বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ওষুধ খাওয়াতে হবে এবং আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাথমিক কি চিকিৎসা দিতে হবে বাচ্চাদের সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব। বর্তমান সময়ে পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে আমরা সবাই অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ি। আর এই অসুস্থতা যদি হয় জ্বর আবার হয় যদি ছোট শিশুর তাহলে তো কোন কথা ছাড়াই আমরা অনেক টেনশনে পড়ে যাই। কারণ এখন চারিদিকে শুধু জ্বর হচ্ছে করোনা হচ্ছে, ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে তাই আমরা অবশ্যই সব সময় নিজের শরীরের যত্ন নিব।

ছোট শিশুদের জ্বর হলে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। জ্বর হলে যে ডেঙ্গু বা করোনা হবে এ বিষয়টা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। করোনা বা ডেঙ্গু জ্বর আসার আগে থেকেই তো বাংলাদেশে শিশুদের জ্বর হচ্ছিল তাই না। তাই বাচ্চাদের জ্বর হলে অন্য সব ব্যবস্থা গুলো নিতে হবে।

প্রতিবছর ছোট শিশুদের বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে জ্বর হয়ে থাকে। ছোট শিশুদের জ্বরের অন্যতম কিছু কারণ রয়েছে যেই সংক্রমণগুলো ছোট শিশুদের বেশি হয়ে থাকে যেমন টাইফয়েড,টনসিল, নিউমোনিয়া, রক্ত আমাশয়, সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যার কারণে শিশুদের জ্বর আসতে পারে।

এখন করোনা এবং ডেঙ্গু রোগের কারণে যেকোনো মানুষের জ্বর আসলে সবাই মনে করে ডেঙ্গু বা করোনা হয়েছে আসলে এই দুটি রোগ বাদেও আরো বিভিন্ন রোগের কারণে মানুষের শরীরে অনেক জ্বর আসতে পারে। সেইগুলো এখন নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

টাইফয়েড

টাইফয়েড শিশুদের জলের অন্যতম প্রধান কারণ, শিশুদের যদি টাইফয়েড হয় তাহলে তাদের সামলানো অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। কারণ ব্যাকটেরিয়ার কারণে টাইফয়েড হয়ে থাকে, দূষিত পানির মাধ্যমে বাচ্চাদের শরীরে টাইফয়েড রোগটি সৃষ্টি হয়ে থাকে। রক্তের মাধ্যমে এই জীবাণু বাচ্চাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

নিউমোনিয়া

শিশুদের জ্বরের একটা জরুরি কারণ হলো নিউমোনিয়া যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মাধ্যমে আমাদের বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করে থাকে। বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হলে শ্বাসকষ্ট এবং কাশি খুব বেশি হয়ে থাকে। এই রোগটি হলে শিশুদের জ্বর ও কাশির কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।

রক্ত আমাশয়

শিশুদের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে জ্বরের পাশাপাশি নারীতে সংক্রমণ সৃষ্টি হয়। এর কারণে পেট ব্যথা পাতলা পায়খানা সহ আমাশয় হতে পারে রক্ত সহকারে।

প্রস্রাবে সংক্রমণ

প্রস্রাব এ সংক্রমণ হলে বাচ্চাদের জ্বর হতে পারে। বিভিন্ন সময় দেখা যায় বাচ্চাদের পোশাবের সময় অনেক কষ্ট হয়। বাচ্চা যদি প্রসাব চেপে ধরে রাখে তাহলে তার কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। প্রসবের কারণে বাচ্চাদের তীব্র জ্বর হতে পারে এবং তলপেট ব্যথা করতে পারে।

শিশুর জ্বর হলে কী করবেন

বাচ্চাদের বেশি জ্বর হলে নির্দিষ্ট মাথার প্যারাসিটামল দিতে হবে। যেমন নয় থেকে 10 কেজি ওজন শিশুর জন্য দেড় চামচ করে। সাপোজিটর দেওয়া যায় জর দ্রুত গতিতে নামানোর জন্য এর বাইরে বেড়া আসুক বা অন্যান্য ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে বাচ্চাদের। যেসব বাচ্চাদের জ্বরের সাথে সাথে খিচুনি সমস্যা সৃষ্টি হয় তাদের প্যারাসিটামল ওষুধ দেবার পাশাপাশি এটা চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। যেকোনো ওষুধ হুটহাট করে না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।

বাচ্চাদের অতিরিক্ত জ্বর হলে হালকা গরম পানিতে গামছা ভিজিয়ে পুরো শরীর ভালো করে মুছে দিতে হবে ঠান্ডা পানি বা বরফ দিয়ে বাচ্চাদের শরীর মোছা যাবে না। বাচ্চাদের জ্বর আসলে খুব বেশি মাথাতে পানি ঢালা যাবে না সেই সাথে সাথে ঘরের ফ্যান ও চালু রাখা যাবে না না হলে বাচ্চাদের সমস্যা বেশি সৃষ্টি হবে। জ্বর আসলে বাচ্চাদের খাবার জোর করে না খাওয়ানো উচিত। জোর করে খাবার খাওয়াতে গেলে হীতের বিপরীত হতে পারে।জ্বরের শিশুর খাবারের চেয়ে তরল খাবার যেমন পানি, শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস ইত্যাদি অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে।

Leave a Comment