একজন মানুষের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় যে জিনিসটির সবচাইতে বেশি প্রয়োজন তাহলো অর্থ অর্থাৎ টাকা। টাকা ব্যতীত কোন মানুষ এক ধাপও চলতে পারে না।
তাই মানুষের হাতে হাতে ঘোরে কাগজের তৈরি এ পণ্যটি।তবে ব্যবহার কারীদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় টাকা ছেঁড়ে পোড়ে কিংবা রং পরিবর্তন হয়। তাই এক সময় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব টাকা পুড়িয়ে ফেলে। এরপর নতুন করে সে টাকা ছাপতে হয় সরকারকে। আর প্রতিবছরই অনেক টাকা ছাপাতে হয় সেই হিসেবে।
তবে এই টাকা নিয়ে আমাদের অনেকেরই অনেক ধরনের প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়। আর তাই অনেকে অনলাইনে সার্চ করে জেনে নিতে চাই বাংলাদেশের টাকা কোথায় ছাপানো হয় বা তৈরি হয়। তবে আপনারা যদি এ প্রশ্নের উত্তরটি সঠিক ভাবে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের আলোচনাটি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। কারন আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব বাংলাদেশে কোথায় টাকা ছাপানো হয় সে বিষয় টি সম্পর্কে। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমাদের পুরো আলোচনার সঙ্গে থাকুন। আর জেনে নিন বাংলাদেশের টাকা ছাপানো হয় কোথায় সে সম্পর্কে।
বাংলাদেশে সর্বনিম্ন এক টাকার কয়েন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকার নোট তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে প্রতি বছরে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে টাকা তৈরি করা হয় বা ছাপানো হয়। তবে বাংলাদেশ সরকার কোন ইচ্ছামতন টাকা ছাপাতে পারবে না এর জন্য অনেক বিষয় রয়েছে সেই বিষয় গুলো মেনে টাকা ছাপাতে হবে। যেহেতু টাকার পেছনেই সারা দুনিয়ার মানুষ ছুটে চলে। এই টাকার চাহিদার যেমন কোনো শেষ নেই তেমন অনেকের দুঃখেরও অবসান হয় না এই টাকা ছাড়া। তবে টাকা ছাপানোর পরিমাণের সাথে দেশের মানুষের উপার্জন, অর্থনৈতিক চাহিদা, দেশের সম্পদ ইত্যাদি জড়িত।
বাংলাদেশের টাকা যেখানে ছাপানো বা তৈরি হয়
এই টাকাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের মানুষের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আর সেই প্রশ্ন গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো বাংলাদেশের টাকা কোথায় ছাপানো হয় বা তৈরি হয়। তাই আমরা অনেকেই কিন্তু এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানিনা কিন্তু অনেকেই এ প্রশ্নের উত্তর জানতে বেশ আগ্রহী। তবে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রীতিমতো গবেষণা করে টাকার চাহিদা নির্ধারণ করে তারপর টাকা ছাপাতে হয়। তাই আমরা এখন আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো বাংলাদেশের টাকা কোথায় ছাপানো হয়। চলুন তাহলে দেরি না করে এ বিষয়ে জানা যাক।
আমরা হয়তো অনেকে জানি না টাকা তৈরি করার জন্য সুনির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি রয়েছে। আর সেই গুলো মেনেই টাকা তৈরি করতে হয়। প্রতিটি দেশে মোট যে পরিমাণ জিনিস তৈরি করা হয় সেই পরিমাণে কখনো টাকা ছাপানো হয় না। আর এই নিয়ম সাধারণত প্রতিটি দেশকে আন্তর্জাতিক ভাবে মেনে চলতে হবে। আর কোন দেশ চাইলেও নিয়মের বাইরে অর্থাৎ বেশি টাকা ছাপাতে পারবেনা নিয়মের মধ্যে থেকে টাকা ছাপাতে হবে। তবে আমরা আগেও বলেছি আবার এখনও বলছি টাকা ছাপানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক এর ওপর ভিত্তি করে করতে হয়। আর এটা সব দেশেই হয়।
আমরা টাকা তৈরি সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনে নিলাম। তবে বাংলাদেশের টাকা কোথায় তৈরি হয় বা ছাপানো হয় তা কিন্তু এখনো জানা হয়নি। বাংলাদেশের টাকা ছাপানোর একমাত্র প্রতিষ্ঠানের অবস্থান গাজীপুরে। প্রায় ৬৬ একর জায়গা নিয়ে অবস্থান করছে দেশের একমাত্র টাকা তৈরির এই কারখানাটি চারিদিকে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে টাকা তৈরি করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কঠোর নিয়মের মধ্যে চলাচল করতে হয়। বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় ৮০ জন সদস্য প্রতিনিয়ত কারখানার ভেতরে এবং বাইরে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। নির্ধারিত কর্মকর্তা ছাড়া কারখানায় কেউ প্রবেশ করে না।
টাকা তৈরি সম্পন্ন গোপনীয় একটি বিষয় তাই এটা প্রতিনিয়ত গোপনীয়তার মধ্যে রাখা হয়। আর টাকা তৈরি কে কেন্দ্র করে অনেক মানুষের অনেক ধরনের জানার ইচ্ছে রয়েছে। যেহেতু টাকা এমন একটি জিনিস যেটার লোভ আমাদের সবার মধ্যেই কমবেশি রয়েছে। তবে আপনারা যারা বাংলাদেশের কোথায় টাকা ছাপানো হয় বা তৈরি হয় সে সম্পর্কে জানেন না বা এ সম্পর্কে আপনারা যারা জানতে চান আপনার অবশ্যই আমাদের এখান থেকে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। তবে টাকা যে কোন প্রতিষ্ঠান ছাপাতে পারেনা।