া দিতে হয় বা করতে হয়। যেমন কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয় আর সেই শব্দকে রোধ করতে হলে আবার তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া অর্থাৎ কম্পন থামাতে হয়। তাই এক্ষেত্রেও অনেকগুলো ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো এখন আপনাদেরকে এখান থেকে দেখানোর চেষ্টা করছি।

এবং সেই ক্ষতিকর দিকগুলো যদি ভালো দিকগুলো র চাইতে বেশি হয় তখন চিকিৎসক অবশ্যই এই ঔষধ কি খাওয়া বন্ধ করে দিতে বলবে আর যদি ক্ষতির প্রভাব কম হয়ে থাকে এবং আপনার উপকার বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ও আপনাকে ঔষধটি চালিয়ে যেতে বলবে। তাহলে এখন চলুন আমরা দেখি যে কোন কোন ক্ষতিকর প্রভাব গুলোই আমাদের শরীরের ওপর প্রভাবিত করবে বা করতে পারে এই ঔষধটি সেবনে। এই ওষুধটি সেবন করার পর নিম্নলিখিত ক্ষতিকর প্রভাব বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলি জেগে উঠতে পারে।

ক্ষতিকর প্রভাব গুলি

ও সত্যি গ্রহণ করার পর আপনার মনে বেশ অবসাদ হতে পারে, সব সময় আপনার ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে, প্রচন্ডভাবে আপনার স্নাইবিক দুর্বলতা লাগতে পারে, কখনো কখনো শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত শারীরিক কার্যকলাপ করতে পারে। ঔষধি ব্যবহারকারীর মেধা ক্ষমতার অভাব দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ মেধা কে কাজে লাগাতে পারবে না কখনো কখনো। এলার্জির প্রভাব জেগে উঠতে পারে, শরীরের যৌনতার অভাব দেখা দিতে পারে, আপনার উপায় শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক সংক্রমণ হতে পারে। দৃষ্টি ঝাপসা বা ক্ষীন হতে পারে। এবং সর্বোপরি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনার বেশি ব্যথা হতে পারে।

শেষ কথা

যেকোনো ঔষধ ব্যবহার করলে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া শরীরের মাঝে উপলব্ধি হয়ে থাকে তেমনি এই ঔষধের ক্ষেত্রেও বা এই ঔষধ কেউ যদি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে মনে করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ আপনারা জানেন যে কোন ঔষধ সেবন করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাই উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনক্রমে কখনোই ঔষ ধ গ্রহণ বা সেবন করা উচিত নয়।

Leave a Comment