জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো

জন্মনিয়ন্ত্রণ বলতে সাধারণত যে বিষয়টি আমরা বুঝতে পারি তা হল স্বাভাবিক জন্ম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করন। অর্থাৎ আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগে মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন অনেক কিছুই রয়েছে। তাই স্বাভাবিক জন্ম প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের দেশে এমনিতেই জনবিস্ফোরণ ঘটেছে তাতে আরো ব্যাপক পরিমাণে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সবকিছু ব্যাহত হবে। অর্থাৎ এমনিতেই অতিরিক্ত জনগণের চাপে দেশের স্বাভাবিক সব কর্ম প্রক্রিয়াগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

তারপরেও যদি আরও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেত তাহলে হয়তো এই দেশে সভ্য মানুষ হয়ে গড়ে ওঠা অনেকটাই বিপদ ছিল। কারণ পৃথিবীর সবচাইতে জনঘনত্ব পূর্ণ দেশ হলো আমাদের এই বাংলাদেশ। তাই যদি আরো বেশি জনসংখ্যা বাড়ে তাহলে আমাদের জীবনযাত্রার মান আরো কম তো মানুষের বসবাস করার জায়গা থাকতো না আর বসবাস করার জায়গা থাকলে খাদ্য উৎপাদনের কোন জমি থাকত না।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনেকগুলো প্রচলিত রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতির মধ্যে অবশ্য সকলেরই যে একটা পদ্ধতি ভালো লাগবে এমন নয়। মানুষের মা ব্যক্তির চয়েস অনুযায়ী আলাদা আলাদা পদ্ধতি তাদের কাছে ভালো লাগে। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো সেটি বুঝতে হলে অবশ্যই এটি ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর নির্ভর করে বলে মনে করা হয়। কারণ প্রত্যেকটি ব্যক্তির একই পদ্ধতি ভালো লাগবে এটি কখনোই হতে পারে না। আর এজন্য এই জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ও অনেকগুলো রয়েছে যার

যেটি স্যাটিসফাইড হবে অর্থাৎ যার যেটি পছন্দ হবে সেই ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করার অধিকার তাদের রয়েছে। কারণ প্রত্যেকটি পদ্ধতিরই আলাদা আলাদা ভাবে বা আলাদা আলাদা দিক থেকে সুবিধা এবং অসুবিধা দুই রয়েছে। তাই মনে হয় যে যাদের যে পদ্ধতি সুবিধা মনে হবে তারা সেই পদ্ধতি গ্রহণ করবে। কারন আপনারা জানেন যে প্রত্যেকটা পদ্ধতির ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা দিক থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে আবার প্রত্যেকটা পদ্ধতিরই আলাদা আলাদা দিক থেকে অসুবিধা রয়েছে। সুবিধা এবং অসুবিধা উভয় দিক বিবেচনা করার পর যাদের যেই পদ্ধতি সর্বোত্তম মনে হবে তারা সেই পদ্ধতি গ্রহণ করবে বলে আশা করি।

কোন পদ্ধতি সবচাইতে ভালো

আমাদের দেশে যে পদ্ধতি গুলো প্রচলিত রয়েছে সেই পদ্ধতি গুলোর মধ্যে কোন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সবচাইতে ভালো একথা বলতে গেলে অবশ্যই ব্যক্তি মতামত নেওয়া প্রয়োজন। কারণ আপনারা জানেন এক ব্যক্তির একেক রকম পদ্ধতি ভালো লাগার বিষয় রয়েছে। আর এই কারণেই গবেষকগণ বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। এবং এ সকল পদ্ধতির তারা বিভিন্ন অপশনও দিয়েছেন।

অর্থাৎ কোন পদ্ধতি গ্রহণ করলে কি কি অসুবিধা ঘটতে পারে সেই সকল বিষয়গুলি তাদের বিস্তারিতভাবেই বলে দেওয়া হয়েছে। তাই পদ্ধতিগুলোর ভালো এবং মন্দ উভয় দিক বিবেচনা করা হলে তারপরে বুঝতে হবে যে কোন পদ্ধতিটি সবচাইতে ভালো হয়েছে। কারণ সকল দিঘির সূচনা না করে শুধুমাত্র একজন আর একক সিদ্ধান্তে একটি পদ্ধতি ভালো-বলা কখনোই সম্ভব নয়। তাই আপনাদের জানতে হবে বুঝে নিতে হবে যে কোন পদ্ধতি সবচাইতে বেশি উত্তম এবং সেই পদ্ধতি কতজন মানুষ

ব্যবহার করছে সেই জরিপ চালানোর পর আমরা হয়তো বলতে পারতাম বা পারব যে 100 জন মানুষের মধ্যে কতগুলো মানুষ এই পদ্ধতি থেকে বেশি ভালো বলে মনে করেন। তাই ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর বা ব্যক্তি মতামতের উপর ভিত্তি করে আমরা যদি দেখতে থাকি তাহলে অবশ্যই মনে করতে পারি যে বা বলতে পারি যে কোন পদ্ধতি সবচাইতে উত্তম পদ্ধতি।

উপসংহার

উপসংখারে বলা যায় যে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতির মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতিটি সবচাইতে বেশি ভালো তা অবশ্যই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। একেক ব্যক্তির কাছে একেক পদ্ধতি হলো। তাই যেকোনো একটি ব্যক্তির মতামত নিয়ে বিষয়টি বলে দেওয়া কখনোই ঠিক তাই বলে মনে করি। আপনার অবশ্যই ব্যক্তিগত মতামত থাকতে এবং সব পদ্ধতি গুলো ভালোভাবে জানার পর প্র্যাকটিস করার পর আপনি অবশ্যই বুঝে নিতে পারবেন যে কোন পদ্ধতি সবচাইতে ভালো পদ্ধতি হতে পারে বা হয়।

Leave a Comment