ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার অবশ্যই কিছু নিয়ম আছে এবং নিয়ম গুলো মেনে যদি আমরা নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল তাহলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবো। সাধারণত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার ক্ষেত্রে রোগীদের চিকিৎসা করা খুব সাধারন একটি পদ্ধতি বলে থাকেন এবং সেই সাধারণ পদ্ধতি হচ্ছে প্রতিদিন একবার খাবারের পরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া। তবে এখানে কতটুকু পরিমাণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে হবে তার উপর নির্ভর করে রোগী কিছু পরিবর্তন করতে পারে অথবা চিকিৎসকেরা কিছু পরিবর্তন করিয়ে দিতে পারে।
মনে করুন একজন রোগীকে প্রতিদিন ৬০০ আয়ু করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার পরামর্শ দিলেন একজন চিকিৎসক সেই ক্ষেত্রে সেই রোগী যে কাজটি করতে পারেন সেটা হচ্ছে প্রতিদিন দুই বেলা এই ৬০০ আইয়ু ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভাগ করে নিতে পারেন। কিভাবে ভাগ করবেন এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় যে আপনি চাইলে দিনের শুরুতে 200 আয়ু ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটা খেতে পারেন এবং দিনের শেষে ৪০০ আইয়ু ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটা খেতে পারেন। এইভাবে আপনি সম্পূর্ণ ডোজ মিলিয়ে নিতে পারেন যাতে করে একবারে খাবার চাপ থেকে আপনি মুক্ত থাকতে পারলেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই আপনার শরীরে মজুর থাকলো। এটা হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সবথেকে সহজ পদ্ধতি তবে কিছু কিছু কারণ আছে যেই কারণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল হাওয়ার মাত্রা পরিবর্তন করতে পারে সেটা মূলত চিকিৎসকেরাই ভালো বলতে পারবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার মাত্র
প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসকেরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার পরামর্শ দেন এবং এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০০ আয়ু এবং সর্বোচ্চ ৬০০ আইয়ু প্রতিদিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার পরামর্শ দিতে পারেন একজন চিকিৎসক। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই রোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ যে রোগের জন্য যতটুকু খাওয়া উচিত আপনাকে ততটুকুই খেতে হবে এমন নয় যে আপনি নিজের ইচ্ছামত ওষুধ খেলেন এটা সবথেকে খারাপ একটি অভ্যাস।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটা জিনিস অত্যন্ত লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষই কোন ধরনের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ফার্মেসি থেকে ওষুধ ক্রয় করে যেটা সবথেকে খারাপ অভ্যাস এবং নিজেই সেই ওষুধ সেবন করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া। যদিও এই ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব কম তারপরও কোনভাবেই আপনি অবহেলা করতে পারেন না এই বিষয়ে তাই অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক না হলে আস্তে আস্তে এটা আপনার শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর পাশাপাশি ভিটামিন ই এর যে উৎসগুলো রয়েছে সেই উৎস গুলোর মাধ্যমে আমরা ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি যেমন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার। আশা করছি বিষয়টি পরিষ্কারভাবে আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
ভিটামিন ই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়মিত খেলে অবশ্যই আপনি উপকার পাবেন তবে যদি এটা খাওয়া বেশি হয়ে যায় তাহলে এখানে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদান কালে সাধারনত উচ্চমাত্রার নিরাপত্তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এই অবস্থায় বিশেষ করে তুই মাসিক ব্যবহার করা উচিত নয় তাই বুকের দুধে নিঃসরণ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। তবে এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন না বেশিরভাগ চিকিৎসক আর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে বমি হওয়া থেকে ডায়রিয়া হওয়া বা পেটের ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে এরকম হলে অবশ্যই খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। কোনভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্রতিদিন ১০০০ আয়ুয়ের বেশি ডোজ নেওয়া যাবে না এটা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।