কিডনির বিভিন্ন রোগের মধ্যে রয়েছে কিডনিতে পানি জমা। তাহলে কিডনিতে যদি পানি জমে তাহলে কি করব বা কি করা উচিত। এই বিষয়টি নিয়েই আজকে আপনাদের সামনে আমরা যাবতীয় কর্মপদ্ধতি তুলে ধরব। কিডনি ফুসফুস হার্ট লিভার এই অঙ্গ গুলি শরীরের অভ্যন্তরে থাকার কারণে আমরা স্বচক্ষে দেখতে পারিনা যে এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি আসলে কেমন রয়েছে। কারণ এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলির খারাপ হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এগুলো বুঝতে পারি না এবং দেখতেও পাই না কি অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে যখন খারাপ লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তখন যদি প্রাথমিক অবস্থা থেকে অন্যান্য অবস্থায় চলে যায় তাহলে রোগীকে বাঁচানোর অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এগুলোর মধ্যে কিডনিতো আরো মারাত্মক। আমরা প্রথমেই কিডনির কিছু হলে ধরতে পারি না যখন লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন দেখা যায় যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর এই কারণে কিডনিক রোগগুলোকে ঘাতক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেন চিকিৎসকেরা। এই কারণে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর অর্থাৎ মোটামুটি ভাবে 30 বছরের পর থেকে আমাদের একটু সচেতন হওয়া অবশ্য কর্তব্য। শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি কেমন রয়েছে সেই বিষয়গুলি জানার চেষ্টা করতে হবে যদিও কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয় তবুও।
তার কারণ হলো যদি বছরে দুইবার আমরা এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি পরীক্ষা মাধ্যমে বুঝতে পারি যে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে প্রাথমিকভাবেই ধরা পড়বে এবং তখন অবশ্যই চিকিৎসায় ভালো হওয়া সম্ভব। কিন্তু আমরা যদি কখনো চিকিৎসা না করাই বা এগুলা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে না চাই তাহলে ভালো থাকলে কোন সমস্যা নেই তার জীবন চলে গেল। কিন্তু যদি লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি তাহলে চিকিৎসার করার জন্য আর তত সময় পাওয়া যায় না। আর চিকিৎসার সময় না পাওয়া গেলে দিন দিন খারাপের দিকে চলে যায় সে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি।
এরকম একটি রোগ হল কিডনিতে পানি জমা। এখন তাই আজকে আমরা অবশ্যই দেখবো যে কিডনিতে পানি জমলে আমাদেরকে কি করতে হবে বা আমাদের করণীয় কি। সাধারণত যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার কিডনির কোন সমস্যা হয়েছে তাহলে কখনো দেরি না করে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অর্থাৎ কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে আপনাকে। তারপর তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখবেন যে কিডনির অবস্থা কি এবং কোন ধরনের
চিকিৎসা এখানে দেওয়া যেতে পারে। তাই চিকিৎসকের ওপর ভরসা রেখে আমাদের চলতে হবে। কিডনিতে জল হলে আসলে চিকিৎসক কি কি ব্যবস্থা নেন সে বিষয়গুলি সম্পর্কে এখন আপনাদেরকে আমরা বলব। কারণ চিকিৎসকগণ অবশ্যই বিশেষজ্ঞ এবং তারাই জানেন যে কোন রোগ হলে কি করতে হয় এবং কিভাবে সেটি শারিয়া তুলতে হয়। আর এই কারণে আপনাকে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামতি গ্রহণ করতে হবে।
বাইরে থেকে আপনি ফেসবুক ইউটিউব এর বিষয়গুলি দেখে কখনোই সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না। কারণ হলো কিডনি যেহেতু শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। তাই আমরা বিষয়টি খেয়াল করব এবং দেখব যে কি করলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে সেই বিষয়টি। আমরা জানি হাইড্রোনফ্রোসিস হলো একবার উপায় কিডনি ফুলে যাওয়া। আর কিডনি যখন ফুলে যায় তখন কিডনি থেকে প্রস্রাব বের হতে পারে না। আর প্রস্রাব যখন বের হতে পারেনা তখনই এটা কিডনিতে আটকে যায় বা কিডনিতে পানি জমেছে বলে মনে হয়।
কারণ হলো এটি কিডনি থেকে প্রস্রাব নিষ্কাশনকারী টিউবগুলোতে বাধা বা শরীরবৃত্তীয় ত্রুটি থেকে এই ঘটনাটি ঘটতে পারে। এই ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ভেতর থেকে এটি কোন ভাবে ঠিক করা যায় কিনা অর্থাৎ ঔষধের মাধ্যমে সেটি দেখতে হবে। আর ভেতর থেকে যদি ঠিক না করা যায় ঔষধের মাধ্যমে তাহলে অবশ্যই তখন অস্ত্রপাচারের একটি বিষয় থাকে। তবে এই কাজগুলো অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারায় সম্পন্ন করা কর্তব্য বলে মনে করি।
Probir