গর্ব অবস্থায় একটি মায়ের শরীরের ভেতরে অন্য একটি শরীর বসবাস করে। এই শরীর পুরোপুরি ভাবে পানির উপরে ভেসে থাকে এবং সেই শিশুর শরীরকে এটা অত্যন্ত সিকিউরিটি প্রদান করে। যখন একজন নারী গর্ভধারণ করে ঠিক তখন থেকেই আস্তে আস্তে এই ফ্লুইড বা পানি তৈরি হতে শুরু করে। বাচ্চা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই পানির পরিমাণ আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা প্রায় এক লিটার বা তার বেশি পরিমাণে হতে পারে।
তবে গর্ভাবস্থায় কোন কারণে যদি এই পানির পরিমাণ কমে যায় তাহলে বাচ্চা প্রসব করাতে সমস্যা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ সকল সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে বলে একজন মায়ের নরমালে বাচ্চা হওয়াটা কষ্টকর হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে অনেকেই সিজারিয়ান পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। তবে এই পানির পরিমাণ কেন কমে যায় এবং কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। অর্থাৎ গর্ভ অবস্থায় একজন নারীর শরীরে যদি পানির পরিমাণ কমে যায় তাহলে সেই বাচ্চা শুকনো অবস্থায় থেকে যায় এবং বাচ্চাটি সেভাবে ভেসে চলতে পারবেনা।
তবে এই ফ্লুইড বা অ্যামিনিওটিক ফ্লুইড কেন কমে যায় সেটা যদি জানতে চান তাহলে বলব যে এক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ নির্ভর করে এবং নির্দিষ্ট করে কোনো কারণ বলা যায় না। কারণ এই ফ্লিডের যে ব্যাগ বা আবরণ থাকে সেটা যদি কোন কারণে ছিদ্র হয়ে যায় তাহলে নারী শরীর দিয়ে সেই পানি আস্তে আস্তে বের হয়ে যায় এবং তা কমতে থাকে। স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা জন্মগ্রহণ করার আগে থেকেই এই ফ্লু ঈদের পরিমাণ কমতে থাকে তারপরও কোন সমস্যা থাকলে সেটা খুব দ্রুত কমে যায় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
মাতৃ শরীরে যদি কোন ধরনের অসুখ থাকে তাহলে সেই অসুখের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে অথবা বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই ফ্লুইড কমে যেতে পারে। মাতৃ শরীরের অভ্যন্তরে যদি প্লাসেন্টাতে কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেটার কারণেও ফ্লোয়েড কমে যায়। তাছাড়া কোন কারণে যদি ভ্রুনের কোন ত্রুটি দেখা যায় তাহলে সেই ত্রুটির কারণেও এই পানি কমে যেতে পারে। আর যদি গর্ভে একাধিক বার্তা থেকে থাকে তাহলে সেই বাচ্চার ক্ষেত্রে ফ্লোরিডের পরিমাণ কমতে পারে।
গর্ভাবস্থায় পানি কমে যায় কেন
তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে গর্ব অবস্থায় পানি কেন কমে যায় সেটা আপনারা বুঝতে পারলেন এবং সেটা যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম করার মাধ্যমে বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেই অনুযায়ী ফ্লুইড তৈরি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে মায়ের শরীরের ওজন এবং বাচ্চার ওজন এবং অন্যান্য বিষয়গুলো আলট্রাসনোগ্রাম করার মাধ্যমে জানা যায়। তাই গর্ভাবস্থায় যদি পানি কমে যাওয়ার কারণ গুলো বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত
যেহেতু এই শরীরের পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেহেতু এই প্রাণীর পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য একজন নারীকে অবশ্যই প্রতিনিয়ত স্বাভাবিকভাবে পানি পান করতে হবে। তাই গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত এই প্রশ্নের উত্তর যদি জানতে চান তাহলে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে যেমন তার তিন লিটার পানি পান করা উচিত তেমনি ভাবে একজন গর্ভবতী নারী দৈনিক দুই থেকে তিন লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। আর এই পানির পানের পরিমাণ ঠিকঠাক থাকলে যেমন প্রসাব ক্লিয়ার হবে তেমনি ভাবে অন্যান্য যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।
গর্ভাবস্থায় পানি বেড়ে গেলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় যদি পানির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং সেটা যদি শরীরে আরো পানির সঞ্চার করতে থাকে তাহলে লবণ খাওয়া বাদ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল খাবার খাবার ফলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে সেগুলো বাদ দিতে হবে। তাছাড়া এ বিষয়ে আপনারা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করলে তারা আশা করি আপনাদেরকে সঠিক সমাধান প্রদান করবেন। তাই একজন নারীর জীবনে গর্ভাবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় হওয়ার কারণে অবশ্যই তাকে প্রত্যেকটা বিষয়ে সচেতনতার সঙ্গে পালন করতে হবে।