যদি ভালোবাসার মানুষ কষ্ট দেয় তাহলে আমাদের সবার প্রথমে যে জিনিসটা করতে হবে সেটা হচ্ছে ধৈর্যধারণ। সত্যিকারের ভালোবাসা কখনোই হারিয়ে যায় না কোন না কোন অজুহাত দেখিয়ে কোন না কোন বাহা নাই বা তার রূপ পরিবর্তন করে কখনো না কখনো আপনার সামনে ধরা দেবেই। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী যতটুকু জানে আপনি যদি আপনার ভালবাসাকে আগলে রাখতে জানেন তাহলে সেটা শত মাইল দূরে থাকলেও বা সেটা বহু আগে হারিয়ে গেলেও আপনাকে পুনরায় সুযোগ দেবে তার কাছে ফিরে যাওয়ার।
ভালোবাসার মানুষ যদি আপনাকে কষ্ট দেয় তাহলে আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সেই সময় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় যা মানুষ অনেকেই সহ্য করতে পারে না। জীবনের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে যাকে আপনি ভালোবেসেছেন এবং যাকে ছাড়া আপনি কিছু কল্পনাও করতে পারেন না সেই মানুষটি যখন কষ্ট দেবে তখন আপনার কষ্ট হবে সবথেকে বেশি সেটা একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি এটা তখন বলবেন না যে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীটাকে এমন ভাবে তৈরি করেছেন যেখানে প্রত্যেকটা জিনিস পুনরায় একই বৃত্তে ফিরে আসে। তাই সুযোগ আপনার হাতে থাকছে আপনার ভালবাসার মানুষকে মানিয়ে পুনরায় তাকে আপন করার তাই এর জন্য হলেও আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
স্বামী অবহেলা করলে কি করা উচিত
স্বামী একজন মহিলার কাছে সব থেকে বড় সম্পদ তার কারণ হচ্ছে সেই স্বামী হচ্ছে তার ভালোবাসার সব থেকে বড় জিনিস। শুধুমাত্র কথা তে নয় আমাদের সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকে জায়গাতে একজন নারী তার স্বামীর প্রতি কেমন আচরণ করবে সেটা উল্লেখ করেছেন। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সাধারণত পৃথিবীর জীবনে যতটা দীর্ঘস্থায়ী মৃত্যুর পরে তার থেকে বহুগুণ দীর্ঘস্থায়ী। তাই একজন স্ত্রী বা স্বামীর মধ্যে যখন মনোমালিন্য হয় তখন অবশ্যই সেটা খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে এই আশা আমরা সকলেই করি।
যদি একজন স্ত্রী উপলব্ধি করতে পারে যে সেই স্বামী যাকে অবহেলা করছে বা তার ওপর বিরক্ত তাহলে স্ত্রীকে সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে খোলামেলাভাবে তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলা। তার স্বামীর তার স্ত্রীর কোন জিনিসটা ভালো লাগছে না এবং সেটা সে কিভাবে পরিবর্তন করতে পারে অথবা তার স্ত্রীর কোথায় ভুল হচ্ছে এটা স্বামীর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে হবে। খোলামেলা কথা বলা না কারণেই অনেক সংসার ভেঙে যায় তাই সবার প্রথমে খোলামেলা কথা বলে ঘনিষ্ঠ হতে হবে।
যদি এমন কোন সমস্যা তার স্বামী তাকে বলে যেটা বাস্তবেই খারাপ দিক তার জন্য তাহলে দ্রুত সেটাকে পরিবর্তন করতে হবে অথবা যদি স্বামী কোন ভুলের মধ্যে থাকে তাহলে সেটাও ভাঙানোর চেষ্টা করতে হবে সঠিক যুক্তির মাধ্যমে।যতটা সম্ভব স্বামীর কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং স্নেহ আদরের মাধ্যমে তার ভালোবাসাকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। ভালোবাসার মানুষ সব সময় এক রকম ব্যবহার করবে না তার কারণ হচ্ছে যে আপনাকে ভালবেসে ফেলেছে সে আপনাকে নিজের মতন ভেবে ফেলেছে। আর নিজের সঙ্গে কখনো কখনো অনেকেই একরকম আচরণ করতে পারে না সব সময় ভিন্ন আচরণ করে সেটা আপনাকে বুঝতে হবে।
কাছের মানুষ কষ্ট দিলে উক্তি
কাছের মানুষ যদি কষ্ট দেয় তাহলে সেই কষ্ট উক্তির মাধ্যমে আপনি তাকে পুনরায় ফিরিয়ে দিতে পারেন বা তাকে বোঝাতে পারেন যে আপনি কষ্ট পেয়েছেন। বর্তমানে এসএমএস অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে এই উক্তিগুলো আপনি যখন আপলোড করবেন তখন এমনিতেই সেই ভালোবাসার মানুষ বুঝতে পারবে সে তার অজান্তেই আপনাকে কষ্ট দিয়েছে। আর এরকম কিছু উক্তি আছে যেগুলো আপনারা আমাদের এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন এবং ডাউনলোড করতে পারেন এবং উক্তিগুলো দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার বিশ্বাসে ভালোবাসার মানুষ আপনার কাছে ছুটে আসবে এবং আপনাকে খুশি করার চেষ্টা করবে।