প্রিয় বন্ধুগণ কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম এবং কৃমিনাশক ঔষধ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আজকে আমরা এই প্রতিবেদনটিতে আলোচনা করব। কৃমিনাশক ঔষধ সম্পর্কে আমাদের অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে সেগুলোই আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিবেদন কি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন । আমাদের এই তথ্য দ্বারা আপনি নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন। নিজে সচেতন হন এবং অন্যকে সচেতন হতে সাহায্য করুন।
আমরা যখন কোন ঔষধ সেবন করি অথবা আমাদের যখন কোন শারীরিক অসুবিধা হয় তখন আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছা করে। এটা আপনি অবশ্যই করতে পারেন কারণ স্বাস্থ্য এবং শরীর বিষয়ে প্রশ্ন থাকা একজন সচেতন ব্যক্তির লক্ষণ। আর এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আশীর্বাদে আমরা আমাদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারি আমাদের হাতের স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে। তাই যে কোন রোগ সম্পর্কে অথবা যে কোন ঔষধ সেবন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিশ্চয়ই ফলো করবেন।
কৃমির ওষুধ হলো একটি পোকা নাশক ঔষধ। এই ওষুধটি সেবনের মাধ্যমে পেটের মধ্যে কার ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা দূর হয়ে যায় । পাকস্থলীতে ইনফেকশন জনিত কারণে কিন্তু পেটে কৃমি হতে পারে। আবার অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর পচা বাসি খাবার থেকেও কিন্তু এই কৃমি জন্ম নিতে পারে। শাক সবজির পোকা থেকেও এই ক্রিমি জন্ম নিতে পারে বিভিন্ন কারণ হয়ে থাকে। দুর্বল শরীরে কৃমি বাসা বাঁধে বেশি।
কৃমি একটি অমেরুদন্ডী পরজীবী প্রাণী। যেটা দেখতে কেঁচোর মত লম্বা সরু আকারের হয়। এরা মানব শরীরে বসবাস করে এবং মানব শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ এবং গ্লুকোজ শোষণ করে বংশ বিস্তার ঘটায়। আস্তে আস্তে মানবদেহে এর বংশবিস্তার ঘটাতে ঘটাতে এক পর্যায়ে মানব শরীর থেকে সমস্ত পুষ্টিগুণ শোষণ করে। মানব শরীর অকেজো হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত কিন্তু মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে কৃমি রোগের আক্রান্তে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তখন ইন্টারনেট ছিল না এবং তখনকার মানুষ ছিল অসচেতন এবং মানুষের মাঝে অজ্ঞতা ছিল বেশি। নিরক্ষর মানুষেরা বুঝতো না যে শারীরিক অসুবিধা এর প্রতিকার কিভাবে করা হয়। এবং তখন টেকনোলজির ডেভেলপমেন্ট ছিল না বলে বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরি করা যেত না। কিন্তু এখন কৃমিনাশক ঔষধ বাজারে পাওয়া যায় এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নির্দিষ্ট সময় পরপর বিনামূল্যে কৃমিনাশক ঔষধ সাধারণ মানুষের মাঝে বিলীন করা হয়। বিশেষ করে স্কুলের বাচ্চাদের মাঝে এই কৃমিনাশক ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়।
একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর যদি কৃমির ওষুধ খাওয়া হয় তাহলে কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় না। আপনার শরীরে যদি কৃমি নাও থাকে তাহলেও আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর অর্থাৎ তিন থেকে ছয় মাস পর পর কিন্তু পরিবারের সবার সঙ্গে কৃমির ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন এতে কোন শারীরিক সমস্যা হয় না।
কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করার পর অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ,এই ঔষধ যেহেতু একটি প্রাণী ধ্বংস করার জন্য সেবন করা হয় । তাই এই ঔষধ সেবন করলে শরীরের কোনোরকম ক্ষতি হতে পারে কিনা?
এজন্য অনেকে এই ঔষধ সেবন করতে ভয় পায়।
তবে এটা ঠিক যে কৃমির ঔষধ সেবনের কিছু নিয়ম রয়েছে। এই কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সব সময় মনে রাখবেন যে, যখনই কৃমির ঔষধ সেবন করবেন তখনই ভরা পেটে কিন্তু এই ঔষধটি খেতে হবে। কারণ খালি পেটে খেলে পাকস্থলীতে ইনফেকশন সহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে এজন্য কৃমিনাশক ট্যাবলেট গুলো কখনোই খালি পেটে খাওয়া যাবেনা। সব সময় ভরা পেটে খেতে হবে। পরিবারের কারো শরীরে যদি কৃমি থাকে তাহলে তার থেকে কিন্তু অন্য সদস্যের শরীরে সংক্রামকের আশঙ্কা থাকে। তাই পরিবারের সবাই একসঙ্গে এই ওষুধটি সেবন করতে হবে।
এই ঔষধ সেবন করার পর কোন ধরনের ভিটামিন বা আলাদা কিছু চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তার পরেও সবাই শারীরিক অবস্থা একরকম হয় না কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে।