শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়। শ্বাসকষ্টের ঔষধ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুগণ। চিকিৎসা এবং সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে যেকোন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ফলো করবেন। সুস্থ থাকতে হলে কিছু তথ্য আমাদের জানতে হবে। সামাজিক কুসংস্কারে কান দিয়ে সঠিক তথ্য জানতে হবে। নিজে জানুন এবং অন্যকে সঠিক তথ্য জানতে সহায়তা করুন। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি আপনি জানুন এবং আপনার প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকেও সচেতন করে তুলুন।

আমাদের শরীরে যেকোনো ধরনের সমস্যায় দেখার দিক না কেন অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়ার পূর্বে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এজন্য আমাদের শারীরিক যে কোন সমস্যার জন্য আমরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেব। শ্বাসকষ্ট মূলত শ্বাস নিতে সমস্যা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা এরকম একটি শারীরিক অস্বাভাবিক অবস্থা।যেকোনো কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে শ্বাসনালীতে সমস্যা এবং ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ থেকে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে।

এছাড়াও অতিরিক্ত গরম, শব্দ দূষণ, আবেগ, মানসিক আঘাত, আবহাওয়ার পরিবর্তন, এলার্জি বিভিন্ন কারনে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।যাদের হাঁপানি রোগ রয়েছে তাদের অবশ্যই অ্যাজমা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে।
যাদের হাঁপানি রোগ রয়েছে তারা নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ঔষধ সেবন করতে হবে।

শ্বাসকষ্ট একটি মারাত্মক রোগ। যেকোনো বয়সে এই রোগ দেখা দিতে পারে। বাচ্চা অথবা প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো সময় যেকোনো বয়সের রোগীরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। বর্তমানে অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং বায়ু দূষণের ফলে শ্বাসকষ্ট নামক মারাত্মক ব্যাধির আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।শ্বাসকষ্ট হলো এমন একটি অস্বাভাবিক অবস্থা যেখানে মানুষ সুষ্ঠুভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেনা। মানব শরীরের প্রত্যেকটি ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে। তাই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার অবস্থান খুবই বেশি মারাত্মক।

শ্বাসকষ্ট হলে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে তৎক্ষণাৎ ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও অনেক রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে যেগুলো ইনহেলারের মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তারপরেও বয়স অনুযায়ী সব ঔষধ সবার জন্য সুইটেবল নয়। তাই যদি শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে শ্বাস কষ্টের তাৎক্ষনিক উপশমের জন্য কয়েক রকম ঔষধ ইনহেলারের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়, যেমন, সালবুটামল, সালমেটেরোল, এবং ফোরমোটেরোল । হাঁপানীর আক্রমণ যেন না হয় তার জন্য ব্যবহার করা হয় স্টেরয়েড ইনহেলার। সাধারনত ফ্লুটিকাস্ন ও বুডিসোনাইড স্টেরয়েড ইনহেলার হিসাবে পাওয়া যায়।

এলার্জির ক্ষেত্রে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। শ্বাসকষ্টের প্রধান একটি কারণ হলো এলার্জি। এলার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এছাড়াও সর্দি কাশি বা শ্বাসনালীতে কফ জমা হলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
শ্বাসকষ্টের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হার্ট বা ফুসফুসের অবস্থার কারণে হয়। আপনার হৃদপিন্ড এবং ফুসফুস আপনার টিস্যুতে অক্সিজেন পরিবহন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণের সাথে জড়িত এবং এই প্রক্রিয়াগুলির যেকোনো একটির সাথে সমস্যাগুলি আপনার শ্বাসকে প্রভাবিত করে।

যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারা নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে পারেন। শ্বাসকষ্টের জন্য মেডিসিন বা সিরাপ এর থেকে কার্যকরী হলো ইনহেলার। তাই যাদের বিশ্বাস কষ্ট রয়েছে তাদের একটি ইনহেলার সব সময় নিজেদের সাথে ক্যারি করা উচিত। কারণ যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের যেকোনো সময় যে কোন জায়গায় শ্বাসকষ্টের প্রবলেম দেখা দিতে পারে।বুকে চাপা ভাব ,হাঁপানির টান উঠলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়, ফলে শারীরিক অস্বস্তিবোধ হয়। এতে বুকের মধ্যে টান বাড়ে, বুকে চাপ বোধ হয়।

দীর্ঘমেয়াদি কাশি: যাঁরা তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে হাঁপানি সম্পর্কিত কাশি এত সহজে দূর হয় না। বুকে চাপ ধরে যায়, হঠাৎ কাশি শুরু হয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
তাই যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অবশ্যই নিয়মিত একটি ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে।শ্বাসকষ্ট একটি মারাত্মক রোগ। তাই এই রোগে আতঙ্ক নয় সচেতন হতে হবে। আমরা যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের কোন রোগ হয় না। আর যারা স্বাস্থ্য সচেতন নয় তাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ ঘিরে ধরে।

Leave a Comment