আমরা সাধারণত মনে করে থাকি যে জন্ডিস এক ধরনের রোগ। কিন্তু আসলে জন্ডিস কোন রোগ নয়। তাহলে আমরা প্রশ্ন করতেই পারি যে জন্ডিস তাহলে কি? জন্ডিস হলো কিছু লক্ষণ বা শরীরের কিছু লক্ষণকে জন্ডিস বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ সাধারণত একেবারে বাংলা ভাষায় বলতে গেলে আমাদের বলতে হয় যে যখন শরীরে রক্ত কম হয় এবং চোখের কোন বা চামড়া হলুদ হতে থাকে তখন আমরা বলতে পারি যে জন্ডিস অবস্থা বা জন্ডিস হয়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু আসলে জন্ডিশনের সেই অবস্থা যখন রক্তের সাধারণত বিলরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন বাসায় সময়কে জন্ডিস বলা হয়ে থাকে।
জন্ডিসের ইংরেজি নাম হল Jaundice. আবার এই জন্ডিসকে অনেক সময় ইক্টেরাস নামেও পরিচিত হয়ে থাকে। জন্ডি স এর লক্ষণ প্রকাশ পায় কখন সে বিষয়ে আমরা জানি যে সাধারণত ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ ও অন্যান্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায় তখনই বুঝতে পারব যে জন্ডিস হয়েছে। আরো একটি বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে যে রক্তের সাধারণত বিল রুবিনের পরিমাণ বা ঘনত্ব 1.2 mg/dL এর নিচে থাকে। কিন্তু যখনই জন্ডিস হবে এই বিলরুবিনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যায় এবং শরীরকে রক্তহীন মনে করা হয় বা রক্ত কমে গেছে একথা বাইরে থেকে বোঝা যায়।
জন্ডিসের ঔষধ
সাধারণত মনে করা হয় যে জন্ডিস যেহেতু কোনো রোগ নয় তাই জন্ডিস হলে কোন ধরনের ঔষধ খেতে হবে না। তাহলে অবশ্যই প্রশ্ন থাকে জন্ডিস ভালো হবে কিভাবে। জন্ডিস অবশ্যই ভালো হবে যদি প্রাথমিক অবস্থায় আপনার জন্ডিস ধরা পড়ে বা আপনি যদি মনে করেন তাহলে আপনাকে মোটামুটি ভাবে সাত দিন বিশ্রাম নিলেই আপনার শরীরে বিল রুবিনার মাত্রা কমে যাবে তখন জন্ডিস ভালো হয়ে যাবে বা এই লক্ষণগুলো আর থাকবে না।
আবার যদি এই জন্ডিসের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে অর্থাৎ বিল রুবিনের পরিমাণ খুবই বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাত দিন থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে হতে পারে। আর যদি বিশ্রাম নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনি ভাবেই অর্থাৎ বিশ্রামের কারণে আপনার শরীরে বিল্ডিং এর পরিমাণ কমে আসবে এবং শরীর স্বাভাবিকের ফিরে আসবে। তাই আমরা একথা অবশ্যই বলতে পারি যে জন্ডিস হলে আপনাকে ঔষধ স্মরণ করতে হবে এরকম চিন্তা-ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে
দিন। শুধুমাত্র বিশ্রাম নিবেন। আবার এ কথাও আপনাদের মনে রাখতে হবে না যে জন্ডিস বিভিন্ন ধরনের কবিরাজের মাধ্যমে ভালো হয়। জন্ডিস হলে শুধুমাত্র বিশ্রাম তার একমাত্র ঔষধ। এছাড়া আপনারা প্যারাসিটামল আইসক্রিম বা অন্যান্য ধরনের ঔষধ ও কখনো গ্রহণ করবেন না বা সেগুলো খাবেন না। তবে আপনার যদি খুবই অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তাহলে আপনি জন্ডিস থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যায়।
শেষ কথা
ভালোভাবে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের অবশ্যই নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। শুধুমাত্র রোগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এমন না করে রোগ হওয়ার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং কিভাবে ভাল থাকা যায় তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সে ধরনের কাজগুলো যদি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভালো থাকবেন বলে আশা করি। কারন আমরা সবাই জানি যে প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ অনেক ভালো।
তাই যে কোন রোগ হওয়ার পূর্বেই যদি আমরা তাদেরকে প্রতিরোধ করতে পারি তাহলে শরীরকে আক্রমণ করতেই পারল না এটাই সবচাইতে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কিন্তু একটি রোগ হয়ে গেলে সেখানে কিছু একটা ক্ষতি হতেই পারে শরীরের। তাই আপনারা আমাদের এখান থেকে যেকোনো ধরনের তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন বলে আশা করি। এতে আপনারা এবং আমরা উভয়েই উপকৃত হব।